সুরের কাছে হার মেনেছে হাজার কথার হল্লা

শঙ্কর সরণি - ২৬
আগের পর্বে

নৃত্যের সঙ্গে মানুষ যতই কমনীয়তাকে মিলিয়ে ফেলুক, উদয়শঙ্কর নিজে ছিলেন অত্যন্ত শক্তিশালী এক পুরুষ। পরাধীন ভারতের প্রতিনিধি হওয়ায় মাঝে মাঝেই বিদেশের মাটিতে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। দৃঢ় চরিত্রের উদয় সবসময় তার প্রতিবাদ করেছেন। একবার বেলজিয়ামের লিজ শহরে একটি হোটেলে এমন হেনস্থার জন্য সরাসরি যোগাযোগ করেছিলেন ব্রিটিশ কনসালে। আবার সময় সময় নিজের গায়ের জোর প্রয়োগ করতেও দ্বিধা করেননি। কিন্তু অকারণে যে উদয়শঙ্কর কাউকে প্রহার করবেন না, তা জানতেন বিদেশি পুলিশরাও। দীর্ঘ সময় বিদেশে ঘুরেছেন বলেই তাঁর মধ্যে দেশের জন্য অদ্ভুত এক গর্ব কাজ করত বলে মনে করতেন রবিশঙ্কর। এমনকি যে সমস্ত সাহেবি অনুষ্ঠানে সবচেয়ে বেশি নিয়মের কড়াকড়ি, সেখানেই উদয়শঙ্কর হাজির হতেন একেবারে দেশীয় পোশাকে।

ইউরোপ ভ্রমণের আগে, বিভিন্ন বিজ্ঞপ্তিতে ব্যবহারের কারণে, উদয়শঙ্কর অমলাকে দিলেন একটা নতুন নাম। অপরাজিতা। কনকলতার সঙ্গে মিলিয়ে রাখা হল এই নাম। কাকতালীয়ভাবে অমলার জীবনে এসে পড়ল এই ডাক। তারপর হারিয়েও গেল সময়মতো। পুনরায় অধিষ্ঠিত হলেন অমলা নামেই। নাম হারিয়ে গেল বটে, কিন্তু ওই অভিধাটি বিশেষণ হয়ে রয়ে গেল তাঁর জীবনধারায়। উদয় নিজে তালিম দিতে শুরু করলেন অমলাকে। অমলাকে উদয় ডাকতেন ‘তুই’, আর অমলা উদয়কে চিরদিন ডেকেছেন ‘আপনি’। প্রথম প্রথম উদয় বলতেন, এইভাবে হাত ঘুরিয়ে দ্যাখা, পারবি? এক মুহূর্ত সময় নিতেন না অমলা। অনায়াস ভঙ্গিতে করে দেখাতেন। এবার এই মুদ্রা, চেষ্টা করতে বলতেন উদয়। চেষ্টার প্রয়োজন হত না, অবিকল ফুটিয়ে তুলতেন অমলা। নাচের প্রতি তাঁর আগ্রহ, দক্ষতা আর আনন্দ দেখে মনে মনে খুশি হলেন উদয়শঙ্কর। নিজের আর অমলার জন্য তৈরি করলেন ‘কালীয় দমন’ ব্যালে। তিনি কৃষ্ণ আর অমলা কালীয় নাগ। কালীয় নাগের কস্টিউমও বানালেন নিজের হাতে। সরু সরু তার দিয়ে সাপ আর তার ফনা। তার ওপর কাপড়ের কৌশলে আনা হল সাপের চামড়ার ধরন।

