উদয়শঙ্করের কাছ থেকে দর্শক ফিরলেন শূন্য হাতে

অক্ষয়কুমার নন্দী মারা গেলেন ১৯৬৯-এর শেষের দিকে। অমলা ভেঙে পড়লেন আরো। চিরটাকাল বাবাই থেকেছেন তাঁর আদর্শের কেন্দ্রে। সেই শোক বহমান দুঃখকে করে তুলল দ্বিগুণতর। ২ মার্চ ১৯৭০ বোন বীণাকে চিঠিতে লিখলেন অমলা, ‘বাবার অভাব আমি আজকাল যে কী গভীরভাবে উপলব্ধি করছি তা বোধহয় তুমি ছাড়া আর কেউ বুঝতে পারবে না। তোমায় চিঠি লিখছি আর দু চোখ ভেসে যাচ্ছে।’ ‘কোনও দিনই আমি যশ অর্থ লাভের আশায় ধাইনি।… আজ আমাকে শুনতে হচ্ছে আমি dictator, আমি তাদের হাতের মুঠোয় রাখতে চাই। সে মুঠোটা কী সীমায় বাঁধা তা কেউ বুঝতে পারছে না! তাই আজকাল বেশীর ভাগ সময়ই আমি নীরবে কাঁদি। এক এক সময় মনে হয় বৃথা এ সব মঙ্গল চেষ্টা।’ ‘আমি দুর্বল হইনি তবে মনের চিন্তাধারাকে জাল টানার মতো গুটিয়ে এনে নিজেরই চারপাশে রাখতে চেষ্টা করছি। আমি কোনও কিছুই করতে পারব না যেখানে আমার একেবারে নিজস্ব আদর্শে ঘা লাগবে। শুধু চাই শক্তি আমার নিজের শক্তি— যদি পতাকা বইতে হয় সেই বইবার শক্তিটুকু যেন না হারাই।’

১৯৬০ সালে উদয়শঙ্কর সৃজনশীল নৃত্যের জন্য পেয়েছিলেন ‘সঙ্গীত-নাটক-আকাদেমি’ পুরস্কার। ১৯৬২-তে পেলেন ‘সঙ্গীত-নাটক-আকাদেমি’ ফেলোশিপের সম্মান। ১৯৭১-এ লাভ করলেন ‘পদ্মবিভূষণ’। পরে ১৯৭৫-এ বিশ্বভারতী তাঁকে সম্মানিত করবে ‘দেশিকোত্তম’-এ। ভারতীয় নৃত্যশৈলীর ঐতিহ্যে তাঁর অবদানটিকে, সদ্য-স্বাধীনতাপ্রাপ্ত দেশ তবু যে সম্মানিত করতে পেরেছিল তাঁর জীবদ্দশাতেই, সে বড়ো আনন্দের কথা। এই স্বীকৃতি সুনিশ্চিত আনন্দিত করেছিল উদয়শঙ্করকেও। তবু যে একটা গভীর অসন্তোষ ঘিরে ধরছিল তাঁকে, তার কারণ সম্ভবত অন্য। স্রষ্টা তাঁর সৃষ্টির আবহমান ধারাটিকে দেখতে চান অব্যাহত করে, নিরবিচ্ছিন্নভাবে। এইসব পুরস্কারে মূলত স্বীকৃত হচ্ছিল উদয়শঙ্করের উজ্জ্বল অতীত অধ্যায়টি। অথচ তখনই ঠিক বিপ্রতীপে দাঁড়িয়ে তাঁর সমকাল। তাঁর বর্তমানটি ক্রমে অধিগৃহীত হচ্ছিল চরম ব্যর্থতা আর তীব্র উপেক্ষায়। তাঁর অতীত আর তাঁর বর্তমান দাঁড়াল প্রতিস্পর্ধী। সেই শোক যে শিল্পীর ভেতর বাজবে, সে-ই তো স্বাভাবিক।

অমলাশঙ্কর

 

