কফিন আছে, কিন্তু মানুষ কই? ভেতরের মমি দেখে তাজ্জব গবেষকরা

পিরামিডের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হল দুটি মমি। আকৃতিতে বেশ খানিকটা ছোটো। দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করে রাখার পর গবেষণার জন্য যথারীতি সারকোফ্যাগাস থেকে মমি দুটিকে বের করলেন গবেষকরা। কিন্তু সেগুলোকে পরীক্ষা করতেই বেরিয়ে এল অদ্ভুত তথ্য! মানুষের মতো দেখতে মমি দুটি আসলে মানুষ নয়! ওইভাবে সাজানো হয়েছে! তাহলে কার?  

ইজরায়েলের হাইফা মিউজিয়ামে সংরক্ষিত দুই বিশেষ মমি নিয়ে গবেষণা করতে গিয়েই এমন চমকপ্রদ বিষয় খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা। আজ থেকে ৫০ বছর আগে পাওয়া গিয়েছিল এই দুটি মমি। তখন এই মিউজিয়ামে এনে সংরক্ষণ করে রাখা হয়। সারকোফ্যাগাস দুটি আকৃতিতে বেশ খানিকটা ছোটো। ভেতরের মমি দুটির আকৃতিও তাই। ফলে মনে করা হয়েছিল, হয় খুব ছোটো শিশুর মমি; নয়তো হৃদপিণ্ডের মমি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয় ব্যাপারটায় খটকা লাগত ঐতিহাসিকদেরই। কারণ প্রাচীন মিশরীয়রা মমির দেহ থেকে হৃদপিণ্ড কখনও ফেলে দিত না। 

সম্প্রতি মমি দুটিকে নিয়ে সিটি স্ক্যানের ব্যবস্থা করেন গবেষকরা। আর তাতেই চমকে যান তাঁরা। এতদিন ধরে যা ভাবছিলেন, সব এক ধাক্কায় ভেঙে যায়। দেখেন, একটি মমির ভেতর মাটি দিয়ে তৈরি একটি মূর্তি। প্রকৃতপক্ষে, একটি ডামি মমি। যে আকৃতিটা অনেকটা মিশরের মৃত্যুর দেবতা ওসিরিসের মতো। আরেকটা মমি অনেকটা পাখির মতো। এক্ষেত্রে পাখিটাকে সম্ভবত মমিকৃত করা হয়েছে। এটি মিশরীয় দেবতা হোরাসের মতো। অনেক পিরামিডেই এই দুজনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, বিশেষ করে হোরাসের। তবে এভাবে মমি করে রাখার উদাহরণ এর আগে কটা পাওয়া গেছে, জানা যায়নি। 

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
রাজারাজড়া নয়, মিশরে আবিষ্কৃত এক সাধারণ কিশোরীর পিরামিড, সঙ্গে মমি