সবুজ দ্বীপের রাজা

ধূলায় ধূলায় ঘাসে ঘাসে – ৭

আগের পর্বে

দেবীজ্যেঠু অর্থাৎ দেবীদাস চৌধুরীর বাড়ি ছিল মাকড়দায়। বনেদি বাড়ি। আজও সেখানে আয়োজিত হয় পৌনে চারশো বছরের পুজো। সেই দেবীজ্যেঠুর বাড়িতে সেসময়ে ছিল ভারতের শ্রেষ্ঠতম ক্যাকটাসের সংগ্রহ। যাই হোক সে বনেদি বাড়িতে একদিন ডাকাত পড়ল। বাড়ির সকলকে বন্দি করেই চলল লুঠতরাজ। প্রতিবেশী বাড়িতেও। কিন্তু ডাকাতদের বিপত্তি বাঁধাল কণ্টকপর্ণী। দরজার পাশে রাখা ক্যাকটাসে পা রাখতেই হাত থেকে মেঝেয় পড়ে গেল বোমার ঝোলা। তারপর বিস্ফোরণ। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ আহত হলেন। বোমার আওয়াজে খবর পৌঁছালো উপর মহলেও। শেষমেশ বাধ্য হয়েই পালাল ডাকাতের দল।

বলরামপুর শহরের শেষ প্রান্ত বেড়মায় আদিগন্ত টাঁড়টা দক্ষিণদিকে ঢালু হতে হতে নেমে গেছে বহুদূর পর্যন্ত। তারপর উঠেছে গিয়ে সেই দলমাপাহাড়ের পায়ের কাছে। ঐ মাঠ যেখান থেকে ঢালু হতে শুরু করেছে সেইখানে রয়েছে একটি উঁচু ঢিবি। আমরা নাম দিয়েছিলাম ‘গাঙ্গুলী’জ মাউন্ড’ বা গাঙ্গুলীদের ঢিবি। সেটার ওপর দাঁড়িয়ে দলমাপাহাড়ে সূর্যাস্ত দেখতাম আমরা।

ও-বাড়ি থেকে বেড়মা যাবার দুটো পথ। একটা বলরামপুর বাজার হয়ে টাটা রোড দিয়ে অনেক ঘুরে। আর অন্যটা বরাভূম স্টেশানের প্ল্যাটফর্ম ধরে হেঁটে রেলের মালগোদাম পার করে, পাথুরে কাটিং টপকে ক্ষেতের আল ধরে ধরে পৌঁছে যাওয়া। আগেরটি অনেক ঘুরপথ বলে আমদের যাতায়াত প্ল্যাটফর্ম দিয়ে শর্টকাট রাস্তায়। দেশের বাড়িতে থাকলে প্রায় রোজই শেষ বিকেলে বেড়মা যেতাম ঐ পথ ধরে, সূর্যাস্ত দেখতে। 

কোনো কোনো দিন বাড়ি থেকে বেরোতে দেরি হয়ে গেলে বাবা আর আমরা দু’ভাই দৌড়াতাম প্ল্যাটফর্ম ধরে মালগোদাম পেরিয়ে কাটিংটার উপর দিয়ে। সেখান থেকে বাঁয়ে নেমে যখন আলপথ ধরতাম, তখন হয়তো সূর্য ডুবুডুবু। যেদিকে যতদূর চোখ যায় নানান শেডে শুধু লাল আর লাল। আকাশের লালিমা এসে মিশেছে রুক্ষু লাল মাটিতে। মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে থাকতাম আমরা তিন বন্ধু — বাবা আর দু’ভাই। সময় যেন থমকে দাঁড়াত কিছুক্ষণের জন্য। কী যে ভালো লাগতো কী বলব। ঈশ্বর বোধহয় এইসব মুহূর্তে তাঁর শ্বেতপাথরের বেদির(pedestal) উপর থেকে নেমে এসে ছোটদের হৃদয় স্পর্শ করেন। 

