হেমাঙ্গিনীর চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ল জল

শঙ্কর-সরণি - ১২
আগের পর্বে

অ্যালিস বোনারকে গল্প শোনানোর ভিতর দিয়ে নিজের জীবনকে নতুন করে অনুধাবন করছিলেন উদয়শঙ্কর। কাহিনির শেষে উদয় জানালেন তিনি দেশে ফিরতে চান। দেশের সুর, সেখানকার নানা অখ্যাত বাদ্যযন্ত্র সম্পর্কে আরও গভীরে জানতে চান। তারপর তাদের নিয়ে একটা দল তৈরি করে আবার ফিরবেন ইউরোপে। অ্যালিসও উদয়ের সঙ্গী হতে চাইলেন। অন্যদিকে প্যারিসেই দেখা হল বোম্বাইয়ের সঙ্গীত গবেষক বিষ্ণুদাস শিরালীর সঙ্গে। ১৯২৯ সালে দীর্ঘ দশ বছর পর দেশে ফিরলেন উদয়শঙ্কর। ‘গ্যাঞ্জেস’ জাহাজে বসে ভাবছিলেন পুরনো স্মৃতি। রটেনস্টাইন তাঁকে বলেছিলেন নিজের দেশকে চিনতে। আবার আনা পাভলোভ তাঁকে দেশে ফিরে যেতে বলেছিলেন। উদয়শঙ্করের জীবনে এই দশ বছর ভীষণভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

জাহাজ এসে ঠেকল বোম্বাইতে। সেখান থেকে অ্যালিস বোনারকে সঙ্গে নিয়ে উদয়শঙ্কর এলেন কাশীতে। মায়ের কাছে। হেমাঙ্গিনী তখন রয়েছেন কাশীতে তাঁদের বাঙালিটোলার বাড়িতে। প্রায় দশ বছর পর মা দেখলেন তাঁর সন্তানকে। ইতিমধ্যে পেরিয়েছে অনেকটা সময়। উদয় বড়ো হয়েছেন। দেশে দেশে ছড়িয়েছে তাঁর সুখ্যাতি। কিন্তু মায়ের কাছে সন্তানের বয়স আর যাবতীয় কার্যকলাপ স্থির হয়ে রয়েছে ওই শৈশবের দৌরাত্ম্যেই। উদয়ের মস্তক আঘ্রাণের সময় হেমাঙ্গিনীর চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ল জল।

উদয় যখন বিদেশে, হেমাঙ্গিনী তখন বেশিরভাগ সময়টাই থাকতেন বাঙালিটোলায় তিলোভাণ্ডেশ্বরের গলির ছোট্টো একটা বাড়িতে। তারপর চলে আসেন রাস্তার ধারে, তিন নম্বর বাড়িতে। ১৯০০-তে জন্ম নেন উদয়, তার পরের পুত্র সন্তানটি জন্মের পরপরই মারা যায়। ১৯০৫-এ রাজেন্দ্রশঙ্কর, ১৯০৮-এ দেবেন্দ্রশঙ্কর আর ১৯১০-এ জন্ম নিলেন ভূপেন্দ্রশঙ্কর।  ১৯১৪ নাগাদ যে পুত্রসন্তানটি জন্মগ্রহণ করল, মাত্র ন মাস ছিল তার আয়ু। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপ টেনে নিয়ে গেল তাকে। ১৯২০-তে জন্ম নিলেন হেমাঙ্গিনী-শ্যামশঙ্করের সর্বকনিষ্ঠ সন্তান রবিশঙ্কর।

