না-হওয়া ছবির প্রস্তুতিপর্ব-২

তারিখটি ছিল পয়লা নভেম্বর ১৯৭১। প্রথমে লিখেছিলেন কুড়ি নম্বর ফিচার ছবি হিসেবে--- তারপরে সেই কুড়িকে কেটে করেছিলেন উনিশ। প্রথম পাতার উপরেই লেখা ’১৯ নম্বর ছবি/ ফিচার/ একটি জীবন’। বুদ্ধদেব বসুর বিখ্যাত গল্প থেকে সত্যজিৎ যদি এই ছবিটি করতেন, তাহলে তা হতো আরেকটি মহাকাব্যিক ছবি। যে ছবির পটভূমি স্থানগত দুই বাংলায় ছড়ানো। যে ছবির মুখ্য বিষয় ছিল একজন অভিধানকারের অভিধান-রচনার ইতিহাস। যে ছবির কালগত পটভূমি ছিল একদিকে স্বাধীনতা-পূর্ববর্তী বাংলার ইতিহাস থেকে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, ডায়রেক্ট অ্যাকশন ডে, দাঙ্গা, স্বাধীনতা, দেশভাগ, পূর্ববঙ্গ থেকে চলে আসা ছিন্নমূল উদ্বাস্তু মানুষের কলোনি জীবন--- আর সবচেয়ে বড়ো কথা, তার মধ্যে একজন অভিধানকারের বাংলাভাষা চিন্তা ও অত্যন্ত মমতায় একটি যথাযথ বাংলা অভিধান-রচনার কাহিনি। সন্দীপ রায় একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘একটি জীবন চিরকালই বাবার প্রিয় গল্প। তাই অন্তত দশ বছর--- ১৯৬১ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত সেই গল্প নিয়ে মাঝে মাঝেই ছবি করার কথা ভেবেছেন তিনি।’ তিনি সেখানে বলেছিলেন, ১৯৭১-এ ‘সত্যিই তিনি যখন শুরু করলেন, তখন বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরাট পরিবর্তন আসতে চলেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম তখন তুঙ্গে।’

এই খসড়া খাতার প্রথম পাতায় আর আর তার পরের পাতাতে এমন বেশ কিছু নাম আর তাঁদের মুখচ্ছবি ছিল, যাঁরা মুখ হিসেবে বিশেষ পরিচিত নয় বলেই চকিত গতির রেখায় এঁকে রেখেছেন তাঁদের মুখ। এমনকি সঙ্গে কারো কারো ঠিকানা লেখা আছে, লেখা আছে তাঁদের নাট্যদলের নামও। ছিল থিয়েটার ওয়ার্কশপের মঞ্জু ব্রহ্মচারীর নাম, বহুরূপীর নমিতা মজুমদারের নাম, শৌভনিক নাট্যদলের সুতপা চক্রবর্তীর নাম। প্রসঙ্গত এই সুতপার নামের পাশে ছিল দুটি শব্দ--- ‘রূপসী/ মেঘকালো’। ছিল কানু চক্রবর্তী, তাপস চক্রবর্তী, শান্তি দাশগুপ্ত, সুশীল চকক্রবর্তী, বিষ্ণু সেন, তপন দত্ত-র নাম, এঁরা সকলেই যুক্ত ছিলেন স্টার থিয়েটারের সঙ্গে। এঁদের আবার মুখের ধরনটি স্কেচে এঁকেও রেখেছেন। সুশীল চক্রবর্তীর পাশে একটি বন্ধনীতে লেখা, ‘কমেডিয়ান ভানুকে রিপ্লেস করছে’। ১৯৭১-এ ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় তখনো জীবিত--- তার মানে, সুশীল চক্রবর্তীর অভিনয় ক্ষমতা সম্পর্কে পরিচালক সত্যজিতের এ এক অত্যাশ্চর্য স্বীকৃতি। এই খাতার তিন নম্বর পাতার কথায় এই পর্বের শেষে আসব। কারণ, সেই পাতাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও, তা এই লেখার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়। অতএব, সে কথায় পরে আসাই ভালো। এরপরেই দেখা যায় চার নম্বর পৃষ্ঠা থেকে এক সময়ের হিসেব।

বুদ্ধদেব বসু

 