‘কল্পনা’-উত্তর উদয়শঙ্করকে আমরা মূলত দেখতে চেয়েছি অমলাশঙ্করের ভাষ্যের সাপেক্ষেই। জগৎবিখ্যাত এক স্বামী, তাঁর খ্যাতির ঔজ্জ্বল্য ধূসর হয়ে আসার দিনগুলি কীভাবে ব্যথিত করেছিল তাঁকে, কীভাবে বিপন্ন করেছিল তাঁর জীবনকে, আমরা দেখতে চেয়েছি সেই বিষয়টিকে। এই সময়কালটিকে সেভাবে বিস্তার করেননি স্বয়ং উদয়শঙ্করের জীবনীকার সুধীরঞ্জন মুখোপাধ্যায়ও। ফলত উদয়শঙ্করের পরিপ্রেক্ষিত থেকে তাঁকে জানা সম্ভব হয়নি আমাদের। ‘রাগ-অনুরাগ’-এ বলেছিলেন রবিশঙ্কর, ‘জীবন, ভালোবাসা এবং শিল্প— এই তিনটে বিষয়কে সাধনা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে এক সুরে বাঁধার ঢঙটা আমি ওঁর [উদয়শঙ্কর] থেকেই শিখেছি। ওঁর জীবনের সবচেয়ে ভাল সময়টায় মনে হত যেন ঈশ্বর সব কিছু ওঁকে উজাড় করে দিয়েছেন। সারা পৃথিবীতে তখন ওঁর ভক্ত এবং অনুরাগীরা ওঁকে এক দেবতার আসনে বসিয়ে রেখেছিল।’ জীবন-ভালোবাসা-শিল্প বিনা-সুতোয় হয়ে পড়ল খণ্ড-বিখণ্ড, ছত্রখানও। দেবতার অধিকার থেকে কোন পালাবদলে তাঁকে নেমে আসতে হল মানবলোকে। এক শিল্পীর সত্তা থেকে ধীরে খসে পড়ছে তাঁর কারুসাজ। সেই যন্ত্রণা কাতর করে তুলছে তাঁকে, করে তুলছে অস্থির। কখনও অযৌক্তিক, কখনও নির্মম হয়ে উঠছে তাঁর আচরণ, গতি-বিধি। হতাশ এক রূপদক্ষ যেন নিজের সম্মুখ প্রত্যক্ষকে লণ্ডভণ্ড করেই উদ্গীরণ করতে চাইছেন নিজের অন্তরস্থ বিষাদ আর গরমিলকেই। কী করুণ সে কাহিনি। 

আরও পড়ুন
উদয়শঙ্করকে রাখা হল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে

১৯৭০-এ উদয়শঙ্করের সত্তর বছর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রইলেন রবিশঙ্কর। নৃত্যাচার্য উদয়শঙ্করকে দেওয়া হল সংবর্ধনা। ১৯৭১-এ শুরু হল ‘শঙ্করস্কোপ’। মঞ্চ, ফিল্ম, প্রোজেক্টারের মিশ্রণে তৈরি এক শিল্পসংরূপ। সনিষ্ঠ মাত্রাজ্ঞানে বিপরীত সব মাধ্যমকে সুনিপুণভাবে ব্যবহার করে নির্মিত এ শিল্পসমন্বয়। অভিনব এই শিল্পপ্রকরণ বিষয়ে জানিয়েছিলেন উদয়শঙ্কর, ‘আমার শিল্পজীবনের শুরু থেকেই আমি কোনও অনুষ্ঠানের পুনরাবৃত্তি চাইনি, বরং অনবরত চেষ্টা করেছি ভারতীয় ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি ভিত্তিক নতুন এবং বিশিষ্ট কিছু প্রস্তুত করতে… সম্প্রতি বিদেশে কিছু জায়গায় এই জাতীয় অনুষ্ঠানের সফল প্রযোজনার কথা আমি শুনেছি, কিন্তু দেখিনি।… মঞ্চে সিনেমার সাহায্যে এটি একটি নতুন ধরনের বিচিত্রানুষ্ঠান। মঞ্চ ও চলচ্চিত্রের সমন্বয়ে এ যেন এক মায়াজাল…’।

আরও পড়ুন
নিজের প্রৌঢ়ত্বের সামনে উদয় দাঁড়ালেন দ্বিধাদীর্ণ

উদয়শঙ্করের সত্তর বছরের জন্মবার্ষিকী

 

আরও পড়ুন
উদয়কে ভুলে যাও, উদয়শঙ্করকে মনে রাখো

ব্যয় হল প্রচুর অর্থ। আর্থিক সাহায্য ও পরিবেশনার দায়িত্ব নিলেন রঞ্জিতমল কাঙ্কারিয়া। এই আয়োজনেও বাদ পড়লেন অমলা। যদিও আনন্দশঙ্কর ছিলেন সংগীতশিল্পীদের তালিকায়। আকাদেমি অফ ফাইন আর্টসে মঞ্চস্থ হল ‘শঙ্করস্কোপ’। উদয়শঙ্করের প্রত্যাবর্তন সাড়া তুলেছিল মহানগরে। অনুষ্ঠান সেই উত্তেজনাকে স্পর্শ করার ব্যাপারে রইল অসফল। আর্থিক ক্ষতিরও সম্মুখীন হল এই পরিকল্পনা। সমালোচকরা এই উদ্যোগের নতুনত্বকে স্বীকার করলেন বটে। কিন্তু এর শিল্পনৈপুণ্যের প্রশংসা থেকে বিরত রাখলেন নিজেদের। কিছু ক্ষেত্রে জুটল অপ্রিয় সত্য আর কঠোর সমালোচনাও।

