স্বপ্ন আর স্বপ্নভঙ্গের দিনলিপি

আমাদের বাড়ি যে জায়গাটায়, তার সামনের দিকে মারবাগান। অবাঙালিরা থাকেন। একটু এগোলেই মালির বাগান আর বাগান শেষে পাঁচিল তোলা থাকায় ও-পাড়ায় যেতে গেলে একটা সময় পিছন দিয়ে ঘুরে যেতে হত। ’৯৪-এর সেই বিখ্যাত রাত। রাত আড়াইটা নাগাদ ও-পাড়া থেকে ‘ইতলি-ইতলি’ চিৎকার বাড়ি বয়ে আসছে। দশ বছরের বালক আমি ফুটবল বুঝতে শিখছি সদ্য। কাকার ঘরে ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখব। ওই বিশ্বকাপে পরিচিত হয়েছি ড্রাগ, কোকেন ইত্যাদি শব্দের সঙ্গে। দেখেছি বাঁ-পায়ের ‘ভগবান’ মারাদোনাকে মাঠ থেকে বেরিয়ে যেতে। সেসব আগেই লিখেছি। যাইহোক, ঘণ্টাখানেক পর ওই ‘ইতলি-ইতলি’ হর্ষধ্বনি উধাও। ‘ইল কান্তো দেলি ইতালীয়ী’র কিংবদন্তি রবের্তো বাজ্জোর টাইব্রেকারে পেনাল্টি মিসের পর করুণ পরিণতি, ব্রাজিল ক্যাপ্টেন রোমারিওর হাতে কাপ ওঠা, ওই বিশ্বকাপে পাঁচ গোল করে রুপোর বল পাওয়া বাজ্জোর কান্নাভেজা আখি আজো চোখের সামনে। তবে, ওই সময়টা ভারতীয় ফুটবলের জন্য সুখের ছিল না। ছোটবেলা থেকেই কাগজ পড়ানোর অভ্যাস করিয়েছিল বাবা-মা। আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতীয় ফুটবল দলের ক্রমশ হারের খবর ছেপে বেরোত। ’৯৪-এ ব্রাজিল যখন বিশ্বকাপ জিতছে, তখন গোলার্ধের অন্য প্রান্তের ভারত কিন্তু সরকারি অনুদান পাচ্ছে না। পরে বাবার কাছে জেনেছি, কেবল ’৯৪ নয়, ’৯০-এও ভারত অনুদান পায়নি। কারণ ‘হেরো পার্টি’কে কেই বা গুরুত্ব দেয়! আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তখন সাফল্য বলতে সেই ক্রিকেটকে ঘিরেই। সমস্ত লাইম লাইট, মিডিয়া, টাকা, বাণিজ্য সবকিছুই ক্রিকেট জগৎকে পুষ্ট করছে। তা হবে নাই বা কেন? ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জয়, বেনসন অ্যান্ড হেজেস কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া, রবি শাস্ত্রীর অডি গাড়িতে চড়া, শচীন নামক ‘অবতার’-এর আবির্ভাবের মতো ঘটনা তো ফুটবলে ঘটেনি। তাই আমাদের দেশের ফুটবল চলে গেল পিচড়েবর্গের দলে। ফুটবলে শেষ সাফল্য বলতে ১৯৭০-এর এশিয়ান গেমসে জাপানকে হারিয়ে সোনা জেতা। ব্যস! ভারত যেন ফুটবল পথ থেকে অনেকটাই বিচ্যুত হতে শুরু করল।