শ্যামশঙ্কর ঝারোয়ারের এস্টেটে কাজ করতেন ঠিকই। কিন্তু মাঝে কাজ ছেড়ে চলে যান বিলেতে। উদাসী ছিলেন। জ্ঞানমার্গী ছিলেন। একবার যোগসাধনায় আগ্রহী হয়ে এক যোগীর সঙ্গে দু-বছর কাটিয়ে দেন আবু পাহাড়ে। একবার মেতে ছিলেন সামগানের নেশায়। সেই গান শেখার জন্য চষে বেরিয়ে ছিলেন দক্ষিণ ভারত, পুনা কখনও বেনারস। কাশীতেই মিঠাইলালজি নামে ছিলেন এক বিখ্যাত ধ্রুপদ গাইয়ে। তাঁর কাছে দু-বছর তালিম নিলেন ধ্রুপদের। যখন প্রায় বৃদ্ধ, শিখতে চাইলেন ফ্রেঞ্চ। শিখলেনও। ওই সময়ই নতুন করে পি এইচ ডি করলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানে। আইনজীবী তো ছিলেনই। জেনিভায় লিগ অব নেশনসে ছিলেন প্রতিনিধি। বেনারস ইউনিভার্সিটি নির্মাণের সময় সঙ্গী ছিলেন মদনমোহন মালব্যর। আন্তরিক যোগ ছিল ডব্লিউ বি ইয়েটসের সঙ্গে। ঝালোয়ার তো ছিলই। এতকিছু করেছেন অথচ নিজের নামের প্রচার-প্রসারের বিষয়টি কখনও ভাবায়নি তাঁকে। কোথাও নিজের নাম ব্যবহারে নিস্পৃহ ছিলেন। নির্লিপ্ত ছিলেন রোজগারের খুঁটিনাটি নিয়েও। কত উচ্চাসনের আমন্ত্রণ ছিল চাকরিতে। গ্রহণ করেননি। নিজের ইচ্ছার হুকুম তামিল করছেন আগাগোড়া। এই ধারার মানুষ, অদ্ভুতত্ব তো ছিলই স্বভাবে। কত মানুষকে হেলায় বিলিয়ে দিয়েছেন নিজের সঞ্চয়, অথচ তাঁর নিজের সংসারের জোয়াল কীভাবে টানছেন হেমাঙ্গিনী, সে কথা মনে পড়েনি তাঁর।     

 মা হেমাঙ্গিনী দেবী

 

আরও পড়ুন
বিদেশও তাঁকে অশেষ করেছে

হিসেব-নিকেশ আয়-ব্যয়ের নিরিখে জীবনধারণের চেহারাটা ঠিক কেমন, তা অজ্ঞাত ছিল শ্যামশঙ্করের কাছে। অন্যদিকে লালন-পালন, দায়-দায়িত্বের গলা জলে ডুবেছিল যাঁর অস্তিত্ব, তিনি হেমাঙ্গিনী। ঝালোয়ার এস্টেট থেকে শ্যামশঙ্কর দুশো টাকার পেনসনের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন হেমাঙ্গিনীকে। কিন্তু রাজ-রাজরার দপ্তরের জটজটিলতায় গড়াতে-গড়াতে তা হাতে এসে দাঁড়াত ষাট টাকায়। হেমাঙ্গিনী যে সময়টা ঝালোয়ারে শ্যামশঙ্করের সঙ্গে থাকতেন, সে সময়ে রাজকীয় প্রাচুর্যে বর্ণময় হয়ে থাকত তাঁর জীবন। রাজার দরবারে সমস্ত কিছু অতিকায়, তার স্পর্শ এসে লাগত তাঁর ঘরোয়া গার্হস্থ্যে। মহারানিরা তাঁকে দিয়েছিলেন সখীর মর্যাদা। রাজার জলসাঘরে শুধু নয়, জেনানা মহলেও বসত সংগীতের মেহফিল। আসতেন সুরের ফরিস্তেরা।  জোহরাবাঈ, গওহরজান, গোকিবাঈদের খেয়াল-ঠুমরির মৌতাত লেগে যেত রানিদের হৃদকমলে। চোখ ভরে দেখতেন ইজ্জতদার খাস ঘরানার বাঈজিদের কলা। তাঁদের আদাঁয়ের মুন্সিয়ানা। হোলি, বসন্ত, দশেরা, দেওয়ালির পালাপার্বণে প্রজাপল্লী একাকার হয়ে মেতে উঠতে চাইত রাজমহলের সঙ্গে। রাজার প্যালেসে রানির ভিতর মহল থেকে সেইসব দিনে সখী হেমাঙ্গিনীর কাছে এসে পৌঁছত সওগাত। জড়োয়ার নেকলেস, মিনাকারি ভারি বালা, কুন্দনের ঝুমকো। আসত রাজার মেজাজের সঙ্গে মানানসই, খেয়ালখুশির আনন্দে গড়া শৌখিন সব দ্রব্যসমূহ। আর সঙ্গে থাকত শাড়ি। শাড়ি, তবে খাস জড়িদারি সে শাড়ি, রানির উপহার বলে কথা। মখমলি সে শাড়ির ছিল শাহি কারিগরি। ঘন হয়ে বিছিয়ে থাকত নকসা। সেই নকসা বোনা হত আসলি সোনার জরিতে। গরিব মানুষ সে শাড়ি অঙ্গে তোলার কথা কল্পনাও করতে পারত না। সাবধানে জরি তুলে গয়না গড়িয়ে তুলে রাখত তোরঙ্গে। কিন্তু রাজার বাড়িতে থাকার মুহূর্তকাল কেটে যেতেই সুয়োরানির জগৎ থেকে খসে পড়ে  হেমাঙ্গিনী যেন এসে পড়তেন অবহেলিত, অনাদৃত দুয়োরানির রিক্ত, নিঃস্ব পর্ণকুটিরে।

