বিরামকাল

‘কালাপানি’ আন্দামান’ – ২৫
আগের পর্বে

রাওলাট অ্যাক্ট প্রত্যাহৃত হবার ঠিক পরই ১৯১৯ সালে সেলুলার জেল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় ব্রিটিশ সরকার। তবে শর্ত একটাই দেশের মাটিতে ফেরার জন্য সরকারি পত্র স্বাক্ষর করতে হবে বিপ্লবীদের। অনেকে রাজকীয় ক্ষমা পেয়ে দেশে ফিরলেন। তবু মুক্তি মিলল না জেল থেকে। তবে বহু আগে থেকেই ক্ষমাভিক্ষার আবেদন করে এসেছেন সাভারকার। যে কাজ ছিল অখ্যাত বিপ্লবীদের কাছেও ঘৃণ্য। সাভারকারের যুক্তি ছিল, কারারুদ্ধ থাকার অর্থ দেশের কাজের জন্য সময় নষ্ট করা। তবে মুক্তি পেয়েও আর বিপ্লবমুখী হলেন না তিনি। বরং, নীতি-আদর্শ-মর্যাদা বিসর্জন দিলেন সবই। তারপর...

১৯০৯ সালে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সর্দার গুরমুখ সিংকে ১৯২২ সালে যখন সেলুলার জেল থেকে মুক্ত করে প্রহরীবেষ্টিত অবস্থায় পঞ্জাবের জেলে পাঠানো হচ্ছিল, তিনি পালিয়ে আফগানিস্তান হয়ে রাশিয়ায় চলে যান। পরবর্তী কালে সর্দার ভগৎ সিংহের সঙ্গে দ্বিতীয় লাহোর ষড়যন্ত্র মামলায় (স্যন্ডারস হত্যা মামলা) অভিযুক্ত হয়ে আবার সেলুলার জেলে নির্বাসিত হন এবং ১৯৩৭-৩৮ সালে মুক্তি পান। দীর্ঘ আত্মগোপনকালে ব্রিটিশ পুলিশের পক্ষে তাঁকে ধরা সম্ভব হয়নি।

গদর পার্টির প্রতিষ্ঠাতা, ১৯০৯ সালে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বাবা পৃথ্বী সিংহ আজ়াদ। ১৯২১ সালে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেসুলার জেলে বন্দি পাঠানো বন্ধ হলে তাঁকে মাতৃভূমির জেলে ফেরত আনার ব্যবস্থা করার সময় তিনি প্রহরীবেষ্টিত অবস্থায় ট্রেন থেকে লাফিয়ে পালিয়ে যান এবং ১৬ বছর আত্মগোপন করে থাকেন।

বিপ্লবী শচীন সান্যাল বারাণসী ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত হয়ে ১৯০৯ সালে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে সেলুলার জেলে নির্বাসিত হন। ১৯২১-এ তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। পরে ১৯২৬ সালে কাকোরি রেল ডাকাতি মামলা অভিযুক্ত হয়ে তিনি সেলুলার জেলে পুনর্নির্বাসিত হন এবং ১৯৩৭ সালে মুক্তি পান।

বিপ্লবী নিখিল রঞ্জন গুহরায় শিবপুর ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত হয়ে ১৯০৯-এ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে সেলুলার জেলে নির্বাসিত হন। ১৯২১ সালে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। পরে মুর্শিদাবাদ কান্দি বোমা মামলায় অভিযুক্ত হয়ে ১৯৩৩-এ তাঁকে আবার সেলুলার জেলে পাঠানো হয় এবং ১৯৩৭ সালে মাতৃভূমিতে ফেরত এনে কারারুদ্ধ করা হয়।

আরও পড়ুন
মাফিনামা

ত্রৈলোক্য চক্রবর্তী ওরফে মহারাজ সেলুলার জেলে ১০ বছরের সাজা নিয়ে বন্দি হওয়ার পরে ছাড়া পেলেও পাক-ভারতের বিভিন্ন জেলে তাঁর বন্দিজীবন প্রায় ৩০ বছর।

আরও পড়ুন
মুক্তি এল অবশেষে

গোবিন্দচন্দ্র ওরফে গোবিন্দ চরণ কর প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে রাজদ্রোহের কারণে ৭ বছরের কালাপানি হয়। সেখান থেকে ১৯২০-এ ছাড়া পান। এরপর ১৯২৭-এ কাকোরি রেল ডাকাতি মামলায় যাবজ্জীবনের জন্য আবারও আন্দামানে আসেন।

