আইনের ফাঁক গলে গোল

ব্যাপক বাওয়াল যাকে বলে। এক্কেবারে কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ড! যুদ্ধ যুদ্ধ ব্যাপার তখন মোহনবাগান ঘিরে। জাতীয় লিগ জেতার পরও ক্লাবের অন্দরে তখন ‘যুদ্ধ’ চলছে। এরমধ্যে অবশ্য ভারতসেরা হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে সালগাওকারের সঙ্গে সুপার কাপে হেরেছে চাতুনির মোহনবাগান। কিন্তু যে কোচ জাতীয় লিগ জিতেছেন, ঠাটেবাটে থাকবেনই। বেতন বাড়ানোর দাবি করে বসলেন দক্ষিণী কোচ। আর মোহনবাগান কর্মকর্তারা তাঁকে দরজা দেখিয়ে দিলেন। ব্যস, চাতুনি পর্ব শেষ। তা নিয়ে আকচা-আকচি একটু হয়েছিল বটে, কিন্তু কখনোই কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ডের পর্যায়ে যায়নি। যাইহোক, চাতুনির সায়োনারার পর ফের অমল দত্তকে ফেরানোর দাবি ওঠে। তাঁকে ফিরিয়েও আনা হয়। এরপর মরশুমের শুরুতে ইস্টবেঙ্গল থেকে স্যামি ওমোলোকে ছিনিয়ে আনে মোহনবাগান। আমাদের কাছে তা পৌষমাসের মতো। আর যা দেখে কার্যত ‘সর্বনাশ’-এর প্রহর গোনা ইস্টবেঙ্গলের সমর্থক আমাদের সবুজ-মেরুন বাবুল কাকাকে বলে বসল, “তোদের তো এই মুরোদ। কখনো চিমা তো কখনো ওমোলো… তোদের দৌড় বোঝা হয়ে গেছে আমার।” কিন্তু এক্ষেত্রে বাবুল কাকা ছাড়ার পাত্র নয়। সে ঝাঁঝিয়ে উঠল, “ওরে কৃশানু-বিকাশ পর্ব ভুলে গেলি? কৃশানুকে দলে আনতে তো তোদের ওর লেজ বিকাশকে ধরে টানতে হয়েছিল। ডোমজুড়ের একটা অনুষ্ঠান থেকে বিকাশকে তো কিডন্যাপ করে নিয়ে গেছিলি। নইলে কৃশানু কখনো তোদের দলে খেলত?” দু-জনের তরজা শুনতে বেশ ভালোই লাগছিল। প্রিয় ‘অমলেট’ অমলের রান্নাঘরে ফ্রাইং প্যানে উঠবে ভেবেও বেশ উত্তেজিত সবাই। কিন্তু এসব খুনসুঁটি কিংবা ওমোলোকে দলে পাওয়ার আনন্দ সবকিছুই ফিকে হয়ে গেল, যখন বেশকিছু মোহনবাগান ক্লাবের সদস্য আদালতে গেলেন।

আসলে ইউবি গ্রুপের সঙ্গে চুক্তিতে প্রবেশ করতে চাইছিল মোহনবাগান। তাহলে বিখ্যাত পানীয় ব্র্যান্ড ম্যাকডওয়েল বড় রকমের স্পনসর করবে ক্লাবকে। এটাই মোদ্দা বাংলা কথা। কিন্তু ক্লাব কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তখন বহু মোহনবাগান সদস্য। তাঁদের প্রিয় ক্লাবের আগে কোনো মদ কোম্পানির নাম বসবে, এটা হতে পারে না। তাই কোর্টই ভরসা। তাঁরা চললেন আদালত। ক্লাবের বিরুদ্ধে আইনজীবীর টুপিতে দাঁড়িয়ে পড়লেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজিত পাঁজা। এমন পদক্ষেপ কিছুতেই নেওয়া চলবে না বাগান কর্মকর্তাদের। এই নিয়েই আদালতে ঠোকাঠুকি। যার জেরে দীর্ঘদিন ক্লাবের নামের আগে ‘ম্যাকডওয়েল’ শব্দটি বসাতে পারেনি স্থানীয় সংস্থাটি। তখন অবশ্য সবুজ-মেরুন জার্সিতে শোভা পেত ‘ম্যাকডওয়েল’। কিন্তু এত অল্পে সন্তুষ্ট হতে পারছিলাম না। সেই সময় বিষয়টা ঠিক কী ঘটেছিল, পরিস্থিতি কেমন ছিল, তা আরো জানতে মন ছটফট করছে। মুশকিল আসান হিসাবে উপ্সথিত হলেন মোহনবাগানের প্রবীণ আজীবন সদস্য দেবাশিস সাহা। দেবাশিসবাবু প্রত্যেকটা মামলার হেয়ারিংয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন। এমনকী দিল্লি পর্যন্ত গিয়েছিলেন। তিনি যা বললেন, তা নিয়ে আস্ত একটা বই লেখা যায়।