 

আরও পড়ুন
দরজার কোণে লুকিয়ে থাকা ক্যাকটাসেই ঘায়েল ডাকাত, শখ বাঁচিয়েছিল গোটা পরিবারকে

সারাবছর শহরে থাকা। পুজোর, শীতের, কখনো বা গরমের ছুটিতে বলরামপুর যাওয়া। সেবার গেছি শীতের ছুটিতে। দিন দুই হবে — বলরামপুরে পৌঁছেছি। দুপুরের খাওয়াদাওয়ার পর বাবা বললেন, ‘বেড়মা যাবি তো?’ আমরা একপায়ে খাড়া, বললাম ‘আজই চলো।’ বাবা বললেন ‘চল! এবার তোদের জন্য একটা চমক আছে।’ যেই বলা সেই কাজ। রওনা হয়ে গেলাম সঙ্গে সঙ্গে। 

সবে প্ল্যাটফর্ম, মালগোদাম ছাড়িয়ে পাথুরে কাটিংয়ের মাথায় পৌঁছেছি, বাবা বললেন, ‘এবার দাঁড়া। সোজা তাকিয়ে দেখতো কিছু দেখতে পাচ্ছিস?’ বলে আঙুল তুললেন দূর দক্ষিণের দিকে। সেই আঙুল বরাবর তাকিয়ে দেখি বালি-পাথরের সেই দিগন্ত বিস্তৃত ‘প্রায় মরুভূমি’ টাঁড়ের একপ্রান্তে যেন আলাদিনের প্রদীপের ছোঁয়ায় তৈরি হয়েছে একটা গাঢ় সবুজ দ্বীপ। 

আরও পড়ুন
ভাষা বাঁচাতে সুদূর মানভূম থেকে হেঁটে কলকাতায় এলেন বাঙালিরা, নেতৃত্বে বাসন্তী রায়ও

অবাক হয়ে বলি ‘ওটা কী বাবা?’ বাবা বললেন ওটা সুখেনের বাগান। চল আজ ওখানেই যাব। যেতে যেতে একটার পর একটা প্রশ্ন করতে থাকি আমরা। ‘বাবা, যার বাগান বললে তিনি কে?’

বাবা বলেন, ‘আমার ছোটবেলায় বলরামপুর ক্রিশ্চান মিশনের এক দিদিমণি, মিস বিশ্বাস আমাকে বাড়িতে এসে ইংরেজি পড়াতেন। আমি বলতাম ‘বিশ্বাস মাসিমা’। সুখেন তাঁরই ভাইপো। ছেলেবেলা থেকে ওনার কাছেই মানুষ।’ ভাই জিজ্ঞেস করে, ‘উনি কী করেন বাবা?’

আরও পড়ুন
বাঁশের তীর-ধনুক নিয়েই নামলেন প্রতিযোগিতায়, হারিয়ে দিলেন ‘আধুনিক’ শিষ্যকে

 

‘উনি সারাদিন বাগান করেন, তুলোর চাষ করেন, বই পড়েন, আর সময় পেলেই পাহাড়ি রাস্তায়, জঙ্গলের পথে দৌড়ে বেড়ান। সুখেন খুব ভালো অ্যাথলিটও। ব্যাস, আর কিছু জিজ্ঞেস করবে না। বাগানে কী কী গাছ আছে, গাছ ছাড়া আরো কিছু আছে কিনা এসব প্রশ্ন একদম করবে না। নিজেরাই গিয়ে দেখে নিও।’ এই বলে আমাদের কৌতূহল আরো উস্কে দিয়ে বাবা চুপ করে যান। জোরে জোরে পা চালাই। 

