রয়্যাল আর্ট কলেজ, রটেনস্টাইন ও রবীন্দ্রনাথ

শঙ্কর-সরণি - ৫
আগের পর্বে

গাজিপুর ফিরে এসে আবার নতুন করে জীবন শুরু হল উদয়শঙ্করের। স্কুলে ভর্তি হলেন। নানা বাধানিষেধের মধ্যেই নিজেকে মেলে ধরছিলেন। গ্রামের প্রান্তে অন্ত্যজদের ঘরেও শুরু হয় যাতায়াত। একদিন বন্ধুদের সঙ্গে গেলেন বাইজি গান শুনতে। মাতামহ অভয়চরণ প্রহার করলেন। তবে এসবের মধ্যেও ভিন্ন অভিজ্ঞতা পেলেন আঁকার শিক্ষক অম্বিকাচরণের কাছে। ছবি আঁকার পাশাপাশি গান, গল্প সবই হত। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গেও পরিচয় তাঁর হাত ধরেই। অম্বিকাচরণ একটা ক্যামেরা উপহার দিয়েছিলেন উদয়শঙ্করকে। নানারকম ছবির মধ্যে তিনি তুলেছিলেন এক স্নানরতা নারীর ছবি। এটি তোলার পর অনুশোচনা গ্রাস করে উদয়শঙ্করকে। কিন্তু অম্বিকাচরণ ছবিটির প্রশংসা করেন। তাঁর কাছেই সবকিছুকে বিস্তৃত করে দেখার শিক্ষা পেলেন উদয়শঙ্কর।

উদয়শঙ্করের পিতা শ্যামশঙ্কর বিদেশে গেলে উদয়ের মা হেমাঙ্গিনী দেবী কখনও কখনও নসরতপুরের বাড়ির বদলে উঠতেন কাশীতে, তাঁর পৈত্রিক বাড়িতে। কাশী উদয়ের খুব পছন্দের জায়গা। বেনারসের ঘাট। গঙ্গার কাছে কত মানুষের কত প্রয়োজন কত আকাঙ্ক্ষা। এক চিত্র-বিচিত্র ভারতবর্ষ। মনে হয় যেন কোনো পৌরাণিক আবহে এ নগর অক্ষুণ্ণ রেখেছে তার সমস্ত অতীত স্মৃতিকে। ঘাটে বসে ওই গঙ্গার প্রবাহ আর মানুষের অহরহ আনাগোনায় উদয় যেন দেশীয় ধরন-ধারণকেই দেখতেন ঠায়। আর সন্ধে নামত স্তব্ধতার কলকা এঁকে। চারিদিকে জ্বলে উঠত ছোট্টো ছোট্টো প্রদীপের মালা। আলোর আলপনার খেই ধরে শোনা যেত মন্ত্র-মন্দ্রিত আরতির ধ্বনি।

আরো বড়ো হতে আরো একবার এসেছিলেন এখানে। ঘাটের সিঁড়ির পথ ধরেই তো বিছোনো বেনারসের প্রখ্যাত সব অলি-গলি। গঙ্গায় স্নান সেরে মানুষের হাঁটা-চলায় জলে-জলে কাদা হয়ে উঠত সবটা। একদিন সেই পথ পেরিয়ে উদয় হেঁটে যাচ্ছিলেন ঘাটের দিকে। হঠাৎ চমকে দেখলেন সামনে এক অশীতিপর বৃদ্ধা। বলিরেখায় ভরা মুখ। ন্যুব্জ। মুখে মৃদু হাসি। গঙ্গায় স্নান করেছেন,  ব্রাহ্মণের পদধূলিটুকু পেলে সবটুকু পুন্যি হয়। উদয় সংকোচ বোধ করলেন। নীচের দিকে তাকিয়ে দেখলেন কাদায় পরিপূর্ণ তাঁর পা কী বিশ্রী চেহারা নিয়েছে। এবার দ্বিগুণ অস্বস্তি বোধ হল তাঁর। বাড়ি এসে ছুড়ে ফেলে দিলেন পৈতে। শ্রদ্ধার মতো আন্তরিক একটি বিষয়কে আচারের অঙ্গীভূত করে দেখাটা বিসদৃশ, শ্রী-হীন মনে হল তাঁর।

যে পৈতে উদয় ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন, তাকে ব্রাহ্মণ হিসেবে আর গ্রহণ করেননি কখনও। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার, যখন ভুবনজোড়া খ্যাতি তাঁর, স্টেজে ওঠবার আগে শ্রদ্ধার সঙ্গেই সেটা তুলে নিতেন শরীরে। আর স্টেজ থেকে নেমেই আলাদা করে দিতেন নিজের থেকে। ওই সামান্য সুতো যা তাঁর অর্জন নয়, তা দিয়ে বিশেষ হতে চাননি তিনি। তা থেকে অর্জিত প্রণাম আর ভক্তিও গ্রহণীয় নয় তাঁর কাছে। কিন্তু  স্টেজে ওঠবার আগে ওই সামান্য সুতোকে সামান্য মনে হত না তাঁর। মনে হত ঈশ্বরের কোনো দায়িত্ব নিয়ে তিনি জন্মেছেন যেন। সে কাজ বিশেষ। মুহূর্তের জন্যও তাকে ভুলে থাকা গূঢ়তর অন্যায়।