’৯৮-এর ফেডারেশন কাপ জয়ী মোহনবাগান দল। ছবি: মোহনবাগান টুইট

 

মোহনবাগান সদস্য টনি মুখার্জি, পার্থজিৎ দাশ, সৌমিত্র ব্যানার্জি-সহ সাতজন মোহনবাগান সদস্য মামলা ঠুকলেন। তাঁদের আবেদন, মদ কোম্পানি মোহনবাগানের টাইটেল স্পনসর হতে পারবে না। তখন স্পনসরশিপ কনসেপ্ট থাকলেও ইনভেস্টরের ধারণাটা আসেনি। আমি একটা পরিমাণ টাকা লগ্নি করব। সেই লগ্নির এগেইন্সটে কতটুকু মাইলেজ পাব, এটাই ছিল স্পনসরশিপের মূল ব্যাপার। সেই কারণেই বলা হয়েছিল, বুকে এবং পিঠে ‘ম্যাকডওয়েল’ লেখা থাকবে। আর বিজয় মাল্যর ইউবি গ্রুপের অধীনে থাকা এই ম্যাকডওয়েল ছিল একটি হুইস্কি ব্র্যান্ড। যেমন কিংফিশার। ব্র্যান্ড নেম অফ এ বিয়ার। কিংফিশার ছিল ইস্টবেঙ্গলের। দুই-ই ছিল মাল্য গ্রুপের ইন্ডাস্ট্রিজ স্পনসর। দু-টো ক্লাবকে ইউবি গ্রুপ স্পনসর করেছিল দু-টো ব্র্যান্ডের জন্য। এটা অনেকটা হিন্দুস্তান লিভারের মতো। কেউ স্পনসর পায় লাক্স সাবানের, কেউ রিন সাবানের, কেউ বা ভিম বারের, আবার কেউ সার্ফ এক্সেলের। অর্থাৎ আমি একই টাইপের বাজারে অনেক মাল ছেড়েছি। তার কোনোটা বিয়ার ক্যাটিগোরির আবার কোনোটা হুইস্কি ক্যাটিগোরির। হুইস্কি ক্যাটিগোরি এল মোহনবাগানের কাছে। বিয়ার ক্যাটিগোরি গেল ইস্টবেঙ্গলের কাছে। এই ব্র্যান্ডিংয়ের ব্যাপারে তখন তীব্র আপত্তি। মোহনবাগানের মতো ঐতিহ্যশালী ক্লাবের সঙ্গে এই মদের কোম্পানির ব্র্যান্ডিং হতে না দেওয়ার পণ। ক্লাবকে বেচে দেওয়ার প্রবণতায় জল ঢালতে হবে। তাই এই মামলাবাজির সাতকাহন। মোহনবাগান সদস্যদের মামলার বলে এই প্রক্রিয়াটি কিন্তু বিফলেই গিয়েছিল। ওই সময় মোহনবাগান একটা আলাদা কোম্পানি তৈরি করেছিল। যার নাম ‘ম্যাকডওয়েল মোহনবাগান (ফুটবল টিম) প্রাইভেট লিমিটেড’। ২০০৫ সাল। শেষমেশ কলকাতা হাইকোর্টে রায়। এই মোহনবাগান ক্লাবে অরাজকতা চলছে এবং প্রাক্তন রাজ্যপাল শ্যামল সেন মোহনবাগানের রিসিভার থাকবেন— এমন রায় শুনিয়ে কড়া আদালত। তিনি রিসিভার হয়ে বললেন, ম্যাকডওয়েল মোহনবাগান (ফুটবল টিম) প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিটি ‘অ্যাক্ট অ্যাস স্পনসর অনলি’। অর্থাৎ মোহনবাগান ক্লাবের উপরে কোনো দখলদারি বা কর্তৃত্ব থাকবে না ম্যাকডওয়েলের। কাজ করবে কেবল স্পনসর হিসাবেই। দলের জার্সি, ড্রেসিংরুম, গ্যালারি, গ্রাউন্ড ইত্যাদি যা যা ফুটবল খেলতে গেলে প্রয়োজন, সেই আনুষঙ্গিক দিকগুলি স্পনসরশিপের মধ্যে যুক্ত করা হল, কারণ ওরা লগ্নি করছে। আর শ্যামলবাবু ডে-টু-ডে কাজকর্ম দেখার জন্য নিয়োগ করেছিলেন বলরাম চৌধুরিকে। বলরামকে সমর্থনও করেছিলেন একগুচ্ছ বাগান সদস্য। ‘মোহনবাগান মেম্বার অ্যান্ড সাপোর্টার গিল্ড’ নামে একটা ফোরামও তৈরি হয়েছিল তখন। যাঁর কাছে এত সব জেনেছি, সেই দেবাশিস সাহাদের মতো বহু এই ফোরামে যুক্ত ছিলেন। তাঁরা আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে গিয়েছিলেন। অবিলম্বে নির্বাচন করতে হবে, হিসাব দেখাতে হবে সহ নানান বিষয়ে তখন সওয়াল। মামলাও তখন চলছে সমান্তরাল পথে। ২০০৫-এর সেই রায়ের পর ঠিক হল, রিসিভার দেখবে ফুটবল বিভাগটা। আর কেবল স্পনসর হিসাবে থাকবে ম্যাকডওয়েল। তা এতগুলো ফুটবলারকে দেখভাল করা, তাঁদের খাবার পৌঁছে দেওয়া, মাঠে নিয়ে আসা ইত্যাদি কাজগুলো দেখভালের জন্য শ্যামলবাবু নিয়ে এসেছিলেন বলরাম চৌধুরিকে। মোহনবাগান মেম্বার অ্যান্ড সাপোর্টার গিল্ড তখন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। ২০০৫-এ মোহনবাগান ক্লাবে প্রায় ১৫ বছর পর কলকাতার টাউন হলে ঐতিহাসিক নির্বাচন হয়েছিল। প্রায় প্রত্যেকটি সংবাদমাধ্যম কয়েকদিন ধরে এই নির্বাচনের খবর প্রচার করেছিল। বর্তমান পত্রিকায় ছাপা সেই টাউন হলের সেই নির্বাচনে ভোটের লাইনে দাঁড়ানো সদস্যদের ছবি দেখিয়ে পরে শুভ্রাংশুদা (রায়) বলেছিল, “জানিস, এই প্রথমবার মোহনবাগান ক্লাব নির্বাচনে মহিলা সদস্যরা ভোটদান করলেন।” ভালো করে তাকিয়ে দেখেছিলাম, সত্যিই তো, উৎসাহী ভোটার থুড়ি সদস্যদের লাইনে কয়েকজন মহিলাকে ছবিতে দেখা যাচ্ছিল। আর এই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের এই নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় ফিরেছিল অঞ্জন মিত্র, টুটু বসুদের প্যানেল।