উদয়শঙ্করের দলের নাম রাখা হল ‘উদয়শঙ্কর'স হিন্দু ডান্সার’। ‘হিন্দু’ শব্দটির সঙ্গে বিন্দুবৎ যোগ নেই ধর্মের। সেই সময় ‘ইন্ডিয়া’ শব্দটি বা ওই নামক দেশটির সঙ্গে তেমন পরিচিত ছিল না মানুষ। অনেকসময় বিভ্রান্ত হত তারা, ‘ইন্ডিয়ান’ বললে ভাবত, আমেরিকার রেড ইন্ডিয়ানদের কথা বলা হচ্ছে। ফলত বাধ্যত গলাধঃকরণ করতে হল সেই নামকরণটিকে। আট মাসের লম্বা ট্যুরে রওনা দিল এই দল। জার্মানিতে গেল পঁচাত্তরটি জায়গায়। ইটালির পঁচিশটা শহরে। আট মাস ইউরোপ ভ্রমণের পর শ্রান্ত  হয়ে তাঁরা ফিরলেন প্যারিস, দু মাস পরে ফের গেলেন দক্ষিণ ফ্রান্স আর মোন্যাকা।

১৯৩১ সাল তখন। জার্মানির হাওয়া খুব সুবিধের নয়। হিটলার আর হিন্ডেনবার্গের পোস্টারে ছয়লাপ চারপাশ। শো নিয়ে যেখানেই গিয়েছেন উদয়শঙ্কর, বেশিরভাগ সময়ই সে দেশের রাজা, রাজপরিবার অথবা দেশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা এসেছেন অনুষ্ঠান দেখতে। যেমন এসেছিলেন নরওয়ে আর সুইডেনের রাজা। এসেছিলেন স্বয়ং বেলজিয়মের রানি। কিন্তু হিটলার আসেননি কখনও। এইসব পরিভ্রমণে একবার তাঁর বাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন চেকোশ্লাভিয়ার প্রখ্যাত জেনারেল আলেকজান্ডার ক্রাসো। সেই বাড়িতে এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তাঁদের। অভিজাত, ধনশালীর গৃহ। শৌখিনতায় সজ্জাবিন্যাসে সুচারু সবখান। হঠাৎ তাঁরা লক্ষ করলেন একটি বড় কাচের শো-কেসে যত্ন করে রাখা রয়েছে জার্মান ভাষায় অনূদিত ‘শ্রীমদ্ভগবতগীতা’। ভারতীয়দের বিস্ময়কে অনুমান করতে পারছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন আলেকজান্ডার, একবার ভয়ঙ্কর এক যুদ্ধ-পরিস্থিতিতে সাংঘাতিক রকম বিমর্ষ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তখন এক রুশ সেনা তাঁকে উপহার দেয় এ গ্রন্থ। ক্ষতবিক্ষত সেই দিনগুলি থেকে তাঁকে রক্ষা করেছিল এই বই।

বিদেশে উদয়শঙ্করের নৃত্যানুষ্ঠানের প্রচার পত্র।

 

আরও পড়ুন
পিছনে ফিরে উদয়শঙ্কর সজোরে মারলেন এক ঘুঁষি

একবার অনুষ্ঠান করবার কথা হল মন্টে কার্লোর এক ক্যাসিনোতে। কিন্তু ক্যাসিনোতে তো আর সম্ভব নয় অনুষ্ঠান। তাই আয়োজকরা করলেন অন্য বন্দোবস্ত। মন্টে কার্লোর সেই ক্যাসিনো ছিল সমুদ্রের গা-ঘেঁসে। সেবার মঞ্চ নির্মিত হল একেবারে আনকোরা এক পদ্ধতিতে। বেলাভূমিতে যেখানে আছড়ে পড়ছে বড়ো বড়ো ঢেউ তার ওপরেই বাঁধা হল স্টেজ। আর সেইখান থেকে এক লম্বা প্যাসেজ জুড়ে দেওয়া হল ক্যাসিনো পর্যন্ত। দর্শক আসন সাজানো হল ক্যাসিনোর প্রশস্ত ভূমিতে। অনুষ্ঠানের সময় তখন আঁধার ধরা দিগচক্রবাল। এক গম্ভীর উদাত্ত সামুদ্রিক গর্জন, তার সঙ্গে ধুয়ো তুলছে বাজনার আনন্দলহরী।         

