সমুদ্রে জমা প্লাস্টিক সরাতে দরকার ১০০ কোটির লোকবল, ভয়ংকর তথ্য উঠে এল গবেষণায়

সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। এক কথায় যার থেকে পরিত্রাণ নেই কোনোভাবেই। এই দশকের শেষে প্রতি বছর নদী, হ্রদ এবং মহাসাগরে গড়ে প্রায় ৩ কোটি ৩০ লক্ষ টন প্লাস্টিক বর্জ্য জমতে চলেছে। প্লাস্টিক দূষণ হ্রাস করার জন্য বিশ্বব্যাপী যা যা প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, প্রত্যেকটি দেশ সেই প্রতিশ্রুতি পালন করার পরেও এই ঘটনা ঘটবে বলেই আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের।

সম্প্রতি সায়েন্স জার্নাল পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এই নতুন গবেষণা। সেখানে বিজ্ঞানীরা ইঙ্গিত দিয়েছেন বর্তমান মডেলকে সামনে রেখেই প্লাস্টিক নির্গমনকে আরও হ্রাস করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমান পরিস্থিতিতে। টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিদ এবং বিবর্তনমূলক জীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং এই গবেষণাপত্রের লেখক চেলসি রচম্যান জানাচ্ছেন, প্লাস্টিক উৎপাদন বন্ধ করে পুনর্ব্যবহারে জোর দিতে হবে।

গবেষকদের মতে, ২০১৬ সালেই শুধুমাত্র সারা বিশ্বে উত্পাদিত প্লাস্টিকের ১১ শতাংশ মিশেছে জলজ বাস্তুতন্ত্রে। যার পরিমাণ প্রায় ২-২.৩ কোটি টন। যার পরিমাণ এখন গিয়ে দাঁড়িয়েছে প্রতি বছর ২.৪ থেকে ৩.৪ কোটি টন।

এই দূষণ রোধে চলতি প্রকল্প গুলির পাশাপাশিই নির্দিষ্ট কিছু প্লাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধ করা আবশ্যিক, বাস্তুতন্ত্রের রক্ষার জন্য। এমনটাই মনে করছেন বিজ্ঞনীরা। সেই সঙ্গে অবিরতভাবে জলজ পরিস্থিতি থেকে প্লাস্টিকজাত বর্জ্য অপসারণের ব্যবস্থাও করা দরকার। সমীকরণ বলছে প্রতিবছর প্লাস্টিক উৎপাদনের হার ২৪-৪০ শতাংশ কমালে এবং একই সঙ্গে প্লাস্টিক বর্জ্যের ৬০ শতাংশের পুনর্ব্যবহার এবং সামুদ্রিক পরিবেশ থেকে অপসারণ সম্ভব হলেই আয়ত্তে আসবে পরিস্থিতি। তবে এই পরিকল্পনার জন্য দরকার পড়বে প্রায় ১০০ কোটি মানুষের লোকবল। যা কার্যত অসম্ভব। এতএব প্রত্যেককেই সচেতন হবে প্লাস্টিকের ব্যাপারে। না হলে ডেকে আনা হবে নিজেদেরই বিপদ। নাহলে ২০৩০ সালের মধ্যেই সামুদ্রিক পরিবেশে প্লাস্টিকের পরিমাণ দাঁড়াবে ৫ কোটি ৩০ লক্ষ মেট্রিক টন। সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ঠ হলে তার প্রভাব পড়বে মানুষের ওপরেই...

আরও পড়ুন
করোনার ফলে ব্যাপক বৃদ্ধি প্লাস্টিকের ব্যবহারে, বড়ো বিপদের আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
খাবারের সঙ্গে পাখির ভিতরে যাচ্ছে প্লাস্টিকও, চিন্তিত পরিবেশবিদরা