উদয় তখন বিলেতে। চরম অভাব দুর্দশা, অন্ধকার নামলে হেমাঙ্গিনী গায়ে জড়িয়ে নিতেন সিল্কের চাদর। তাঁদের বাসা বাড়ির গলির কাছেই ছিল দুঃখী তেলি নামে একজনের দোকান। অদ্ভুত ছিল এঁদের সম্বোধন। হেমাঙ্গিনী তাঁকে ভাই ডাকতেন। হেমাঙ্গিনীকে তিনি ডাকতেন, মা। সিল্কের চাদরের নীচে লুকিয়ে আনতেন রানির কাছে-পাওয়া যত সাধের সামগ্রী। বাঁধা দিয়ে, টাকা নিয়ে ভরণপোষণ করতেন সন্তানদের। জমিদারের কন্যা ছিলেন, জমিদারের পূত্রবধূ উপরন্তু শ্যামশঙ্করের মতো মানী লোকের ঘরণী। ওই সমস্ত পরিচয়কে অক্ষত-অক্ষুণ্ণ রাখতে রাতের আড়ালটুকুর জন্য অপেক্ষা করতে হত তাঁকে।

আরও পড়ুন
সৌভাগ্য স্বয়ং এসে দাঁড়ালেন

বাবা শ্যামশঙ্কর

 

হেমাঙ্গিনীর গলার সুর আর হাতের রান্নার সুলুক-সন্ধান দিয়েছিলেন তাঁর কনিষ্ঠ সন্তান রবিশঙ্কর। মায়ের স্মৃতিচারণে জানিয়েছিলেন এইসব কথা। বলেছিলেন, মায়ের কোলে মাথা রাখলে, মাথা চাপড়ে-চাপড়ে গান গাইতেন মা। শেখেননি কখনও, অথচ কী সুরেলা আওয়াজ। টুকরো টুকরো ঠুমরি গাইতেন। অথবা চৈতি, কাজরি। অথবা থিয়েটারের গানও, কাঁহা জীবন ঘন, বৃন্দাবন মন প্রাণ, কাঁহা মেরি হৃদয়কি রাজা। একথাও জানিয়েছিলেন রবিশঙ্কর, তাঁর হাতের রান্নার তারিফে অতিথি-অভ্যাগতরা তৃপ্তি সহকারে সারতেন ভোজন। তার হেঁসেলে পালং শাকও হয়ে উঠত মহাভোজ। কিন্তু এক-একদিন চোখে পড়ে যেত, সবাইকে পরিপাটি খাইয়ে মা নিজে খেতেন একটুখানি গুড় আর ঢকঢক করে এক ঘটি জল।