বিষয় হল, ’৯৮-এ সৈয়দ নঈমুদ্দিনের হাত ধরে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ভারতের প্রত্যাবর্তন ঘটল। কিন্তু এর দু’বছর আগে সৌরভ গাঙ্গুলি লর্ডসে অভিষেকেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। আমার মতো বহু বাঙালিই বিশ্বকাপ এবং ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ টিভির পর্দায় দেখে ফেলেছেন। এবং একইসঙ্গে, এখানকার ফুটবলের সঙ্গে বিশ্ব ফুটবলের তুলনা করে আগ্রহ ক্রমে হারাচ্ছেন। কিন্তু ’৯৬-এর উইলস ক্রিকেট বিশ্বকাপ, শচীনের তাক লাগানো ব্যাটিং, ইডেন গার্ডেন্সে সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তাসের ঘরের মতো ভারতীয় দল ভেঙে পড়া, বিনোদ কাম্বলির কাঁদতে কাঁদতে উত্তপ্ত ইডেন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘটনায় অনেকটাই মনখারাপ ছিল কলকাতারও। এরই মধ্যে ’৯৭-এর ডায়মন্ড ম্যাচ (যার ২৫ বছর পূর্ণ হল ২০২২-এর ১৩ জুলাই) ক্রিকেটকেও যে পিছনে ফেলে দিয়েছিল, সেকথা বলাই বাহুল্য। পরিকাঠামোয় ভারতীয় ফুটবল অনেক পিছিয়ে, প্লেয়াররাও বিদেশিদের মতো অত সক্ষম নন, চারদিকে ‘নেইমামা বিশেষজ্ঞ’রা কেবল আঁচলিয়েই যেতেন। কিন্তু বাঙালির আসল পৌরষত্ব যে ফুটবলকে ঘিরেই, তা কিন্তু দেখিয়ে দিয়েছিল ডায়মন্ড ম্যাচ। এক লক্ষ একত্রিশ হাজার দর্শক এসেছিলেন এই ম্যাচ দেখতে। ক্রিকেটে অমন ‘বিপ্লবে’র দিনেও এত দর্শক কল্পনাও করা যায় না (যদিও এত ক্যাপাসিটির স্টেডিয়ামও নেই)। খেলার আগের দিন আরো পনেরো হাজার অতিরিক্ত টিকিট ছাপতে হয়েছিল। ফলাফল যা-ই হোক না কেন, ফুটবলের জন্য মঞ্চ কিন্তু একটা প্রস্তুত হয়েই ছিল। 

’৯৮-এর ভারতীয় ফুটবলের প্রত্যাবর্তনের প্রসঙ্গে ফিরি। ’৭০-এ ব্যাঙ্ককে এশিয়ান গেমসে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সৈয়দ নঈমুদ্দিন। সেই নঈম সাহেবকেই দেওয়া হল ভারতীয় ফুটবল দলের কোচিংয়ের দায়িত্ব। ’৯৮-এও এশিয়ান গেমস ব্যাঙ্ককেই। ব্যাঙ্ককেই ’৭০-এ সোনা জিতেছিল নঈমের ভারত। তাই ভারতীয় ফুটবলাররা তাঁর কাছে সোনালি অতীতের গল্প যে শুনেছিলেন, এমনটা ধরে নেওয়াই যায়। বরাবরই কড়া প্র্যাকটিস করাতেন। ময়দানে তাঁর নামই ‘মিলিটারি কোচ’। কড়া দাওয়াইয়েই ঘোড়া ছুটল। শক্তিশালী জাপানের বিরুদ্ধে ভারত হেরে গেল বটে, কিন্তু মাত্র ১ গোলে। বিলক্ষণ মনে আছে, কার্লটন চ্যাপম্যানের গোলে পরের ম্যাচেই প্রতিবেশী নেপালকে হারায় ভারত। ভারত দ্বিতীয় রাউন্ডেও ওঠে। যদিও উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, উত্তর কোরিয়ার মতো কঠিন দলগুলোর সঙ্গে একই গ্রুপে রাখা হয় ভারতকে। এই তুর্কমেনিস্তানকেও যথেষ্ট বেগ দেয় ভারত। আই এম বিজয়ন ও তুষার রক্ষিত গোলও করেন। যদিও ২-৩ গোলে হেরে যায় ভারত। এরপর উজবেকিস্তান এবং কোরিয়ার কাছেও ভারত হারে ০-২ গোলে। প্রতিযোগিতা থেকেও বিদায় নেয় নঈম ব্রিগেড। বিদায়ের পর অনেকেই বলেছিলেন, টুর্নামেন্টের আগে প্রস্তুতি নেওয়ার আরো বেশি সুযোগ পেলে ফলাফল তুলনায় ভালো হতে পারত। পর্যাপ্ত ম্যাচ প্র্যাকটিসের অভাব ভারতকে আরো ভালো ফলাফল করতে বাধা দেয়। ১৯৯৭ সালের মার্চে নিয়োগ হয়েছিলেন জাতীয় কোচ সৈয়দ নঈমুদ্দিন। কিন্তু ’৯৮-র নভেম্বর পর্যন্ত জাতীয় দলকে খুব একটা খেলতেই দেখা যায়নি। এই দীর্ঘ এক বছর আট মাসে মাত্র দু’বার ভারত উজবেকিস্তানের সঙ্গে অনুশীলন ম্যাচ খেলেছে এবং একমাস ব্যাপী ক্যাম্প করেছে। ভারতীয় অপেশাদারিত্ব ছিল এমন পর্যায়েই।