১৯৩৮ সাল থেকে প্রায় ১৯৫৪ পর্যন্ত একজন মানুষের জীবনবৃত্তান্ত। কখনো ১৯৩৪- ১৯৩৫-এ ফিরে যাচ্ছে--- আবার ফিরে আসছে বর্তমানে। ১৯৭১ সালে বসে, স্বাধীনতার পূর্ববর্তী আর অব্যবহিত পরবর্তী সময়কালে একজন মানুষের কথা লিখছেন সত্যজিৎ। একটি পাতার পাশে এক কোণে ইংরাজিতে লেখা--- ’৩৯- ওয়ার্ল্ড ওয়ার টু, ৪৫- কোল্ড ওয়ার, ৪৬- রায়ট, ৪৭- ইন্ডিপেন্ডেন্স/ পাকিস্তান’। খাতার মাঝে মাঝে এক-একটি জায়গাতে লেখা রবীন্দ্রনাথের ‘বাংলা ভাষা পরিচয়’ বই থেকে কিছু কিছু উদ্ধৃতি। বেশ নজর-কাড়ানিয়া একটি পাতায় লেখা এই শব্দসংকেত--- ‘Greeek: Wittwe/ Latin: Vidva/ German: Wituwa/ Russian: Vdova/ Italian: Vedova/ English: Widow/ Sanskrit: Bidhova/ বাংলা: বিধবা’। আসলে সত্যজিৎ ১৯৭১-এ যে ছবির পরিকল্পনা করছিলেন, তার নাম ‘একটি জীবন’। একটি পৃষ্ঠার কোনে লেখা--- ‘সম্পূর্ণ একটি বাংলা অভিধান কি তৈরি হয় না--- যাতে সংস্কৃত আর দেশজ সব শব্দই স্থান পেয়েছে, দেখানো হয়েছে সব শব্দবন্ধ, বিভিন্ন ব্যবহার, লৌকিক প্রয়োগ, যা থেকে বাংলা ভাষা শেখা যাবে। বোঝা যাবে তার প্রকৃতি, তার বিশেষ সৃষ্টিশীল প্রক্রিয়া?’ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কত কত শব্দ যে তৈরি হয়ে চলেছে, এই অভিধান তার খোঁজও দেবে। তাই গল্পে জায়গা করে নেবে পারমাণবিক বিস্ফোরণ, দাঙ্গা, দেশভাগ, কালোবাজারি জাতীয় শব্দ। একটি বিশেষ সময় যে একটি ভাষাগোষ্ঠীকে তার শব্দেরও সন্ধান দেয়--- সেই কথাটিও থাকবে এই ছবির ভেতরে। এই সময়ের ব্যবধান থেকে আক্ষেপ করা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না, যখন জানা যায়, সত্যজিতের না-বানানো ছবির মধ্যে ছিল এই ছবিটি। সন্দীপ রায় তাঁর সৌজন্য ভাষণে জানিয়েছিলেন, অন্য ছবির জন্য ব্যস্ততা আর স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মের পূর্ববর্তী তখনকার রাজনৈতিক সামাজিক অবস্থা হয়ত ছবি করার অনুকূল ছিল না। কিন্তু জনশ্রুতি, এই ছোটগল্পের রয়্যালটি বাবদ কোনো সামান্য সমস্যা থেকে তিনি ছবি-করার পথে পেয়েছিলেন অনুমতিগত বাধা! সন্দীপ রায় বলেছিলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ চিত্রনাট্যের খসড়া ছাড়াও, বহু দৃশ্যেরই যাবতীয় সংলাপ লিখে ফেলেছিলেন। এমনকি পর পর ছবি এঁকে প্রথম দৃশ্যের শট ডিভিশনও হয়ে গিয়েছিল।’ বাংলা ছবির ইতিহাসে এ এক বিরাট না-পাওয়ার ইতিহাস। পরে অবশ্য এই কাহিনি থেকে একই নামে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত একটি ছবি ১৯৮৮ সালে তৈরি করেছিলেন রাজা মিত্র। সেই ছবিটিও সুন্দর, সুনির্মিত। কিন্তু সত্যজিৎ যে এক বিরাট মাত্রায় ভেবেছিলেন সেই ছবিটিকে--- তা তো আর পাওয়া হল না আমাদের! প্রসঙ্গত, ‘পথের পাঁচালী’-র কানু বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভেবেছিলেন মুখ্য চরিত্র গুরুদাস ভট্টাচার্যের চরিত্রে। কানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রোফাইল এঁকে, তাঁর মেক-আপ কেমন হবে এঁকেছিলেন তা-ও। এমনকি, যে অভিধানটি লেখার পরে ছাপা হবে তার প্রচ্ছদ সেকালের ধরন মেনে কেমন হবে, তারও একটি ছবি এঁকেছিলেন পরিচালক তাঁর স্বভাবসিদ্ধ কাজ করার রীতিতে।

আরও পড়ুন
না-হওয়া ছবির প্রস্তুতিপর্ব

কানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিকৃতি ও তাঁর সম্ভাব্য রূপসজ্জা।