আরও পড়ুন
এখানে তোমাকে মানায় না শঙ্কর

রাজেন্দ্রশঙ্কর ভালো ব্যাডমিন্টন খেলতেন। ক্রিকেটেও ছিলেন দুরস্ত। ক্ল্যারিওনেট আর বাঁশি বাজাতেন। হারমোনিয়ম, সেতার, এসরাজও চলত টুকটাক।  ভাইদের মধ্যে সবচেয়ে নরম-সরম ছিলেন ভূপেন্দ্রশঙ্কর। অ্যাইয়া লম্বা, মাথা ভর্তি ঝাঁকরা চুল, দুটো মায়াবী চোখ। গান গাইতেন আর লিখতেন কবিতা। কেউ বকলে ছাতে বসে কাঁদতেন একলা। সংসারের খরচ নির্বাহের জন্য একবার কাশী এসে কুড়ি-বাইশ জনের বসবার উপযোগী একটা গাড়ি কিনে দিয়েছিলেন শ্যামশঙ্কর। তার থেকে কিছুদিন চলেছিল রোজগারপাতি। ভূপেন্দ্রশঙ্করই দেখাশোনা করতেন সেই গাড়ির। ১৯২৮-এ লাগল মড়ক। চারিদিকে ছড়িয়ে গেল প্লেগ। মায়ের মন আঁকড়ে ধরল তাঁর সন্ততিকে। একদিন বাড়ির আঙিনায় এল ভূপেন্দ্রর মৃতদেহ। মায়ের মতো হেমবর্ণ গায়ের রঙ। দীর্ঘ কান্তি সুদর্শন তাঁর সন্তান। মুদে রয়েছে মায়াবী দুটো চোখ। হেমাঙ্গিনীর স্নেহচ্ছায়া থেকে কেড়ে নিয়ে গেল তাঁকে। এবারও নিশ্চল স্তব্ধ হয়ে রইলেন তিনি। এতদিন ধৈর্যের শাসনে নিজেকে রেখেছিলেন হেমাঙ্গিনী। কিন্তু বুকের কাছটিতে যখন স্নেহস্পর্শে পেলেন উদয়কে, যেন ভেঙে পড়ল শোকের পাহাড়।

বিদেশে উদয়ের দিনরাত্রি কেটেছে নিরন্তর এক কর্মকাণ্ডে। ঘরে ফিরে, এসে পড়লেন চিরপরিচিত, মায়ের গুছিয়ে রাখা সংসারটার মধ্যে। উদয় দেখলেন, মায়ের সংসার রচনার মধ্যে বিস্তৃত হয়ে রয়েছেন মা-ই। যত্ন আর মমতার পাড় বুনে দেওয়া এক ছায়ানীড়। মায়ের কথা তাঁর মনে পড়েছে কতবার, জন্মাবধি মাকেই ভালোবেসেছেন তিনি। কিন্তু স্নেহ আর স্বজনের বেড়া-লাগানো মাকে, তাঁর ঊনকোটি ব্যস্ততার মধ্যে যখন দেখলেন, টের পেলেন এক অনুভূতি। মাতৃস্নেহের এক গভীর  পিপাসা অজানিত হয়ে বাসা বেঁধে ছিল কোন দুর্ভেদ্য প্রদেশে, আজ তাঁকে নাড়া দিল প্রবলভাবে।  