দলে বাইচুং ভুটিয়া, আই এম বিজয়ন, জো পল আনচেরি, মিডফিল্ড ডায়নামো এস ভেঙ্কটেশ, প্লেমেকার তুষার রক্ষিত, ওভারল্যাপিং রাইট ব্যাক রবার্তো ফার্নান্ডেজ, ফ্র্যাঙ্কি ব্যারেটো, দেবজিৎ ঘোষ-সহ বহু প্রতিভাবান ফুটবলার ছিলেন, যাঁরা বিদেশি কোচদের কাছ থেকে প্রচুর প্রশংসা পেয়েছিলেন। ভারতীয় দল তাদের প্রথম ম্যাচে জাপানের বিপক্ষে বৃষ্টিভেজা মাঠে দুর্দান্ত খেলেছিল। এই জাপান দলে ’৯৮ বিশ্বকাপে দেশের প্রতিনিধিত্ব করা ফুটবলাররাও ছিলেন। তা-সত্ত্বেও ভারতীয় দলের নাছোড় মনোভাব মুগ্ধ করেছিল জাপান দলের কোচ ফিলিপ ট্রাউসিয়ারকে। তিনি নঈম-সহ ভারতীয় দলের প্রশংসা করেছিলেন। অময় ঘোষালের 'ইন্ডিয়ান ফুটবল টিম অ্যাট এশিয়ান গেমস: ১৯৯৮ ব্যাঙ্কক' নিবন্ধটি পড়লে জানা যায়, জাপান ম্যাচের পর থেকেই নাকি সমস্যা শুরু হয়। নঈম বুঝতে পারেন, পিছল মাঠে খেলার জন্য বাইচুংদের সঠিক স্টাড নেই। এই স্টাড থাকে বুটের নীচে, যা মাটি এবং ঘাসকে শক্ত করে ধরে রাখে। সেসব কেনার জন্য কোনো প্রচেষ্টাও করা হয়নি। তবে, এশিয়ান গেমসের আগে জাতীয় কোচ এবং তারকা স্ট্রাইকারের মধ্যে চাপা এক উত্তেজনাও তৈরি হয়েছিল। কড়া নঈম বাইচুংয়ের বন্ধু এবং ড্যাশিং মিডফিল্ডার সোমিতাই শাইজাকে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বরখাস্ত করেছিলেন। ১৯৯৮ সালের এশিয়ান গেমসে জাতীয় দলের পারফরম্যান্সকে এই ঘটনাও প্রভাবিত করেছিল। তাই যা হওয়ার তাই হয়। হেরে ফেরে ভারত। আর ভারতীয় কাম কলকাতার দর্শকরা ‘ভগবান’ বানিয়ে দেন রোনাল্ডো, জিদানদের। ভারতীয় ফুটবলকে ঘিরে ধরে নিজের দর্শকদেরই ‘অবহেলা’।

আরও পড়ুন
দলবদল নয় সরগরম 'টিকিট বদল'