আরও পড়ুন
জাতীয় লিগে প্রথমবার সেরা হওয়ার জমাটি মুহূর্তগুলি

পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল শ্যামল কুমার সেন

 

আরও পড়ুন
ডায়মন্ড দত্ত থেকে চাতুনি পর্ব

ইস্টবেঙ্গলের ক্ষেত্রেও তখনকার চিত্রটা অনেকটা একই রকম। ইস্টবেঙ্গলও একটি কোম্পানি তৈরি করেছিল। কিংফিশার ইস্টবেঙ্গল (ফুটবল টিম) প্রাইভেট লিমিটেড। তবে, ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ক্ষেত্রে কোনো মামলা হয়নি। কারণ, নতুন গঠিত কোম্পানিতে ইস্টবেঙ্গল অংশের শেয়ার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের নামেই ছিল, কোনো ব্যক্তির নামে নয়। অন্যদিকে, আদালত ঐতিহাসিক সেই রায় দেওয়ার পরে মামলাকারীরা কার্যত জয়ীই হয়েছিলেন। তবুও এর মধ্যেও একটা ‘কিন্তু’ রয়ে গেল। ফিফার একটি নিয়ম হল লঙ্ঘিত। যা অনেকটা এক কেঁড়ে দুধে এক ছিটে চোনার মতো। একে মিনমিন দুয়ে পাঠ, তিনে গোলমাল চারে হাট। গোলমালটা ছিল মাপের। হরফের সাইজটা খুবই চোখে লাগছে আজকাল। জার্সির সামনের দিকটায় ‘ম্যাকডওয়েল’ লেখাটা বড্ড বড়— ক্লাবের নাম ও প্রতীকের চেয়েও। বুকের উপর জার্সি নম্বরের কাছাকাছি ম্যাকডওয়েল লেখা থাকত বুক জুড়ে। যা ফিফার নিয়মের বাইরে। এত বড় হরফ কিন্তু থাকতে পারে না। কেউ মেজর স্পনসর হলেও অক্ষরগুলো কোন সাইজে লিখতে হবে, সেটা নিয়েও কিন্তু ফিফার একটা নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। কিন্তু মোহনবাগানের ক্ষেত্রে চিত্রটা অন্যরকমই দেখা গিয়েছিল। যাই হোক, এই সমস্যাগুলো সঙ্গে নিয়ে অবশ্য সে-বছর (১৯৯৮) আইএফএ শিল্ড জিতেছিল মোহনবাগান। তাও আবার ‘ওদের’ ২-১ গোলে হারিয়ে।