আরও পড়ুন
ভারতের তীরন্দাজিকে বদলে দিয়েছিলেন চন্দননগরের যজ্ঞেশ্বর ঘোষ

দূর থেকেই দেখা যায় বাগানের চারিদিক ঘিরে অমরিখাড়ার বেড়া। এই গাছের ডালপালা, পাতা, কল্কের মতো দেখতে সুন্দর বেগুনি ফুল — সব বিষাক্ত। আর সেই কারণেই গরু, ছাগল, ভেড়া সবাই এই গাছকে এড়িয়ে চলে। বাগানে ঢোকার মুখে কাঠ আর বাঁশের তৈরি কাজ চালাবার মতো একটা গেট। ভিতরে সবুজের হাট। পেঁপে, কলা এবং আমগাছই বেশি, তাছাড়া অন্য অনেক গাছও আছে। তবে কোন গাছই খুব লম্বা নয়। এমনকি লাফিয়ে আমগাছগুলোর মাথা ছোঁয়া যাচ্ছে দেখে আমাদের তো বেশ আনন্দই হচ্ছিল। 

দেখে বাবা বললেন, ‘মোটে এক বছর বয়স তো বাগানটার তাই গাছগুলো এখনও ছোট ছোট।’ কয়েক একর জায়গা জুড়ে বাগান। তারই মধ্যে পুকুর, সেখানে দলবেঁধে সাঁতার কাটছে রাজহাঁস। রয়েছে বিরাট এক পাড় বাঁধানো ইঁদারা। মাথায় খাপরা ঢাকা দুটো কটেজ। চওড়া চওড়া মোরামের রাস্তাগুলো চলে গেছে বাগিচার এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে। 

আরও পড়ুন
গালের ভিতর চামড়ার পকেট, চড় মারতেই বেরিয়ে এল সোনার চেন

 

ছোট বাড়িটার দাওয়ায় একটা ময়ূর আর দুটো ময়ূরী মাটি থেকে কী যেন খাচ্ছিল খুঁটে। কেবল বাগান দেখতে এসে এত কিছু দেখে আমরা দু’ভাই তো আনন্দে দিশাহারা। পাশে দাঁড়িয়ে বাবা চেঁচিয়ে ডাকছিলেন ‘সুখেন, ও সুখেন। দেখো কাদের নিয়ে এসেছি।’

বাবার ডাক শুনে সেই দোচালা কটেজ থেকে নীলরঙের ট্র্যাকস্যুট গায়ে লম্বা ছিপছিপে চেহারার যে ভদ্রলোক বেরিয়ে এলেন, গায়ের রং তাঁর বেশ কালো কিন্তু চোখ দুটি দারুণ চকচকে। 

‘আরে! দাদা আপনি!’ বলেই বাবাকে ঢিপ করে একটা প্রণাম করলেন। আমাদের দু’ভাইকে দুহাতে জড়িয়ে ধরে বললেন, ‘আলো, বুবুকেও নিয়ে এসেছেন? চলো তোমাদের বাগান ঘুরে দেখাই।’ এই বলে আমাদের হাত ধরে নিজে ঘুরে ঘুরে বাগান দেখাতে থাকলেন। বাগানের মধ্যে সর্বত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে সাদাকালো, খয়েরি-সাদা আর ছাই রঙের দিশি খরগোশেরা। রাজহাঁসেরাও কখনও কখনও জল ছেড়ে সেই দলে। রাস্তার ধারে ধারে ছোট ছোট লিলিপুল — তাতে ফুটে রয়েছে নীল, লাল, হলুদ শালুক। একদিকে একটা ছোট ঘেরা লনে বেশ কয়েকটা চিতল হরিণের সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছিল যে প্রাণীটি সেটি একটি নীলগাই। বাবা চিনিয়ে দিলেন। সুখেনদাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘একে কোথা থেকে জোটালে?’ সুখেনদা বললেন, ‘শিকার পরব ফেরত একদল দিয়ে গেছে। তখন একেবারে ছোট ছিল।’ ঐ লনেরই একপাশে হরিণদের থাকার খড়ের একচালা। 