এর প্রায় দু’বছর আগে জাপানের ফুটবল মডেলকে আইকন করেন প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি। ’৯৪-এ তিনি জাপান যান। ‘জে লিগ’ দেখেন। এরপর ভারতের জাতীয় ফুটবল লিগকেও সাজান অনেকটা জে লিগের মতো করে। খুব যত্ন করে। রমরম করে চলছিল জাতীয় লিগ। বিশেষ করে প্রথমবারের জাতীয় লিগ তো বিরাট হিট। টিভির পর্দায় সরাসরি দেখানোও হয় ম্যাচ। ভারতীয় ফুটবলও এককথায় ড্রয়িংরুমে প্রবেশ করতে শুরু করেছে জাতীয় লিগের হাত ধরেই। যদিও প্রথম জাতীয় লিগে মোহনবাগান খেলেনি। পরের মরশুম থেকে ডার্বি-সহ মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গলের খেলা ছাড়াও বঙ্গের বাইরের বিভিন্ন রাজ্যেও মাঠভর্তি থাকত। এর ফলও পেয়েছিল ভারতীয় পুরুষ ফুটবল দল। ইতিহাসের সেরা র‍্যাঙ্কিং ৯৪-এ উঠে এসেছিল ভারত, ১৯৯৬ সালে। তার পরের বছরে অর্থাৎ ১৯৯৭-এ সাফ গেমসে চ্যাম্পিয়ন হল ভারত। ১৯৯৯-এ ফের একবার সাফ। ২০০২-এ বিশ্বকাপ কোয়ালিফাই রাউন্ডে ভারতের শুরুটা ছিল ঈর্ষণীয়। যতদূর মনে আছে, আরব আমিরাতকে ১ গোলে হারিয়ে স্বপ্নের শুরু করে ভারত। পরের ম্যাচে ইয়েমেনের সঙ্গে ১-১ ড্র করে পরের রাউন্ডে যাওয়ার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখে ভারতীয় ফুটবল দল। কিন্তু শেষ ম্যাচে ব্রুনাইয়ের কাছে ০-৫ গোলে হেরে ভারতের বিশ্বকাপে যাওয়ার স্বপ্নে ছেদ পড়ে। মনে পড়ছে, ২০০২ সালে এলজি কাপ জেতে ভারত। তখন কোচ ছিলেন স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন। ২০০৭-এ সালে কোচ ববি হাউটনের হাত ধরে নেহরু কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। কিন্তু এসবকিছুকে ছাপিয়ে ২০০২-এর জাতীয় লিগ সবচেয়ে আনন্দ দিয়েছিল। ওই বছর পয়লা বৈশাখ সন্ধেবেলায় রেডিয়োর খবরে স‍্যালিউয়ের গোলে মোহনবাগানের জাতীয় লিগ জয়ের খবর পেয়ে মেতে উঠেছিলাম। পাড়ায় মিছিল, আতশ বাজি, পাশের কালী মন্দির থেকে ঢাক এনে মাতোয়ারা সবুজ-মেরুন জনতার ‘নগর কীর্তনে’র স্মৃতি আজো টাটকা। কিন্তু সত্যি কথা বলতে, ক্লাব ফুটবলে যতটা বেশি আনন্দ পেতাম, জাতীয় ফুটবলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হার দেখে চোখ সয়ে যাওয়ায় উৎসাহ ততটা পেতাম না। এরই মধ্যে সম্ভবত ২০০৪-এ হাসির খোরাক হল কলকাতা। ভারত-জাপানের মধ্যে বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচ চলছে। অতি গুরুত্বপূর্ণ এই আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচে ৯০ হাজারের যুবভারতীতে লোডশেডিং! জানা গেল, ইঁদুরের উপদ্রপ। যার জেরেই পাওয়ার কাট। সঙ্গে ভারতেরও নাক কাটা গেল। ০-৪ গোলে ম্যাচটি হারের চেয়েও সেই ক্ষত আরো বড়। বহুক্ষণ এই ‘হঠাৎ’ আঁধারে খেলা বন্ধ ছিল। তবে এর আগে জাপানে যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচ খেলতে যায় ভারত। সাইতামা স্টেডিয়ামে হওয়া ম্যাচটিতে ০-৭ গোলে লজ্জার হার হারে ভারত। মনে পড়ে কোনো এক খবরের কাগজ শিরোনাম করেছিল ‘০/৭ – এটা কোনো ক্রিকেটের স্কোর নয়’ এমন ধরনের কিছু একটা। তখনো কিন্তু ‘ট্রোলড’ শব্দটার সঙ্গে পরিচিত হইনি।

আরও পড়ুন
অনামিকা সেন: হুইসেলিংয়ের নেপথ্যে থাকা নিঃশব্দ কাহিনি

চলতি বছর, এপ্রিলের শেষের দিকে জাপান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ঘোষণা করল, কাতার বিশ্বকাপের আগে প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হবে ব্রাজিল-জাপান। ভাবি যে, ১৯৭০ সালে এই জাপানকে হারিয়েই এশিয়া কাপ ফুটবলে সোনা জিতেছিল ভারত। সেই জাপানের কাছেই কিনা... এই জাপান বিশ্বকাপে খেলছে। বিশ্বকাপ আয়োজনও করছে। আর আমরা ভারতীয়রা ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, জার্মানির হয়ে গলা ফাটিয়ে রক্ত গরম করছি। খারাপ লাগে এটা ভেবে যে, ২০১৮-এ এশিয়ান গেমস ফুটবলে খেলার সুযোগ পেয়েছিল ভারত। নিয়ম হল, ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটির ভারতীয় প্রতিনিধির থেকে ফিফার কাছে রেকমেন্ডেড করাটা বাধ্যতামূলক। কিন্তু কোনও অজ্ঞাত কারণে সেই কমিটির তৎকালীন ভারতীয় প্রতিনিধি নিতা আম্বানি এই ব্যাপারে উদাসীন ছিলেন। উনি কি ভুলে গিয়েছিলেন, ২০১৬-তে উনি ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি (IOC)-র সদস্য হয়েছিলেন প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসাবে? ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন অগত্যা কোনও গতি না পেয়ে সুনীল ছেত্রীদের নিজের টাকায় এশিয়ান গেমসে পাঠানোর কথা ভাবতে বাধ্য হয়েছিল। নিতা আম্বানি কি কেবল আইএসএল নিয়েই ভেবেছিলেন? সেই আইএসএল, যেখানে কোনো অবনমন নেই। সেই আইএসএল, যার জন্য প্রিয়রঞ্জনের স্বপ্নের জাতীয় লিগ (২০০৭ থেকে আই-লিগ) ‘দ্বিতীয় সারি’র মর্যাদা পেয়ে যায় অবলীলায়।

আরও পড়ুন
'টু ডলার' রেফারিদের নানান গল্পস্বল্প

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
শিবাজি স্মৃতি এবং আই-লিগ

Latest News See More