হেমাঙ্গিনী যখন যেখানে থাকতেন, যেহেতু একটানা দীর্ঘদিন থাকতেন, তখন সেখানেই স্কুলে ভর্তি করে দেওয়া হত উদয়কে। কাশীতে তিনি পড়াশোনা করতেন, হিন্দু কলেজিয়েট স্কুলে। তার পাশেই ছিল বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, বাগ্মী ও মুক্তমনা রাজনৈতিক চিন্তাবিদ অ্যানি বেসান্তের থিওজফিক্যাল সোসাইটি। সেই সময়ে বেসান্ত মাদাম ব্লাভাটস্কির প্রেরণায় যোগ দিয়েছেন থিওজফিক্যাল সোসাইটিতে। কাশীতে সোসাইটির কাজকর্মেও তিনি অগ্রণী, কাশীর হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনেও তিনি অগ্রগণ্যা। তাঁকে উদয় সম্মান করতেন খুব।

আরও পড়ুন
একটা ফোটোগ্রাফ, গ্লানিবোধ আর মাস্টারমশাই

এইখানে থাকতেই হেমাঙ্গিনী শুনলেন, লড়াই লেগে গেছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অভিঘাতে দুর্মূল্য হয়ে উঠল জিনিসপত্র। কিছুদিন পর হেমাঙ্গিনী জানতে পারলেন মহারাজা ফিরেছেন, কিন্তু এসে পৌঁছননি শ্যামশঙ্কর। গভীর উৎকণ্ঠায় আর উদ্বেগে তিনি ফিরে গেলেন নসরতপুরে।

অবশেষে একদিন এসে পৌঁছল শ্যামশঙ্করের চিঠি আর তাঁর আগমন-বার্তা। ঝালোয়ারে এলেন শ্যামশঙ্কর। তিনি এখন মহারাজের দেওয়ান। উদয়ও বড়ো হয়েছেন, রাজবাড়ির অন্দরমহলে প্রশস্ত হয়েছে তাঁর আনাগোনা। মহারাজ তাঁকে স্নেহ করেন সন্তানতুল্য। রাজবাড়ির শৌখিনতা, আভিজাত্য, আদব-কায়দা, রুচিমানতা নিবিড়ভাবে স্পর্শ করল তাঁকে।  বহুমূল্য বই আর দুর্লভ ছবির সম্ভারের মধ্যে বিচরণের বিরল সৌভাগ্যের অধিকারী হলেন তিনি। পিতার আগ্রহেই শুরু হল বেহালা শিক্ষা। বম্বের বিখ্যাত গুজরাতি শিল্পপতি মতিলাল ওয়াডিলাল শাহ ছিলেন শ্যামশঙ্করের পরিচিত। ব্যবসায়ী হলেও মতিলাল ছিলেন আদর্শবাদী। ছিলেন গান্ধি-ভক্ত। বম্বেতে তিনি নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন এক সুপরিকল্পিত হস্টেল। তা বাস্তবায়িত হয়েছে জেনেই  ১৯১৭-১৮ সাল নাগাদ শ্যামশঙ্করের উদ্যোগেই  উদয় গেলেন মুম্বইয়ের জে জে স্কুল অব আর্টসে। সেখানে তাঁর বন্ধু হলেন শিল্পপতি মতিলালের ছেলে শান্তিলাল। সহজ, বন্ধু-বৎসল এই মানুষটিকে ভালো লেগে গেল উদয়ের। এই সময়েই জন্মলাভ করেন হেমাঙ্গিনীর অল্পায়ু ষষ্ঠ সন্তান।

আরও পড়ুন
বাবার পাঠানো উপহার হাতে পেলেন না উদয়

সেকালে কাশীর ঘাট

 