 

আরও পড়ুন
ব্যোমযাত্রীর ডায়েরি- অন্যভাবে পড়া

প্রথম দৃশ্য আর অন্য কিছু কিছু দৃশ্য তো সম্পূর্ণত লিখেও ফেলেছিলেন তিনি। খসড়া পড়লে, পাঠকের মনশ্চক্ষে ভেসে উঠবে সেই দৃশ্যের চিত্ররূপ। ছবি শুরু হচ্ছে ১৯৩৬ সালের একটি গ্রামের স্কুলের পটভূমিতে। ক্লাস নাইনের একটি বাংলা পাঠ্যপুস্তকের পাতায় ক্লোজ আপ। রবীন্দ্রনাথের ‘মস্তকবিক্রয়’ কবিতাটি পড়াচ্ছেন মাস্টারমশাই। পড়াতে পড়াতে সেখানকার একটি চরণে উল্লিখিত ‘হায়রে প্রজাগণ আমার চেয়ে তাহারে বড়ো মানে’ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ওই ‘চেয়ে’ শব্দটিতে এসে থমকে দাঁড়ান। ক্লাসের এক ছাত্রের সঙ্গে সংলাপে পরিষ্কার হয়, নিতান্ত পরিচিচ একটি শব্দ ‘চেয়ে’ শব্দের মানে কখনো হতে পারে ‘আকাঙ্ক্ষা’, কখনো হতে পারে ‘তুলনায়’, কখনো হতে পারে ‘তাকিয়ে’। মানে, যেখানে ‘প্রজারা সেই রাজাকেই চেয়েছিল’--- সেখানে ‘চেয়ে’-র মানে আকাঙ্ক্ষা। আবার ‘প্রজারা রাজার দিকে চেয়েছিল’--- এখানে ‘চেয়েছিল’ মানে তাকিয়েছিল। আবার যখন ‘প্রজারা এই রাজার চেয়ে ওই রাজাকে বেশি শ্রদ্ধা করত’--- সেখানে ‘চেয়ে’ শব্দের মানে হল একজনের তুলনায় অন্য রাজার কথা। ছাত্র প্রবীরের সঙ্গে শিক্ষকের এই কথোপকনের পরে চিত্রনাট্যকারের নির্দেশ ‘ডিজলভ’ করে পরের দৃশ্যে ‘খালি ক্লাস। স্কুল ছুটি হয়ে গেছে। দূর থেকে ছাত্রদের কলরব শোনা যায়। বোধহয় মাঠে খেলা করছে তারা। গুরুদাস এখনো বই হাতে করে চিন্তামগ্ন অবস্থায়--- টেবিলে বসে আছে। দারোয়ান নবকেষ্টর কণ্ঠস্বরে গুরুদাসের ঘোর কাটে। নবকেষ্ট ক্লাসের দরজার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে।’ স্কুলের দারোয়ানের সঙ্গে কথা বলে, তাকে রাজি করান গুরুদাস--- তাড়া থাকলে সে না হয় চলে যাক বাড়ি, তাকে দিয়ে যাক লাইব্রেরি ঘরের চাবি। আগামীকাল সকালেই গুরুদাস স্কুল শুরুর আগে তা ফেরত দিয়ে দেবেন তাকে। দারোয়ান চাবি দিয়ে লাইব্রেরি ঘরের দরজা খুলে পুরো চাবির গোছা গুরুদাসের হাতে দিয়ে বাড়ি চলে যায়। গুরুদাস একের পর এক বাংলা অভিধান খুঁজে দেখে--- কোথাও পায় না ‘চেয়ে’ শব্দের জন্য আলাদা কোনো প্রবেশক বা এন্ট্রি। এই দৃশ্যে কোনো সংলাপ স্বাভাবিকভাবেই নেই--- কিন্তু কীভাবে কী দেখা যাচ্ছে, গুরুদাস কী বই নামাচ্ছেন ও কী দেখছেন, তা উল্লিখিত। কেবল একের পর এক বইতে ওই শব্দটি না দেখে গুরুদাসের একটিমাত্র স্বগতোক্তি, ‘আশ্চর্য’।

আরও পড়ুন
সত্যজিতের সংলাপ-ভাবনা

ছবির অভিধানের প্রচ্ছদ পরিকল্পনা

 

আরও পড়ুন
এক চিত্রনাট্যের ‘খসড়া’-বৃত্তান্ত!