আরও পড়ুন
সেই অমলময় দিনগুলি

টুটু বসু এবং অঞ্জন মিত্র

 

আরও পড়ুন
ময়দানি প্রেমের প্রথম দিনগুলি

এরপর আরো এক ফেডারেশন কাপ। অমল দত্তর সামনে তাঁর হিরণ ঝলক দেখানোর আবার সুযোগ। তখনো ১-৪-এর স্মৃতি টাটকা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের হারালেই পায়ের তলায় মাটি ফিরে আসবে। স্বয়ং উপরওয়ালা যেন পরীক্ষা নিচ্ছেন আমাদের। তিনি যেন মাঠের সবুজ ঘাসে হিরে বসিয়ে দিলেন ফের। আমাদের খেলোয়াড়েরা যেন ভালো করে সেই হিরে নজরবন্দি করেন। ফাইনাল জিততে গেলে এমনই মনোযোগী হতে হবে আমাদের খেলোয়াড়দের। অমল দত্ত ডায়মন্ড সাজালেন। বিপক্ষের কোচ এবার পিকে নন, ‘মনাদা’— মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য। আগের ফেডারেশন কাপে শুরুতে ঝড় তুললেও কাজের কাজ কিছুই করতে পারিনি। এবার কিন্তু শুরুতেই অন্য মোহনবাগান। হিরের ক্যারেট তখন ক্রমে বেশ ওজনদার। মাত্র দশ মিনিটেই গোল। অমিত দাস। এর পরের দশ মিনিটের মধ্যে ফের গোল। আই এম বিজয়ন। প্রথম কুড়ি মিনিটেই দু-গোলে এগিয়ে আমরা। ততক্ষণে আমাদের আশপাশে এক প্রকার উৎসবের প্রস্তুতি। থালা বাটি নিয়ে প্রায় বেরিয়েই পড়েছিল অনেকেই। কিন্তু অগ্রজ একজনের বারণ। তাই আপাতত বেরোলো না তারা। ভাগ্যিস বেরোয়নি। কারণ দু-টো গোলের পরই কেমন যেন ঝিমিয়ে পড়ল সবাই। কাছিম গতিতে ম্যাচ দেখতে কার আর ভালো লাগে! অসংখ্য ভুল পাস, বল পেলেই দুম করে আকাশে উড়িয়ে দেওয়া দেখে সেই বাবুল কাকা হাই তুলে বলল, “তোরা কেউ ঘুমাস না যেন!” অবলা বলে দড়, অফলা ফলে দড়। তাই হল। এতক্ষণ নিষ্ফলা ইস্টবেঙ্গল ফল পেল। গোল করে বসলেন ওদের কার্লটন চ্যাপম্যান। ব্যস, এরপর বাঁ-দিকের বুকটা ডানহাত চেপে ধরে অপেক্ষাই অপেক্ষা। ‘কানু হারামজাদা’ রেফারি কখন যে বাঁশি বাজাবে! মুহুর্মুহু আক্রমণ করছে ওরা। মনে পড়ে, বাইচুংয়ের গোল লক্ষ্য করে সেই জোরদার শটটা। আমাদেরই দীনেশ নায়ারের গায়ে লেগে বাঁক খেয়ে গোলে প্রায় ঢুকেই গিয়েছিল। হেমন্ত ডোরা না থাকলে দুর্গ পতন হতই। তবে ভয়ের আগেই জয় আছে। যখন কেউ ভয়ে তটস্থ হয়ে মাথা নিচু করে তাহলে রামধনু দেখা যায় না। চ্যাপলিন বলেছিলেন। রামধনু দেখতে গেলে মাথা তুলতেই হবে। মাথা তুলে দাঁড়িয়ে ছিলাম আমরা। সে-বছর ফেড কাপে ‘ডায়মন্ড দত্ত’ উজ্জ্বলতা হারাননি। সাতানব্বইয়ের মধুর বদলা নিতে পেরে আমাদের পাড়ার ক্লাবে মিষ্টি বিতরণ। শংকরদা তার এক রত্তি ছেলেটাকে নিয়ে রাস্তায় বেরিয়েছে। ভাঁড়ে রসগোল্লা দেওয়া হচ্ছে দেখে এগিয়ে এসেছিল পুঁচকে। আমরা ওকে রসগোল্লা দেব কী, ওর বাবার দিকেই নজর সবার। আমি অল্পবিস্তর কাঁচুমাচু। শংকরদা ইস্টবেঙ্গল। ছেলেকে বারণ করল না সে… বরং ডাকাবুকো শংকরদার মুখে হাসি দেখেছিলাম। বুঝে গিয়েছিলাম ফুটবল খেলাটি আদতে বাঙালিরই। সে বাইরে যতই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বিতার ঝাঁঝ থাকুন না কেন!

Powered by Froala Editor