আরও পড়ুন
আমিই সব, এ দুর্বলতা ছিল উদয়শঙ্করের

‘দেশ’ পত্রিকা লিখল, ‘…শঙ্করস্কোপ একটি টেকনিক সন্দেহ নেই, কিন্তু সেটা বাহ্য আঙ্গিকের এক চমৎকার এক্সপেরিমেন্ট ছাড়া এখনও পর্যন্ত কিছু নয়। আশা করা যায় এর মধ্যে দিয়ে মহৎ বিষয়বস্তু হয়তো এক দিন তুলে ধরা হবে…।’ ‘হয়তো একদিন তুলে ধরা হবে’-র শ্লেষটি নিঃসন্দেহে দুঃখজনক। অর্থাৎ বাইরের কৌশলটিকে বাদ দিলে এর ভাববস্তুতে এখনও অনুপস্থিত শিল্পবোধের গাম্ভীর্য। ‘ দ্য স্টেটসম্যান’ লিখল ‘…আশ্চর্য লাগে যে ‘কল্পনা’ এবং ‘রামলীলা’-র স্রষ্টা এখন ‘ভিসুয়াল গিমিকস’ উদ্ভাবনেই সন্তুষ্ট’। শিল্পের মধ্যে দিয়ে ‘কল্পনা’ খুঁজতে চেয়েছিল একটা দেশ আর তার সুগভীর দর্শনকে। ‘রামলীলা’ স্পর্শ করেছিল শিল্পকারিগরির শিখর। ওই পরিবেশনায় প্রকৌশল আর ভারতীয় পুরাণ-ভাবনা হতে পেরেছিল সম্পৃক্ত। সেই স্রষ্টার কাছ থেকে দর্শক ফিরলেন শূন্যহাতে। অমলাশঙ্কর জানিয়েছিলেন, ‘…পরের দিকে উনি এমন সব ব্যাপারে জড়িয়ে পড়লেন, যেখানে ওঁর উদ্ভাবনীশক্তির তারিফ করা যায়, কিন্তু প্রযোজনায় উদয়শঙ্করের উৎকর্ষের ছাপ ছিল না। যেমন, শঙ্করস্কোপ।’ প্রযোজনা সফল না হওয়ার চেয়েও বোধকরি মানুষ অধিক পীড়া অনুভব করলেন শিল্পে চমকসৃষ্টির অভিপ্রায়টিতে। এর চেয়ে বড়ো আত্মিক-মৃত্যু একজন শিল্পীর কাছে আর কী হতে পারে?

কিশোরী অমলা, উদয়শঙ্কর ও কনকলতা

 

নিজেদের দাম্পত্য সমস্যাকে উদয়শঙ্কর নিয়ে এলেন প্রকাশ্যে। ২৬ এপ্রিল ১৯৭২-এ লেখা সেন্টারের সাধারণ সচিব সুকোমলকান্তি ঘোষের কাছে এল উদয়শঙ্করের চিঠি। সেই চিঠি পৌঁছল ‘উদয়শঙ্কর ইন্ডিয়া কালচার সেন্টার’-এর কার্যবাহক কমিটির সমস্ত সদস্যদের কাছেও। উদয়শঙ্কর চিঠি লিখলেন, চিঠিতে আগাগোড়া উল্লেখহীন অমলার নাম, অথচ, বক্তব্য জুড়ে অমলারই বিরুদ্ধাচরণ। নিজের ইচ্ছাতেই একদিন অমলার নাচের স্কুলের সঙ্গে তিনি জুড়তে চেয়েছিলেন নিজের নাম। সেই নামকে ফিরিয়ে নিতে চাইলেন আজ, যখন প্রতিষ্ঠিত এই নৃত্যপ্রতিষ্ঠান। তিনি জানালেন সেন্টারের কাজ ‘সন্তোষজনক’ নয়, তাঁর ‘ভাবনাচিন্তা’ থেকে তা ‘সম্পূর্ণভাবে ভিন্ন’। খাটো করা হচ্ছে তাঁর নাম। সেন্টারে ‘সম্পূর্ণ উপেক্ষিত’ হয়েছে তাঁর ‘বিশেষ প্রশিক্ষণ’। বোঝা যায়, তাঁর ঘরানা থেকে তিনি বিয়োজিত করতে চাইছিলেন অমলার নাম। অত্যন্ত বেদনাদায়ক এ বিষয়টিও, তিনি পৃথক করতে চাইছিলেন তাঁর নামের সুবাদে আসা ছাত্রী এবং গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীদেরও।