আরও পড়ুন
রবিশঙ্কর: প্যারিস তাঁকে গড়েছে, করেছে বিভ্রান্তও

সেবার দল চলেছে হল্যান্ড। সীমান্তে আটকে দিল নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা। উদয়শঙ্করের দলকে ঘিরে  তাঁদের মনে দেখা দিল প্রবল সন্দেহ। যত মানুষ তার চেয়ে ঢের বেশি মালপত্র। অগুনতি ব্যাগ, জিনিসপত্র। এসব কী কারণে নিয়ে চলেছেন এঁরা? ঘোর অবিশ্বাস নিয়ে তাঁরা দেখলে এঁদেরকে। তড়িঘড়ি নির্দেশ দিলেন খুলে ফেলতে হবে ব্যাগ-বাক্স-লটবহর সমস্ত কিছু। চারিদিক ছত্রখান হয়ে বেরিয়ে এল যাবতীয় যন্ত্র-বাজনা, আজন্ম যেসব চোখে দেখেননি তাঁরা। তার সঙ্গে বের হল হরেক রকমের পোষাক-আশাক অর্থাৎ কস্টিউম। ব্যস, আর যায় কোথায়! তাঁরা ঠাউরালে এঁরা তবে ব্যবসাদার। ঘুরপথে বেআইনিভাবে বাণিজ্য করতে ঢুকছে এই দেশে। উদয়শঙ্কররা প্রথম সাধ্যমতো বোঝাতে চাইলেন বিষয়টা। তাঁরা বুঝতেই চায়না সেসব। কাকুতি-মিনতি, যুক্তি-তক্কো, বাদ-বিবাদ নেওয়া হল সবরকম প্রচেষ্টা। কিন্তু না, কে বোঝাবে সেই একরোখা অবোধদের? শেষে তাঁরা নিদান দিলেন, এইসব যন্ত্রের যা দাম হয়, তা এখানেই দিতে হবে চুকিয়ে। এইটুকু দাক্ষিণ্য তাঁরা করতে পারেন, যন্ত্রগুলি যদি সত্যিই বিক্রি না করেন এঁরা, তবে ওই গৃহীত মূল্য ফেরত দেবার সমস্ত ব্যবস্থা তাঁরা করবেন।

আরও পড়ুন
রবিশঙ্কর: বাবাকে প্রথম দেখলেন যখন তাঁর বয়স আট

বিদেশে উদয়শঙ্করের নৃত্যানুষ্ঠানের প্রচার পত্র।

 

আরও পড়ুন
রবিশঙ্কর: সেই থেকে তৈরি হয়েছিল একটা অ্যান্টি- ফাদার ফিলিং

হতোদ্যম সকলে। কিংকর্তব্যবিমূঢ়। এই বুঝভুম্বুল মানুষগুলির হাত থেকে রক্ষা পাবার দূরতর কোনো আশাও দেখতে পেলেন না কেউ। ছড়ানো-ছিটানো সেইসব জিনিসপত্রের আশেপাশে, হাল ছেড়ে বসে পড়লেন সকলে । হঠাৎ কী হল তিমিরবরণের! নিজের সরোদখানি বের করে, সেই খোলা প্রান্তরে বাজাতে শুরু করলেন বেবাক। গুণী মানুষ তিনি। পরিস্থিতিতে বিচলিত বটে, তবে  দস্তুরমতো ধারাবাহিক নয় সে বিচলন। আপাতত নিরুপায় প্রতীক্ষা, করণীয়ও নেই কিছু, তাই আপন খেয়ালে তিনি ধরেছেন রাগ। কিন্তু কী কাণ্ড ঘটল, সে মুহূর্তে অদ্ভুত মসিহা হয়ে এল সেই সুর। অগ্নিশর্মা, ক্ষুব্ধ সেইসব অফিসারেরা আকস্মিক হয়ে উঠলেন প্রসন্ন। অযাচিতভাবে তাঁরা নিজেরাই জানালেন, তাঁরা বিশ্বাস করেছেন সমস্ত কথা। উদয়শঙ্কররা যেন রওনা হন তাঁদের যাত্রার উদ্দেশে। তিমিরবরণের বাজনা বলে কথা! সুরের কাছে সেদিন হার মেনেছে হাজার কথার হল্লা।        

