মহারাষ্ট্রে একটি পূর্ণবয়স্ক বাঘ ও দুটি শাবকের মৃত্যু, সন্দেহ বিষক্রিয়ার দিকেই

কিছুদিন আগেই প্রকাশিত হয়েছিল বাঘ সুমারির ফলাফল। ঘোষণা করা হয়েছিল দেশে বাঘের সংখ্যাবৃদ্ধির কথা। কিন্তু এপ্রিলের পর আবারও কোনো জাতীয় উদ্যানে বাঘের মৃত্যু রীতিমতো সাড়া ফেলল বনদপ্তরে। এবার নাম উঠে এল মহারাষ্ট্রের। রবিবার বিকালে চন্দ্রপুর জেলায় তাডোবা অন্ধেরি জাতীয় উদ্যানে মোহার্লি রেঞ্জের কাছে বন দপ্তরের আধিকারিকরা উদ্ধার করল তিনটি বাঘের মৃতদেহ। যার মধ্যে রয়েছে দুটি শাবক এবং একটি পূর্ণবয়স্ক বাঘিনী।

শাবক দুটির বয়স প্রায় বছর খানেক। খুব কাছাকাছি তিনটি দেহ পড়ে থাকায় প্রথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বিষক্রিয়ার কারণে মৃত্যু হয়েছে বাঘগুলির। তবে তাদের দেহে কোনো ক্ষতচিহ্ন না থাকায় পরিষ্কার যে, চোরাশিকারের ঘটনা নয় এটি। উদ্ধারের সময় শাবকগুলির দেহ বিয়োজিত হয়ে গিয়েছিল বলেই জানাচ্ছেন আধিকারিকরা। ফলে ঘটনাটি কয়েকদিন আগেই ঘটেছে বলে অনুমান।

কিছুদিন আগেই গোয়ায় একইভাবে মৃত্যু হয়েছিল একটি বাঘিনী ও তিনটি শাবকের। চোরাশিকার না হলেও সেখানে ছিল মানুষের হাত। কাছের গ্রামাঞ্চলে তার কিছুদিন আগেই বাঘের হানায় প্রাণ গিয়েছিল কয়েকটি গবাধি পশুর। পরে তদন্তে উঠে আসে, সেই ঘটনারই প্রতিশোধ নিতেই জলে বিষ মিশিয়ে ছিলেন বাসিন্দারা। মহারাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও তেমনটাই সম্ভাবনা রয়েছে। মৃতদেহগুলির কাছেই ছিল একটি জলাধার। যেখানে বাঘ ও লঙ্গুর জল খেতে আসে প্রায়শই। ওই জলাশয়ের জল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখছে ফরেস্ট রেঞ্জের অফিসাররা।

গত সপ্তাহেই বাঘের মৃত্যুর হার বাড়ার তথ্যে অস্বীকার করেছিল সরকার। জানিয়েছিল ৬ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে বাঘের সংখ্যা। তার ঠিক কয়েকদিনের মধ্যেই এই ঘটনা প্রশ্ন তুলছে বন্যপ্রাণীদের নিরাপত্তার ব্যাপারে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ৮ বছরে ভারতে মৃত্যু হয়েছে সাড়ে সাতশোর বেশি বাঘের। প্রাকৃতিক বনাঞ্চল বিপন্নের কারণেও বিপর্যস্ত বাঘের বাসস্থান। এখনও কি সময় আসেনি ব্যাঘ্রসংরক্ষণে জোর দেওয়ার?

আরও পড়ুন
৮ বছরে দেশজুড়ে মৃত ৭৫০ বাঘ, জানাল জাতীয় ব্যাঘ্র সুরক্ষা দপ্তর

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
ভাঙা বাঁধ, ওইপারে বাঘ, এইপারে মানুষ আর মাঝে মাতলা: সুন্দরবন থেকে সরাসরি