চিঠিতে লিখলেন উদয়, ১৯৬৫ সালে সেন্টার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয় ‘এই আশায় যে আলমোড়ার মতো একটি আদর্শ এবং অদ্বিতীয় সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান স্থাপন করতে পারব… কিন্তু পরে আমি অত্যন্ত আশ্চর্যের সঙ্গে বোধ করেছি যে এই সংস্থার সুষ্ঠু পরিচালনা এবং প্রগতির জন্য আমার সাহায্য বা নির্দেশনার কোনও প্রয়োজন নেই। তাই আমি আপনাকে স্পষ্টভাবে জানাতে চাই যে সেন্টার যেভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে তা একেবারেই সন্তোষজনক নয় এবং আমার ভাবনাচিন্তা থেকে সম্পূর্ণভাবে ভিন্ন। এইভাবে আমার এবং সেন্টারের নাম নীচু করা হচ্ছে।’ বললেন, ‘আমার বিশেষ প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ উপেক্ষিত হয়েছে। তাই আমার নাম এবং যে সব অভিভাবকেরা মেয়েদের সেই বিশেষ প্রশিক্ষণের খাতিরে সেন্টারে পাঠান, তাঁদের জন্য আমি সত্যিই দুঃখবোধ করি’। শেষে লিখলেন, ‘আমি শুধু নিজের নামের জন্যই চিন্তিত নই, আপনাদের এবং অন্যান্য শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিদের জন্যও উদ্বিগ্ন। আমি আবার আপনাকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য এবং সেন্টারের নাম পরিবর্তনেরর দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে অনুরোধ করছি।’ রাজসিক আয়োজনেও অন্তর্দ্বন্দ্বে চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয়েছিল উদয়শঙ্করের আলমোড়ার কালচারাল সেন্টার আর অত্যন্ত যৎসামান্য ব্যবস্থাপনাতে সুষ্ঠুভাবে স্থায়ী হতে পেরেছিল কলকাতায় অমলার কালচার সেন্টার। অমলাশঙ্কর নিজেই হয়ে উঠছিলেন একটি স্বতন্ত্র স্বয়ংসম্পূর্ণ ‘নাম’।

উদয়শঙ্কর ও অমলাশঙ্কর

 

একবার জানিয়েছিলেন অমলাশঙ্কর, ‘সেন্টারে বহুদিন পর্যন্ত আমি আমাদের পুরনো মুভমেন্টস একটাও করিনি, যাতে কেউ না বলতে পারে যে ও তো উদয়শঙ্করকে ভাঙিয়ে খাচ্ছে। দশ বছর আমি তাই উদয়শঙ্করের তৈরি বিশেষ মুভমেন্টস দেখাইনি। পরে অবশ্য আগেকার সেই সব নাচ ফিরিয়ে এনেছি একটা রেকর্ড রাখার জন্য।’ কী সুন্দর শব্দবন্ধ ‘আমাদের পুরোনো মুভমেন্টস’। কোন কৈশোরবেলা থেকে তিনি জুড়ে আছেন উদয়ের সঙ্গে। যিনি সেইসব মুভমেন্টসকে অন্তরে ধারণ করতেন ‘আমাদের’ বলে, তাঁকেই বিচ্ছিন্ন করা হল সেই অধিকার থেকে। দশ বছর পর তিনি যে পুনর্নির্মাণ করলেন তাঁর নৃত্যসম্পদকে, সেও উদয়শঙ্করের-ই জন্য, উত্তরকালের কাছে তাঁর ঐতিহ্যকে অক্ষুণ্ণ রাখতে।

‘শঙ্করস্কোপ’ নির্মাণের আগেই দাম্পত্যে জুড়ে থাকার সমস্ত ইচ্ছাগুলি শিথিল হয়ে এল আকস্মিকভাবে। অশান্তি-মান-অভিমান তো ছিলই, সর্বোপরি প্রাচীর হয়ে দাঁড়াল অবিশ্বাস। দুটি ভাগে ভাগ হয়ে রইল সংসার। একদিকে মা আর তাঁর পুত্র-কন্যা। অন্যদিকে উদয়শঙ্কর আর তাঁর কাজ। এক অদৃশ্য লক্ষ্মণরেখা ঘনিয়ে উঠল অন্দরে। ওপাশে উদয়শঙ্করের অনুষ্ঠানের মহড়া চলছে। চলছে মানুষজনের আনাগোনা। অমলার সেন্টারের শিল্পীরাই গিয়ে কাজ করে আসছেন উদয়শঙ্করের সঙ্গে। অথচ নিজেরই সংসারের ওই প্রান্তটিতে প্রবেশাধিকার নেই স্বয়ং অমলাশঙ্করের। কাঁটাতারে নিশ্চুপ অমলা নিজের সংসারেই হয়ে রইলেন বহিরাগত। দাম্পত্যের বহ্নিতে শেষ ঘৃতাহুতি পড়ল, ছায়া ঘনিয়ে উঠল তৃতীয় জনের।

Powered by Froala Editor