আরও পড়ুন
সাহসী প্রতিরোধ

জানুয়ারি ১৯১৩-তে উল্লাসকরকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মাদ্রাজ উন্মাদাগারে। উল্লাসকরের কারা-জীবনী থেকে জানা যায় যে জেল সুপারিন্টেন্ডেন্ট তাঁকে ইউরোপীয় উন্মাদেরা যেখানে থাকত, সেখানেই তাঁকে রাখার ব্যবস্থা করে দেন এবং কয়েদিদের কাপড় না পরে তাঁকে বাড়ির কাপড় পরার অনুমতি দেন। তিনি যে সবসময় মানসিকভাবে সুস্থ থাকতেন, এমনটা নয়। একদিন পাশের সেলের এক গোরা পাগল, যার জন্য বারেবারে নানারকম খাবার আসত, তার খাবারের বাটি ধরে তিনি টানাটানি করছিলেন। যে ‘বয়’ সেই খাবার এনেছিল, সে উল্লাসকরকে জুতো দিয়ে মারে। আর একবার এক সন্ধ্যায় উল্লাসকর তাঁর সেলে শুয়েছিলেন। একজন ওয়ার্ডার এসে তাঁর ঘুম ভাঙিয়ে দেয় তখন উল্লাসকর রাগের মাথায় তাকে গালি দিলে, অন্য এক ওয়ার্ডার চটের কম্বল এনে তা দিয়ে উল্লাসকরকে জড়িয়ে প্রথমে টানাটানি করল এবং তারপর প্রচণ্ড মার মারল। অবশেষে একদিন তাঁকে হাসপাতাল থেকে বন্দিশালায় পাঠানো হল। সেখানে তাঁকে তাঁতশালায় হাল্কা কাজ দেওয়া হল। তাঁর মনের অবস্থা কিন্তু কখনোই স্থির হল না, মাঝেমাঝেই তিনি নানা ধরনের দিবাস্বপ্ন দেখতেন। তাঁর চেনাশোনা আত্মীয়স্বজন বাবা-মা যেন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন। নানা ধরনের অপার্থিব ব্যাপারস্যাপার হানা দিত তাঁর মনোজগতে। একধরনের হ্যাল্যুসিনেশনের জগতে চলে যেতেন তিনি। অথচ স্বাভাবিক অবস্থায় কিন্তু তিনি সেই আগুনখোর বিল্পবীর মেজাজ বজায় রাথতেন।

আরও পড়ুন
বীভৎস সেই বর্বরতা

একদিন এক ঘটনার কথা উল্লাসকর উল্লেখ করেছেন। পুরনো সুপারিন্টেন্ডেন্ট বদলি হয়ে গেলে এক নতুন সুপারিন্টেন্ডেন্ট তার স্থলাভিষিক্ত হলে একদিন তিনি এক সাহেব ওয়ার্ডারকে সঙ্গে নিয়ে উল্লাসকরের কুঠুরিতে এলেন। উল্লাসকরকে দেখে তিনি তাঁর সঙ্গে তামাশা করে বললেন, Ah! You monkey!” উল্লাসকর তখন স্বাভাবিক। সুপারিন্টেন্ডেন্টের এই সম্ভাষণ তাঁর মোটেই পছন্দ হল না। তিনি অত্যন্ত অপমানিত হয়ে উত্তর দিলেন, “What do you mean? You seem to be no better than what I am?” উল্লাসকরের এই প্রত্যুত্তরে সাহেব তাঁর ওপর চটে গিয়ে হম্বিতম্বি আরম্ভ করে দিলেন – “ও তুমি এতটা স্বাধীনচেতা লোক?! আচ্ছা দেখা যাক তোমার জন্য কি করা যাইতে পারে।” এরপর তাঁর প্রথমেই নজর পড়ল যে, উল্লাসকর সাহেবদের ওয়ার্ডে আছেন, অমনি বলে উঠলেন, “কে তোমাকে সাহেবদের ওয়ার্ডে ভর্তি করিয়াছে? তুমি কি সাহেব?” উল্লাসকর বললেন, “না, আমি ভারতবাসী, তোমার আগেকার সুপারিন্টেন্ডেন্ট আমাকে এই স্থানে থাকবার ব্যবস্থা করেছে।” এরপর তাঁর দৃষ্টি পড়ল উল্লাসকরের পরিধেয় বস্ত্রের প্রতি – তিনি কয়েদির কাপড় না পরে বাড়ির কাপড় পরে আছেন, তাই দেখে তিনি বললেন, “তুমি যে বাড়ীর কাপড় পরিয়া রহিয়াছ, এ কি তোমার বাড়ী? জানো তুমি কয়েদী? তোমাকে এই স্থানে থাকিতে হইলে কয়েদীর কাপড়ই পরিতে হইবে।”