 

এরপর সুখেনদা আমাদের নিয়ে গেলেন তিনি যেখানে থাকেন সেই বড় দোচালা ছাদের চিমনি দেওয়া কটেজটায়। বাড়িতে ঢোকার যে দরজা তার পাশেই দেয়াল জুড়ে রয়েছে একটা লতানে গোলাপ গাছ - মার্শাল নীল। তার বড় বড় গোলাপি ফুলে ভরে আছে দেয়াল, আর সে গাছ চালে উঠে জড়িয়ে ধরেছে ফায়ার প্লেসের উপরের চিমনিটাকেও। ঢুকলে সুন্দর করে গোছানো ঘরের ভিতরে খাবার টেবিলের উপর ঝকঝকে রুপোর মোমদানিতে দুটো খুব লম্বা সাদা মোমবাতি জ্বলছে। দেওয়ালে যিশুর ‘লাস্ট সাপার’। 

আমাদের টেবিলে বসিয়ে সুখেনদা দুটো ইয়াব্বড় সাদা বলের মতো জিনিস আমাদের দু’ভাইয়ের হাতে দিয়ে বললেন, ‘বল তো এটা কী?’ বাবা দেখলাম তাকিয়ে মুচকি হাসছেন। সুখেনদাই বলে দিলেন, ‘এগুলো রাজহাঁসের ডিম। কি, খাবে নাকি ডবল ডিমের ওমলেট?’       

এরপর নীল শাড়ির উপর কালো কার্ডিগান গায়ে সাদা শনের নুড়ি চুলের এক বুড়ি কাঁপতে কাঁপতে এসে আমাদের গাজরের হালুয়া দিলেন প্লেটে সাজিয়ে। বাবা এগিয়ে এসে প্রণাম করতেই বললেন, ‘কেমন আছো অমল?’

‘ভালো! আপনি কেমন আছেন মাসিমা?’

‘ঐ আছি একরকম!’

 

আমরা বুঝতে পেরে উঠে গিয়ে প্রণাম করি বাবার বিশ্বাস মাসিমা, মানে আমাদের সেই দিদাকে। আমাদের মাথায় হাত দিয়ে আশীর্বাদ করেন বুড়ি ‘গড ব্লেস ইউ মাই সান।’ ফেরার পথে বাগানের গেট পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে যান সুখেনদা। 

এসব ঘটনা ১৯৬৮ থেকে ১৯৭০ সালের। এরপর কেটে গেছে ৫০-৫২টা বছর। সে তো বড় কম সময় নয়। অর্ধশতাব্দী কাল! পাঁচ দশকে কত সাম্রাজ্য ভেঙে পড়ে। ইতিহাস সাক্ষী, সংকটে পড়ে গণতন্ত্রও কখনো কখনো। বদলে যায় আমাদের পরিপার্শ্ব। আমরাও। 

জন্মসূত্রে ক্রিশ্চান মানুষটি প্রথাগত ধর্মে বিশ্বাস রাখতেন না। আজও রাখেন না। চার্চ এবং নানা সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি সে অপরাধের শাস্তিও দিয়েছে বারংবার, নানা ভাবে। তবে সে সব তাঁর সিংহ-হৃদয়ে আঁচড় কাটতে পারেনি। সারাজীবন তাই ভালোবেসে গেলেন গাছপালা, মানুষ, জীবজন্তুসহ প্রকৃতিকেই। আজও পালন করে যাচ্ছেন তাঁর নিজের ধর্মবিশ্বাসকে। বহুদিন যাবৎ খুব কাছ থেকে তাঁকে চিনি বলে বলতে পারি একটুও বদলাননি তিনি এই পাঁচ দশকেও। একইরকম নিচু স্বরে অদ্ভুতরকম পরিশীলিত উচ্চারণে আজও প্রত্যেকটি মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সঙ্গে সেই অসাধারণ হাসিটি — যা তাঁর হৃদয়-উৎসারিত। আর এত বছর ধরে এত আঘাত, অপমান, অকৃতজ্ঞতা, অসম্মান সহ্য করার পরও মানুষের উপর কী বিশ্বাস! নাহ! একটুও বদলাননি তিনি। 

