অন্তঃসত্ত্বা বাঘিনীকে পিষে দিয়ে গেল গাড়ি, বন্যপ্রাণের বিনিময়ে এ কোন উন্নয়ন?

ট্রেন দুর্ঘটনা অথবা রাস্তা অতিক্রম করতে গিয়ে গাড়ির ধাক্কায় পশুর মৃত্যু এ-দেশে নেহাৎ কম নয়। সম্প্রতি রামনগর-হাল্ডওয়ানি রাস্তায় একটি গর্ভবতী মায়ের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হওয়ায় পশুপ্রেমীদের মনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

বেশিরভাগ জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে চলে যাওয়া রাস্তাগুলোয় ধীরে গাড়ি চালানোর নির্দেশিকা থাকে। তারপরেও এমন দুর্ঘটনা ঘটায়, দায়ী করা হচ্ছে চালককেই। মা হতে চলা বাঘটির পেটে ছিল তিনটি ভ্রূণ। বাঘটির বয়স মাত্র ন'বছর। মা আর হওয়া হল না তার। উত্তরাখণ্ড বন বিভাগের প্রধান ওয়ার্ডেন জানিয়েছেন, গাড়িটি চিহ্নিত করা সম্ভব হলে চালককে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করা হবে।

এমনিতেই উত্তরাখণ্ডে লেপার্ডদের মৃত্যুর হার বেশি। ২০০১ থেকে মোট ১৩৩টি লেপার্ডের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৬৪টি হাতি ও ১৫টি বাঘের।

প্রাণী সংরক্ষণ উন্নত ও আধুনিক হলেও কিছুতেই এড়ানো যাচ্ছে না দুর্ঘটনায় পশু মৃত্যুর হার। মানুষকে নিজে থেকে আরও সচেতন হতে হবে, নাহলে একসময় এভাবেই ফুরিয়ে যাবে বিভিন্ন প্রাণীর অস্তিত্ব। তার ওপরে এমন দুর্ঘটনা আরও সংকটেই ঠেলে দিচ্ছে না কি তাঁদের?