এরপরের দৃশ্য সন্ধ্যা। বৃষ্টি পড়ছে। গুরুদাস বাড়ি ফিরছেন, দূরে ছেলেরা মাঠে খেলা করছে, তার মধ্যে যে প্রবীরও আছে, সেটাও লেখা ছিল চিত্রনাটের খসড়াতে। ‘প্রবীর খেলায় মগ্ন--- সে গুরুদাসকে দেখতে পায় না। গুরুদাস বাড়ির মুখে হাঁটতে থাকে।’ বাড়ি ফিরে তিনি মেয়ে শিবানীকে বলেন, ফাঁড়া শব্দটা অভিধানে খুঁজতে। দেখা যায়, শব্দটি আছে, কিন্তু শব্দটা কোথা থেকে এলো--- তার হদিশ নেই। প্রতিবেশী অন্য এক মাস্টারমশাই আসেন কথা বলতে--- তাঁর নাম মুরারিমোহন চক্রবর্তী। তিনি জগত্তারিণী স্কুলের ইতিহাসের শিক্ষক। তিনি গল্পের শুরুতেই যে কথাটা বলেন, তা হল, ‘বলুন, আজ নয়া দিল্লির পত্তন হচ্ছে জানেন তো? কাগজে ছবি দেখছি--- খাসা শহর।’ গুরুদাস বলেন, এই বাংলা বাক্যে কতগুলো ফারসি শব্দ আছে। নয়া, পত্তন, ছবি, কাগজ, খাসা, শহর--- এতগুলো ফারসি শব্দ। এরাও তো আজকের বাংলা শব্দ হয়ে গেছে। তাঁদের কথা এগোতে থাকে। এক-একটি গোটা দৃশ্য রচনা করে ফেলেছিলেন সত্যজিৎ।

পাতার ধারে কত রকম জিজ্ঞাসার চিহ্ন ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। বক্সের মধ্যে কোথাও লিখেছেন ‘ধর্মঘট কথাটা কবে এলো?’ কোথাও লেখা ‘সত্যাগ্রহ কবে এলো?’ আবার কোথাও লেখা ‘বয়কট কবে এলো?’ গুরুদাস ভট্টাচার্যের এই শব্দসংগ্রহের কাহিনি চিত্ররূপ পেল না! তৈরি হল না ছবি! রয়ে গিয়েছে সেই চিত্রনাট্যের খাতা। রে সোসাইটি থেকে যদি সেই খাতার একেবারেই কলমকারিতে বদ্ধ লিখন, মূল পাতার ছবিসহ ছাপা-লেখার হরফদারিতে সুসম্পাদিত করে বার করা যায়, কী দরকারি একটা কাজই না হয়! হবে কী তা ভবিষ্যতে?

পরিশিষ্ট

মনে আছে, নিশ্চয়ই, একটি পাতার কথা শেষে বলব বলে, তোলা ছিল। এবারে বলি সেই কথাটি--- মানে ওই খসড়া খাতার তিন নম্বর পাতার লেখার কথাটুকু। ‘একটি জীবন’-এর জন্য বরাদ্দ সেই খাতার তিন নম্বর পাতায় ছিল চরিত্রলিপি। মনে হবে, সে চরিত্রলিপি এই ছবির চরিত্রলিপি। অদ্ভুতভাবে তা কিন্তু নয়। সেই পাতায় লেখা ছিল, ‘শশী দাস’, শশীর বাবা ‘গোপাল দাস’, ‘যামিনী সেন--- বৃদ্ধ কবিরাজ’, ‘সেন দিদি--- যামিনীর বৌ, ছেলেপিলে হয়নি’, লেখা ছিল সে ‘রূপসী, প্রতিমার মতো কিশোরী’। লেখা ছিল ‘হারু ঘোষ’, তার ছেলে ‘পরাণ’ আর পরাণের বউ ‘কুসুম’-এর নাম। কুসুম সম্পর্কে লেখা ‘কুসুমকে এ বাড়ির সকলে ভয় করে--- হারু ঘোষের সর্বস্ব কুসুমের বাবার কাছে বাঁধা আছে।’ আর লেখা নিষ্প্রয়োজন। বাংলা সাহিত্যের যেকোনো পাঠকই বুঝতে পারছেন, সত্যজিৎ ভাবছিলেন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ করার কথা। এই চরিত্রলিপি সেই উপন্যাসেরই চরিত্রনাম। তাহলে তথ্য হিসেবে উল্লেখনীয়, একদিন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বিলামসন’ গল্প অবলম্বনে সত্যজিৎ ছবি করবেন ভেবেছিলেন, এই তথ্য প্রমাণ পরে কখনো ভেবেছিলেন মানিকের ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’-ও। সেও তো এক না-হওয়া ছবিরই প্রস্তুতি পর্বের কলমকারি!  

Powered by Froala Editor