 

তবে নিরন্তর নিষ্ঠা, পরিশ্রম, আত্মত্যাগ ও নেতৃত্ব দিয়ে অনেকটাই বদলে ফেলেছেন নিজের চারপাশটা এবং আশেপাশের অন্তত পঞ্চাশটা গ্রামের মানুষের জীবন। 

১৯৬৪-৬৫ সাল থেকে টাটা রোডের উপর ছোট বাগানে সুখেন ডাক্তারের দাতব্য চিকিৎসালয় এবং ১০-১২ বেডের হাসপাতালটি তো ছিলোই, ১৯৭০ সালে বাগানের বাইরের মাঠে তিনি ‘ছাতা পরব’ নামক মানভূমের এক লোক উৎসবকে পুনরুজ্জীবিত করেন। আজও বিশ্বকর্মা পুজোর দিন এই উৎসব দারুণ উৎসাহে পালিত হয় প্রতি বছর। 

স্থানীয় কিশোরদের ফুটবল ও অন্যান্য খেলাধূলার অভ্যাস করানোর জন্য গঠন করেন রয়্যাল ক্লাব, ১৯৭৫ সালে। সে বছরই ‘জননী’ নামে একটি অনাথ আশ্রমও চালু করেন অনাথ ও দুঃস্থ ছেলেমেয়েদের জন্য। আজও সে আশ্রম ৪৫-৫০টি শিশু-কিশোরের নিশ্চিত আশ্রয়। ভবিষ্যতের আলোকবর্তিকা।

‘পুরুলিয়া ছৌ’-এর ধারাটিকে আরো মজবুত করতে এবং সারা দেশে ও বিদেশেও তার প্রসার ও প্রচার করতে ১৯৮৯ সালে গঠন করেন রয়্যাল ছৌ অ্যাকাডেমি। 

আর এই সবই এতদিন চালিয়ে এসেছেন এবং এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন কোনো বড় সরকারি সাহায্য ছাড়াই। সঙ্গীসাথী ছাড়া বরাবর যারা ওঁর পাশে থেকেছে তারা হল ঐ আশেপাশের গ্রামের প্রায় অশিক্ষিত ও দরিদ্র গ্রামবাসীরা। যাদের কাছে উনি ঈশ্বরের আরেক রূপ। 

উনি যে অনুজের স্নেহ দেন, এত ভালোবাসেন এ আমি নিজের সৌভাগ্য মানি। দূরভাষের দৌলতে মাঝেমধ্যেই কথা হয় আমাদের। দেশের বাড়ি বরাভূমে গেলে প্রথমেই সুখেনদার কাছে যাই সপরিবারে। নিজের সমস্ত ব্যস্ততা সরিয়ে রেখে পুরো সময়টা আমাদের সঙ্গে থাকেন। ফেরার সময় হাত দুটো ধরে নীরবে ভাসিয়ে দেন চোখের জলে। শিগগিরই আবার আসব বলে ফেরার পথ ধরি। কিন্তু ফিরেই অপেক্ষায় থাকি সুখেনদার ফোনের। 

“বেল-ডির দিকের লেভেল ক্রসিংয়ের পাশ দিয়ে দক্ষিণায়ণের সূর্য উঠছে আজকাল। ঘর ফিরতি কামিনদের গলায় টুসু গান। বড় বাগানে থুজা ওরিয়েন্টালিসের ডালে ছেয়ে শালিকরা খড় তুলছে, শীত শেষ হয়ে এল। তুমি কবে আসবে আলো?”

Powered by Froala Editor