এরপর উল্লাসকরকে সুপারিন্টেন্ডেন্টের হু্কুমে সাহেবদের জন্য বরাদ্দ ওয়ার্ড থেকে বিতাড়িত হয়ে দেশীয়দের ওয়ার্ডে যেতে হল। সেখানে তাঁর জন্য দেওয়া হল কয়েদিদের কাপড়, আর শোবার জন্য তালপাতার চাটাই, খড়ের বালিশ আর গায়ে দেবার জন্য একটা মোটা চট। এর ফলে অবশ্য উল্লাসকরকে দমানো গেল না। তিনি লিখছেন, “এই সকল লঘু লাঞ্ছনার ফলে আমার মনের বল কোনও প্রকার হ্রাস হওয়া দূরে থাক, বরং আরও বৃদ্ধি পাইতে লাগিল।”

১৯২০-তে ‘রাজকীয় ক্ষমাপ্রদর্শন’-এর অঙ্গ হিসাবে উল্লাসকর মাদ্রাজ উন্মাদাগার থেকে মুক্তি পেলেন। মাদ্রাজ পু্লিশের সঙ্গে তাদেরই পথপ্রদর্শক হয়ে ফিরে এসে রিপোর্ট করলেন প্রেসিডেন্সি জেলে (তাঁদের আমলের আলিপুর জেলের নাম পরিবর্তন হয়ে তখন প্রেসিডেন্সি জেল)। পরদিন তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে তিনি জেল থেকে বাড়ি ফিরে গেলেন। একদিন তিনি সাইকেলে চেপে বেরিয়ে পড়লেন। সাইকেলে করেই পৌঁছে গেলেন পন্ডিচেরি, যদি অরবিন্দকে রাজি করিয়ে দেশোদ্ধারের কাজে ফেরানো যায়। কিন্তু বিফল মনোরথ হয়ে ফিরলেন। এরপর আর রাজনীতিতে অংশ নেননি। ১৯৪৭-এ দেশ স্বাধীন হলে তিনি তাঁর গ্রাম, ব্রাহ্মণবেড়িয়া জেলার (বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থিত) কালীকাছা গ্রামে ফিরে আসেন। ১৯৪৮-এ বিপিনচন্দ্র পাল’এর বিধবা কন্যা লীলাকে বিয়ে করেন যৌবনের দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুসারে। (সেইসময়ে দেশ স্বাধীন না হলে বিপ্লবীরা বিয়ে করবেন না বলে শপথ নিতেন। সেই শপথ রক্ষা করেছিলেন উল্লাসকর।) ১৯৫১ সালে তাঁরা চলে আসেন অসমের শিলচরে। এরপর পঙ্গু স্ত্রীর সেবা করেই তিনি জীবন অতিবাহিত করেন। অত্যন্ত দারিদ্রের সঙ্গে কেটেছিল তাঁর বাকি জীবনটা। তবু ভারত সরকারের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জন্য বরাদ্দ ভাতা নিতে তিনি অস্বীকার করেছিলেন। সেই সময়ে তাঁদের খাওয়া-দাওয়া-চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করেছিলেন শিলচরের মানুষ এবং পুরনো বিপ্লবী বন্ধুরা। ’৬২-তে স্ত্রীর মৃত্যু হয়। প্রেমিকা স্ত্রীর মৃত্যুর পরেও তিনি বিশ্বাস করেন নি যে তাঁর স্ত্রী আর নেই। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত যদি তাঁর স্ত্রী ফিরে আসেন এই আশায় তিনি তাঁর বাড়ির সদর দরজা কখনো বন্ধ করতেন না, খাবার সময়েও তিনি তাঁর স্ত্রীর জন্য খাবারের ভাগ রেখে দিতেন।  অবশেষে ১৭ মে ১৯৬৫-তে তাঁর দেহাবসান ঘটে।