একবার এমন এক কাণ্ড করেছিলেন বিষ্ণুদাস শিরালি। জার্মানিতে তখন বরফ মোড়া, ঘোরতর বৃষ্টির এক রাত। বাস চলেছে তুমুল বেগে। হঠাৎ চাকা পিছলে, বাস গড়িয়ে পড়ল, বেশ অনেকখানি নিচু জমিতে। সৌভাগ্যবশত কারোর ক্ষতি হয়নি কোনোরকম। কিন্তু একে ঘন রাত, তায় চারিদিক জনমানবশূন্য। ভারী বৃষ্টিতে বরফ গলে নাজেহাল চারপাশ। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। সেখান থেকে উদ্ধার করবে কে? বাস থেকে নেমে একে একে সকলে দাঁড়িয়ে আছে ভীতসন্ত্রস্ত। হঠাৎ গলা ছেড়ে গান ধরলেন বিষ্ণুদাস শিরালি। বন্দে মাতরম্, সুজলাং সুফলাং, মলয়জ শীতলং, শস্য শ্যামলম্। পণ্ডিত বিষ্ণুদিগম্বরের ছাত্র তিনি, অপূর্ব তার গলা, তায় গান ধরেছেন দেশবন্দনার। মেয়েরা হেসে গড়িয়ে পড়লে। তবে বিপদসঙ্কুল ওই ক্ষণটিকে মুহূর্তে ভুলে এক অনাবিল আনন্দধারায় সে মুহূর্তে ভেসে গেল সকলে। অবশ্য সে যাত্রায় নিরাপত্তা রক্ষীদের তৎপরতায় রক্ষা পেয়েছিলেন তাঁরা।

 বিদেশে বিশিষ্ট অতিথিদের সঙ্গে উদয়শঙ্করের দল।

 

সীমান্ত রক্ষীদের উৎপাতের, আছে আরো একটি মনোরঞ্জনী গল্প। ১৯৩২ সাল, তখন একবার উদয়শঙ্করের দল গিয়েছিল চেকোশ্লোভিয়ার রাজধানী প্রাগ-এ। বুদাপেস্ট থেকে সকলে চলেছেন মোটরবাসে। সীমান্ত রক্ষীরা আটক করলে বাস। এক পাও নড়তে দেবেন না তাঁরা। সাধ্যমতো এবারও বোঝানো হল সমস্ত বিষয়। না, কোনো লাভ হল না। উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের সঙ্গে তাঁদের কী রকম যোগাযোগ, চালানো হল সেসব প্রচারও। তাতেও গলল না বরফ। পাওয়া গেল না নিদেন টেলিফোন ব্যবহারের অনুমতিটুকুও। এদিকে যেতে হবে বহু পথ। পরদিন সন্ধ্যায় অনুষ্ঠান। কে কাকে বোঝাবে সেসব? তখন বেশ রাত। ব্যর্থ হয়ে তাঁরা ছুটলেন পাঁচ মাইল দূরে, তাঁদের অফিসারের বাড়ি। তিনি সেসময় গভীর নিদ্রায় মগ্ন। রয়েছেন নিদ্রিত নয়নে আধো জাগরণে। কোনোপ্রকারে বিষয়টি শুনে, সমস্তটা দ্রুত নাকচ করে পুনরায় তিনি ফিরে যেতে চান, তাঁর অসমাপ্ত ঘুমঘোরে। তাই হল, পাওয়া গেল না অনুমতি। কিন্তু কী অদ্ভুতভাবে তখন ঘটল এক কাণ্ড। সেসময় অফিসারের স্ত্রীও পাশে দাঁড়িয়ে শুনছিলেন এ বৃত্তান্ত। তিনি হঠাৎ উদয়শঙ্করদের হয়ে প্রচণ্ড রকম পীড়াপীড়ি শুরু করলেন তাঁর স্বামীর কাছে। তাঁদের প্রাগ যাওয়ার আশু প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তিনিই বলতে শুরু করলেন অনর্গল। নিদ্রাবস্থায় এই নতুনতর সংকটটির জন্য একেবারেই প্রস্তুত ছিলেন না স্বামী। ফলে অনুমতি মিলল তৎক্ষণাৎ।

