পরিবেশ বাঁচাতে 'জাঙ্ক আর্ট'-ই হাতিয়ার কোরিয়ার পর্বত অভিযাত্রীদের

মেঘ সাম্রাজ্য, পাহাড় কে না ভালোবাসে। নিরিবিলিতে ছুটি কাটাতে তাই অধিকাংশ মানুষের ঠিকানা হয় মনোরম প্রকৃতি। কিন্তু তার সৌন্দর্য, স্বাস্থ্যের ব্যাপারে কি আদৌ ওয়াকিবহাল থাকি আমরা? বোধ হয় না। তা না হলে টনের পর টন প্লাস্টিক ও অন্যান্য বর্জ্যে ভরে উঠত না তার কোল। পাহাড়-পরিবেশের প্রতি ভ্রমণকারীদের দায়িত্ব ও দায়সারা মনোভাবের কথা মনে করিয়ে দিতেই এবার অভিনব উদ্যোগ দেখা গেল দক্ষিণ কোরিয়ায়।

মাউন্ট জিরি। দক্ষিণ কোরিয়ার বৃহত্তম জাতীয় উদ্যানই এটি। বছর দুয়েক আগে ২০১৮ সালে কোরিয়ান অভিযাত্রী কিম কাং-ইউন অবাক হয়েছিলেন জিরিতে পৌঁছেই। সাধারণ ভ্রমণপিপাসুদের ভিড়ে ওষ্ঠাগত প্রকৃতি। সর্বত্রই ছড়িয়ে রয়েছে আবর্জনা। মানুষকে সচেতন করতে সেই আবর্জনা দিয়েই পাহাড়ের অন্যতম ট্যুরিস্ট স্পটগুলিতে শৈল্পিক বার্তা দিয়ে আসেন তিনি। পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখার আর্জি। 

মাউন্ট মানিতে প্লাস্টিক সাজিয়েই কিম তৈরি করেন একটি বিড়ালের প্রতিকৃতি। চোখ দিয়ে তার গড়িয়ে পড়ছে জল। তলায় লেখা 'সেভ দ্য আর্থ'। পাশাপাশি মৃত্যুমুখী মাছ, প্রজাপতির প্রতিকৃতিও বাদ নেই এই শিল্প থেকে। কিমের এই 'জাঙ্ক আর্ট'-এ সামিল হয়েছেন অন্যান্য অভিযাত্রীরাও। দক্ষিণ কোরিয়ার সিওর শহরের কাছাকাছি প্রায় সমস্ত পাহাড়ি অঞ্চলেই এখন হামেশাই চোখে পড়ছে এ ধরণের শিল্পকলা। 

লকডাউনের আগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দক্ষিণ কোরিয়ার ২০টি পাহাড়ি পর্যটন কেন্দ্রে মোট অজৈব আবর্জনার পরিমাণ ৮০০ টন। মহামারীর এই আবহে আরও ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে পর্যটকদের সংখ্যা। ফলে আশঙ্কা বাড়ছে আরও। পরিবেশ বাঁচাতে একমাত্র উপায়ই সচেতন করা তাঁদের। তাই এই পথই বেছে নিয়েছেন কোরিয়ার অভিযাত্রী পরিবেশকর্মীরা...

Powered by Froala Editor