বারীন্দ্রকুমার ঘোষ ১৯২০-তে আন্দামান থেকে ফিরে এসে আর সক্রিয় রাজনীতিতে ওংশ নেন নি। চিত্তরঞ্জন দাশের নারায়ণ পত্রিকার ভার গ্রহণ করেন। তারপর নিজেই বিজলী পত্রিকা প্রকাশ করেন এবং ‘আর্য্য পাবলিশিং হাউস ও চেরিপ্রেস গঠন করেন। সেখান থেকেই প্রকাশ করেন তাঁর দ্বীপান্তরের কথা এবং উল্লাসকরের কারা-জীবন। পরবর্তীকালে কখনো ঋষি অরবিন্দের পন্ডিচেরি আশ্রমে, কখনো মতিলাল রায়ের ‘প্রবর্ত্তক’ সংঘে, কখনো পাবনা জেলার হিমইতপুরে অনুকুল ঠাকুরের আশ্রমে আবার কখনো দয়ানন্দ ঠাকুরের অরুণাচল মিশনে – অস্থির চিত্তে ঘুরে বেড়িয়েছেন। ১৯২২-এ কলকাতার ভবানীপুরে শ্রীঅরবিন্দের নির্দেশে একটি সাধনকেন্দ্র চালু করেছিলেন, কিন্তু তা অচিরেই বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৩৩-এ দি ডন অফ ইন্ডিয়া নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করেন। ১৯৩৬-এ ভারত কোন পথে পুস্তিকায় ব্রিটেনকে ‘আমাদের মন্ত্রগুরু’ হিসাবে অভিহিত করেন। প্রৌঢ বয়সে বিবাহ করেন। ১৯৫০ থেকে দৈনিক বসুমতী পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। বাংলা ও ইংরাজি ভাষা – দুটোতেই তাঁর সমান দক্ষতা ছিল এবং বেশ কয়েকটি বই তিনি রচনা করেন। ১৮ এপ্রিল ১৯৫৯ তাঁর জীবনাবসান ঘটে।

১২ বছর কারাদণ্ডের পর সেলুলার জেল থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরলেন উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও চিত্তরঞ্জন দাশের নারায়ণ পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন এবং পরে বারীনের সঙ্গে বিজলী পত্রিকা বের করেন।  এরপর তিনি প্রকাশ করেন সাপ্তাহিক আত্মশক্তি পত্রিকা। এই সময়ে তিনি তিন বছরের জন্য আবারও কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। মুক্তিলাভের পর উপেন্দ্রনাথ ফরওয়ার্ড, লিবার্টি, অমৃতবাজার পত্রিকা, দৈনিক বসুমতী প্রভৃতি সংবাদপত্রের সঙ্গে বিভিন্ন সময় সাংবাদিক হিসাবে যুক্ত ছিলেন। ৪ এপ্রিল ১৯৫০ সালে মৃত্যুর আগে অবধি তিনি দৈনিক বসুমতী’র সম্পাদক হিসাবে কাজ করেছেন।

মে, ১৯২১-এ দুই সাভারকর ভাইকে নিয়ে আসা হল ভারতের জেলে। বড়দা বাবারাও সেপ্টেম্বর, ১৯২২-এ নিঃশর্ত মুক্তি পেলেন। কিছু জ্বালাময়ী কবিতা লেখার কারণে তিনি ১৪ বছর কালাপানি ও এক বছর ভারতের জেলে – মোট ১৫ বছর জেল খাটলেন। ওইদিকে জ্যাকসন হত্যা ও পিস্তল সরবরাহের অভিযোগে বিনায়ক ১০ বছর সেলুলার জেল খেটে এসে অবশেষে ভারতের জেল থেকে ছাড়া পেলেন ৬-ই জানুয়ারি, ১৯২৪। বিনায়ক সাভারকরের মুক্তি অবশ্য নিঃশর্ত ছিল না। তাঁর মুক্তির শর্ত ছিল যে – ১। তাঁর প্রতি যথাযথ বিচার হয়েছিল – তা মেনে নিয়ে স্বীকারোক্তি দিতে হবে এবং ২। সহিংস আন্দোলনের নিন্দা করে বিবৃতি দিতে হবে। বলা বাহুল্য, এই দুটি শর্তই বিনায়ক মেনে নিয়েছিলেন। ইংলন্ডে গ্রেপ্তারির দিন থেকে ধরলে তাঁর কারাবাস হল প্রায় ১৪ বছর। সরকার বলল যে উনি পাঁচবছর রত্নগিরি জেলার বাইরে যেতে পারবেন না। সেই শর্ত মেনে তিনি স্ত্রী-পুত্র সহ সুখে সংসারযাত্রা নির্বাহ করতে লাগলেন। এরপর তিনি বন্দিজীবনের স্মৃতি নিয়ে কেশরী এবং মারাঠি সাপ্তাহিক শ্রদ্ধানন্দ’এ লিখতে থাকলেন। পরবর্তীতেও তিনি নিজের মুক্তির শর্ত মেনে ব্রিটিশ উচ্ছেদ রাজনীতিতে অস্ত্র ধরা তো দূরের কথা কোনো অহিংস আন্দোলনে নিজেকে আর জড়াননি।

১৯২১-এ সেলুলার জেল রাজনৈতিক বন্দিদের জন্য বন্ধ হয়ে গেল। ১৯২২ – ১৯৩১ ভারতীয় রাজবন্দিদের আর দেখা গেল না সেলুলার জেলের বদ্ধ কুঠুরিগুলোতে।

Powered by Froala Editor