এসব কাণ্ডকারখানার পর, প্রাগ-এ তাঁরা পৌঁছলেন, কিন্তু নির্ধারিত সময়ের তিন ঘণ্টা পার করে। চারিদিকে লোকারণ্য। অবস্থা বেগতিক বুঝে রঙ্গালয়ে তাঁরা প্রবেশ করলেন পেছনের দরজা দিয়ে। ম্যানেজারের অবস্থা পাগলপারা। তিনি কোনোক্রমে তাঁদের স্টেজে তুলে দিতে পারলে নিস্তার পান। কিন্তু তা অসম্ভব। সবারই প্রস্তুতির জন্য ন্যূনতম সময় তো লাগবেই। অগত্যা, ধরা হল তিমিরবরণকে। তিনি বললেন, তিনিও প্রস্তুত নন, এখনও এদিনের দাড়ি কাটার সময় হয়নি তাঁর। কিন্তু সেসব কে শোনে তখন। একরকম জবরদস্তিই তাঁকে পাঠানো হল সম্মুখ সমরে। ম্যানেজার যথাসাধ্য সবিস্তারে জানালেন তাঁদের বিলম্বের কারণ। পর্দা উঠল। কানে এল এক উন্মত্ত কোলাহল। তিমিরবরণ বুঝলেন, জনতা ক্ষিপ্ত। অবস্থা সঙ্গিন। তাঁকেই পেয়েছে রোষের মুখে। গত্যন্তর নেই টের পেয়ে ভীত, কম্পিত তিমিরবরণ বাজাতে শুরু করলেন চোখ বন্ধ করে। কিছুক্ষণ বাজিয়েছেন, ব্যস, তাঁকে লক্ষ করে ধুপধাপ স্টেজে এসে পড়ত লাগল কী সব। প্রবল দুরবস্থা বুঝে, চোখ খোলার নামমাত্র নিলেন না তিমিরবরণ। শুধু ভাবছেন, জিনিসগুলি কী হতে পারে? ইঁট-পাটকেল নাকি বাসি পনির অথবা ডিম? এবার একটা এসে পড়ল এক্কেবারে তাঁর গায়ে। চমকে উঠে, অতি সন্তর্পণে চোখ খুললেন তিনি। চোখ খুলে অবাক দৃষ্টিতে দেখলেন চারপাশ। ছোট্ট-ছোট্ট ফুলের তোড়ায় ভরে গিয়েছে সমস্ত স্টেজ। তিমিরবরণই সম্ভবত প্রথম সরোদ শিল্পী যিনি বিদেশে পরিচিত করেন এই বাজনাটিকে। ক্ষোভ নয়, বিরক্তি নয়, অজ্ঞাত এ বাদ্যযন্ত্রের গভীর সুরে মুগ্ধ হয়ে শিল্পীর প্রতি সম্মান জানিয়েছেন তাঁর অনুরাগীরা। ওই আনন্দ-পুষ্পবৃষ্টিতে।

Powered by Froala Editor