মুম্বইয়ে গিয়ে উদয় দেখলেন গরবা। নবরাত্রির সময় ঘাঘরা-চোলি, গা-ভরা ভারি গহনায় সেজে  বৃত্তাকারে ঘুরে ঘুরে নাচত মেয়েরা। সমবেত সেই নৃত্যে শিল্প, পূজা আর উৎসব হয়ে উঠত একাকার। চারিদিক একটু শান্ত হতেই ১৯১৯-এ শ্যামশঙ্কর নতুন করে উদযোগ করলেন ইউরোপ যাত্রার। মহারাজ ভবানী সিংয়ের সঙ্গেই গেলেন তিনি। ১৯২০-তে জে জে স্কুল অব আর্টস-এর পাঁচ বছরের পাঠ্যক্রম দু-বছরে শেষ করে উদয় ফিরলেন কাশীতে। বিলেত থেকে চিঠি এল শ্যামশঙ্করের, সঙ্গে ব্যাঙ্ক ড্রাফট একশো আশি পাউন্ডের। উদয় যেন সত্বর পৌঁছন লন্ডনে। তিনি উদয়কে ভর্তি করতে চান রয়্যাল কলেজ অব আর্টস-এ। ১৯১৯-এ জন্ম নিয়েছেন অমলাশঙ্কর, ১৯২০ তে উদয় পৌঁছলেন বিদেশে আর সেই বছরই জন্ম নিলেন আরেক কিংবদন্তি, হেমাঙ্গিনীর সর্বকনিষ্ঠ সন্তান রবিশঙ্কর। ভারতের ইতিহাস তার মাণিক্যমণ্ডিত গৌরব মুহূর্তটির চৌকাঠে এসে দাঁড়াল।

আরও পড়ুন
হেমাঙ্গিনী দেবী: মনের দিক থেকে একলা রেখেছিলেন নিজেকে

টেমস নদীর পাশেই কেনসিংটন গার্ডেনস-এ রাজার বাড়ি। সুশোভিত সুসজ্জিত নিঝুম রাজার বাড়ি। রাজত্ব তো নয়, রাজা থাকেন তাই রাজার বাড়ি। শ্যামশঙ্করের সঙ্গে উদয়ও রইলেন সেখানেই। মহারাজ নিজে যেহেতু বই ভালোবাসতেন, মানুষের স্বভাবের গুরুত্ব বুঝতেন তিনি। শিল্পের প্রতি মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে মর্যাদা দেওয়ার মতো সংবেদনশীল ছিল তাঁর মন। বিদেশে শঙ্করের চিত্রকলা শিখতে চাওয়াকে উৎসাহিতই করেছিলেন তিনি।

যেকোনো জায়গাকেই নিজের সঙ্গে মিশিয়ে দেখবার অদ্ভুত ক্ষমতা ছিল উদয়ের। কোনো জায়গাকেই তাঁর অপরিচিত মনে হত না বেশিদিন। কাশী হোক আর লন্ডন, গাজিপুর অথবা ঝালোয়ার—যা কিছু দেখবার তা তিনি দেখতেন প্রাণভরে। মানুষের জীবনের সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনায়, কর্মোদ্যোগে লন্ডন মুগ্ধ করল তাঁকে। নতুন দেশ নতুনতর মানুষ। কেনসিংটন, কিলবার্ন, পিকাডেলি— শহরটা যেন আড়মোড়া ভেঙে জেগে উঠল তাঁর কাছে।

আরও পড়ুন
শঙ্কর সরণি। ১ || অমলার শৈশব-স্মৃতি : ছুটে বেড়াতেন ফুল আর গন্ধের খোঁজে

অ্যানি বেসান্ত

 

শঙ্কর ভর্তি হলেন রয়্যাল কলেজ অব আর্টসে। কলেজ দেখে বিস্মিত হলেন তিনি। কিন্তু তাঁকে অভিভূত করলেন, কলেজের প্রিন্সিপাল। সেই কলেজের প্রিন্সিপাল তখন স্যর উইলিয়ম রটেনস্টাইন। রটেনস্টাইন ইউরোপের অন্যতম খ্যাতনামা শিল্পী। কিন্তু ভারতবর্ষ তাঁকে জেনেছে রবীন্দ্রনাথের সূত্রে। অবনীন্দ্রনাথ- গগনেন্দ্রনাথ ভারতীয় চিত্রকলায় যে নতুন ধারার সূচনা করলেন, তার সংবাদ পেয়েছিলেন রটেনস্টাইন। সেই শিল্পকলার সূত্রেই তাঁর যোগাযোগ রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে। তাঁর প্রতি ভারতবাসীরও অশেষ কৃতজ্ঞতা আর গুণমুগ্ধতা। কিন্তু উদয়ের জন্য তখনও অপেক্ষা করছে আরো এক বৃহত্তর বিস্ময়। তিনি জানতে পারলেন রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং এখন রয়েছেন এই দেশে। এতদিন দেশে তিনি জেনেছেন এই আশ্চর্য মানুষটির তুলনারহিত প্রতিভার কথা। সেই বহুশ্রত মানুষটিকেই তিনি প্রথম দেখলেন বিদেশের মাটিতে। রবীন্দ্রনাথ তখন সবে ত্যাগ করেছেন নাইটহুড, সেই নিয়ে সে সময়ে অসন্তোষও ছিল সে দেশে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁকে নিয়ে উন্মাদনার অভাবনীয় প্রাচুর্যে পৃথিবী জুড়ে তাঁর খ্যাতির প্রসারটিকে সেদিন অনুভব করলেন উদয়শঙ্কর। হয়তো বা রটেনস্টাইনেরই কোনো উদ্যোগে একদিন খুব কাছ থেকে রবীন্দ্রনাথকে দেখলেন উদয়। প্রণাম করলেন। স্মিত হেসে তিনি জানতে চাইলেন তাঁর পরিচয়। ঐশ্বর্যময় সেই মুহূর্ত তাঁর চৈতন্যকে আলোড়িত করেছিল সেইদিন।