আরও পড়ুন
উদয় নিজেও দাঁড়ালেন দর্পণের সামনে

মা হেমাঙ্গিনী দেবীর সঙ্গে জ্যেষ্ঠ উদয়শঙ্কর ও কনিষ্ঠ রবিশঙ্কর।

 

বিবিধ বিপত্তিতে কত অসহায়তার মধ্যেও সন্তানদের স্বভাবের ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে হেমাঙ্গিনীর মাতৃত্ব।  উচ্চকিত ছিল না তাঁর প্রকাশ। শান্ত, নিঃশব্দ ছিল আশ্বাসের ভঙ্গি। নিজের দাম্পত্যের অভিমান আর ক্ষোভের শরিক হতে দেননি সন্তানদের। তাদের ভালোমন্দকেও কখনও বিচার করেননি দস্তুর দিয়ে। গভীর ভালোবাসায় আশ্রয় দিয়েছেন সন্তানদের। তাঁদের সত্তার ওপর জোরাজুরি থেকে সাধ্যমতো রক্ষা করেছেন তাঁদের। আশ্রয় দিয়েছেন তাঁদের সত্তাকেও।

উদয়শঙ্করের দীর্ঘ অনুপস্থিতির একটা ক্ষীণ অস্বস্তি অল্প সময়ের জন্য ঘিরে রইল রাজেন্দ্রশঙ্কর আর দেবেন্দ্রশঙ্করের ভেতরে। তাঁদের খেলার সঙ্গী ছিলেন উদয়। আজ এই খ্যাতনামা মানুষটিকে সংসারের ঠিক কোনখানে জুড়ে নেবেন তার থই পেলেন না তাঁরা। চিরদিন ভ্রাতৃবৎসল ছিলেন উদয়। সহজ আর ঘরোয়া  স্বভাবটি প্রকাশ পেতে অপেক্ষা করতে হল না তাঁদের। দুনিয়া ঘুরে এলেও সে যে একান্তই আপনার সেই উত্তাপ এসে লাগল ভাইদের মনে। কিন্তু যা সবচেয়ে আশ্চর্যের, তা ঘটল সেই শিশুসন্তানটিকে ঘিরে। যার জন্মের পর-পরই তিনি পাড়ি দিলেন বিদেশ, জ্ঞান হওয়া ইস্তক যে কখনও দেখেনি উদয়কে, সেই বালক তিলমাত্র সংকোচশূন্য  দাবিতে, অধিকার করে বসল তাঁকে। রবিশঙ্করকে দেখলেন উদয়। রক্তের সম্পর্কে কী প্রবল পরাক্রম অনুভব করলেন তিনি। ভূপেন্দ্রকে যে বয়সটাতে ছেড়ে বিদেশ গিয়েছিলেন উদয়, যেন সেই বয়সটাই নতুন মূর্তি নিয়ে দাঁড়াল তাঁর বাৎসল্যের চৌকাঠে।

ঘরে ফেরার সুখ অনুভব করলেন উদয়। পরিজন পরিবেষ্টিত আমোদ-আহ্লাদ থেকে বহুদিন বহুদূর ছিলেন তিনি। শুধু পরিজন কেন? বিনা স্বদেশীয় ভাষা? অপূরণ ছিল সেই আশা। নিজ ভূমে আপন ধরা-চূড়া, আপনার বুলি, মায়ের পাকশালার অন্নব্যঞ্জনে তৃপ্ত বোধ করলেন তিনি। আজন্মের চেনা-জানা ওই জল-হাওয়া, ওই জনস্রোত। মন চলেছে নিজ নিকেতনে। তবে এই নিবিড় ঘরটিকেই  বৃহত্তর করে তুলতে তিনি ফিরেছেন এইবেলা।  দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে তিনি খুঁজবেন তাঁর ‘স্বজন’। ঐতিহ্যের শোণিতধারায় তিনি অর্জন করতে চান তাঁর নতুনতর ‘পরিবার’। এই দেশই তাঁর সেই বিরাট ঘর।

Powered by Froala Editor