ইচ্ছা আর একাগ্রতার সঙ্গে উদয় শুরু করলেন কলেজের পড়াশোনা, ছবি আঁকা। কাজের প্রতি তাঁর অনুসন্ধিৎসা শিক্ষকদের নজর এড়িয়ে গেল না। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই শিক্ষকদের কাছে তিনি হয়ে উঠলেন বিশেষ। ইউরোপের চিত্রকলায় তখন কিউবিজম, সুররিয়ালিজম, ইম্প্রেশনিজমের প্রভাব। রয়্যাল আর্ট কলেজে ডাকসাইটে সব অধ্যাপক। ইউরোপীয় চিত্রশিল্পে তাঁদের অধিকার কল্পনাতীত। তাঁদের সান্নিধ্যে আর শিক্ষায় তিনি দ্রুত আয়ত্ত করছেন এই শিল্পের রীতি-রেওয়াজ কে। আর ঠিক তখনই ঘটল এক কাণ্ড। একদিন ক্লাসে এলেন অধ্যক্ষ স্বয়ং। সবার কাজ সেদিন দেখছেন রটেনস্টাইন। মৃদু হেসে সকলের সঙ্গে কথা বলছেন তিনি। পরামর্শ দিচ্ছেন অল্পসল্প, শুধরে দিচ্ছেন ত্রুটি। তারপর উদয়ের কাজটি দেখবার সময় হঠাৎ স্থির হয়ে রইলেন কিছুক্ষণ। যেন পরখ করছেন কোনো গভীর চিন্তায়। প্রশংসা করলেন উদয়কে। চলে যাওয়ার সময় গম্ভীর, ঈষৎ চিন্তিত তিনি, উদয়কে জানালেন পরে একবার দেখা করতে তাঁর সঙ্গে।

উদয় দেখা করলেন। রটেনস্টাইন খানিক ভাবিত। অতি ধীরে তিনি শুরু করলেন কথা বলা। জানালেন ভারি ভালো হয়েছে তাঁর কাজ। অনস্বীকার্য, অনায়াস তাঁর রেখা, ভঙ্গি। কিন্তু সেই ভঙ্গিতে কোথাও ভারতবর্ষকে দেখতে পেলেন না তিনি। নিশ্ছিদ্র ইউরোপীয় ভাবনায় শিক্ষাগ্রহণের ফলে তাঁর নিজস্ব দেশীয় ধারাটি কোনো অবকাশে ছাপ ফেলতে পারেনি তাঁর কাজে। ধীরে ধীরে তিনি জানালেন, ভারতবর্ষকে তিনি দেখেছেন, রবীন্দ্রনাথকে। সেই দেশের যাবতীয় ঐতিহ্য, ঘরানার প্রতি তাঁর রয়েছে অনাবিল শ্রদ্ধা। অজন্তা-ইলোরা, রাজপুত আর্ট, মুঘল চিত্রকলা, গুহাচিত্র, ভাস্কর্য আরো কত ঐশ্বর্য। সেই সমস্ত থেকে বঞ্চিত হয়ে রয়েছে উদয়ের শেখা, শিখতে চাওয়া। পৃথিবীর যাবতীয় দেখা যেন নিজের দেশকেই গভীরভাবে দেখতে শেখায়। কী হল তাঁর। টেবিলে বসে হঠাৎই তুলে নিলেন কাগজ-কলম। ব্রিটিশ মিউজিয়মের কিউরেটরের নামে লিখে দিলেন একখানা চিঠি। উদয়ের হাতে দিয়ে বললেন, কাল থেকে এক মাস তাঁর কলেজ আসবার কোনো প্রয়োজন নেই। ব্রিটিশ মিউজিয়মে তাঁর জন্য রাখা থাকবে ভারতের শিল্পকলার ওপর যাবতীয় সেরা বই। আপাতত তাঁর অধ্যয়ন শুরু হোক সেখান থেকেই। কী আশ্চর্যই না চিন্তাধারা। অবাক না হয়ে উপায় কী। ব্রিটিশ মিউজিয়মে বসে উদয় নতুন করে খুঁজতে শুরু করলেন তাঁর দেশ-কে।

Powered by Froala Editor