শুধু উত্তমকুমারই নন, অন্যান্য নায়কদের কণ্ঠেও অবিস্মরণীয় হেমন্ত মুখোপাধ্যায়

বাঙালির উত্তম-প্রেমের সঙ্গে প্রায় অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িয়ে গেছে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠ। স্বাভাবিক। এই অমোঘ রসায়নকে অস্বীকার করার কথা কেউ ভাবতেই পারেন না। কিন্তু ঘটনা হল, একটা সময়ের চূড়ান্ত সাফল্যের পর দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য ঘটেছিল। এরপর উত্তমকুমারের মুখে শ্যামল মিত্র, মান্না দে এমনকি কিশোরকুমারের গানও আমরা পেয়েছি, এবং সেই সব গানও যথেষ্ট মনোগ্রাহী – তবে সেই মায়াবী আবেশ যেন ঠিক ফোটে না। আর হেমন্ত? উত্তমকুমারের লিপে গান গাওয়ার সুযোগ না পেয়ে গাইতে লাগলেন অন্যান্য নায়কদের জন্য। তুলনামূলক বিচারে কিন্তু অন্য নায়কদের মুখে গাওয়া হেমন্তের গানের জনপ্রিয়তার পাল্লা একটু হলেও ভারী – উত্তমের মুখে অন্য শিল্পীদের গাওয়া গানের তুলনায়। পরে অবশ্য ‘শুকসারী’, ‘মন নিয়ে’, ‘সোনার খাঁচা’, ‘অসাধারণ’ প্রভৃতি ছবিতে আবার এই জুটিকে একসঙ্গে পাওয়া গেছে।

এবার একটু পিছন ফিরে দেখি। হেমন্ত প্রথম একক কণ্ঠে নায়কের লিপে প্লেব্যাক করেছিলেন ‘নিমাই সন্ন্যাস’ ছবিতে। লাজুক, মিতভাষী সেই তরুণকে দেখে নাকি কেউ বিশ্বাসই করতে চাননি, তাঁর গলা দিয়ে ওইরকম আওয়াজ বেরোতে পারে। ‘এ গাইবে ছবি বিশ্বাসের লিপে গান?’ – এমন সন্দেহকে ভুল প্রমাণিত করে তিনি গেয়েছিলেন ‘কাহাঁ কানু কহি’র মত গান – যাঁরা ছবিটি দেখেছেন তাঁরা জানেন, ছবি বিশ্বাসের লিপে সে কণ্ঠ বেমানান লাগেনি মোটেই। 

এরপর ‘অভিযাত্রী’ আর ‘পূর্বরাগ’-এর মত ছবিতে গান গাইছেন, সুর দিচ্ছেন হেমন্ত; আস্তে আস্তে বাংলা চলচ্চিত্রে সুরকার এবং কণ্ঠশিল্পী হিসেবে সুনাম হচ্ছে তাঁর। উত্তমকুমার কিন্তু তখনও সে অর্থে সাফল্যের মুখ দেখেননি। তাঁর লিপে হেমন্ত প্রথম গেয়েছিলেন ‘সহযাত্রী’(১৯৫১) ছবিতে, অবশ্য তখন এই জুটি তেমন সাড়া ফেলেনি। 

উত্তম-সুচিত্রার প্রথম ‘হিট’ ছবি ‘সাড়ে চুয়াত্তর’; তবে এ -বিতে বেশি হাততালি পেয়েছেন হাসির রাজা সম্প্রদায়, নায়ক-নায়িকার বিশেষ কিছু করার ছিল না। এখানে উত্তম হেমন্তের গান গেয়ে সুচিত্রাকে পাননি; এবং পেতে গিয়ে যথেষ্ট নাকাল হয়েছেন। এর মধ্যে হেমন্ত চলে গেছেন বম্বে – গান গাইছেন দেব আনন্দ, প্রদীপ কুমারের লিপে। আমরা ‘রেখেছ বাঙালি করে’ গণ্ডির বাইরে একটু তাকালেই বুঝতে পারি, দেব আনন্দের মুখে হেমন্তের গান যে রসায়ন তৈরি করেছিল, তার মধ্যে রোমান্টিকতার পাশাপাশি একটা সর্বভারতীয় এবং ‘কসমোপলিটান’ আধুনিকতার আবেদন রয়েছে – যা ধুতিপরা ‘বম্বের বাঙালি বাবু্’র (কথাটি নৌশাদজির)কণ্ঠে অনবদ্য মানিয়েছিল। এবং শুধু তাই নয়, শিরায় শিরায় বাঙালি হয়েও যে মননে ও কর্মে সর্বভারতীয় হয়ে ওঠা যায় – সে কথাও প্রমাণ করে দিয়েছিল। হেমন্ত ‘আমার গানের স্বরলিপি’তে তাঁর সঙ্গে দেব আনন্দের জুটিকে বাংলায় উত্তম এবং তাঁর যুগলবন্দির সঙ্গে তুলনা করেছেন। এছাড়া ভারতভূষণ (‘ও চন্দন কা পলনা’), গুরু দত্ত (‘জানে ও ক্যায়সে’, ‘ও ও বেবি’), পরবর্তী কালে ধর্মেন্দ্র (‘ইয়া দিল কি শুনো’) আর বিশ্বজিতের মুখেও তাঁর গান (‘বেকরার করকে হামে’, ‘ইয়ে নয়ন ডরে ডরে’) যথেষ্ট জনপ্রিয়তা পেয়েছে। 

আরও পড়ুন
অন্যদের বারণ সত্ত্বেও উড়ান, মাত্র ৫৩ বছরেই বিমান-দুর্ঘটনায় মৃত জন ডেনভার

বম্বেতে ব্যস্ততার কারণে ১৯৫২-৫৪ সালে বাংলা ছবিতে কণ্ঠদান বা সুরারোপের কাজ হেমন্ত সেভাবে করতে পারছিলেন না। ১৯৫৫ সাল - বাংলার সঙ্গে নতুন যোগাযোগ গড়ে উঠল; এল ‘শাপমোচন’এর অবিস্মরণীয় সাফল্য। উত্তমের সঙ্গে হেমন্তকণ্ঠের মিলের কথাও ‘মিথ’ হয়ে উঠল এই সময় থেকে। কিন্তু পঞ্চাশের মাঝামাঝি থেকে ষাটের দশক পর্যন্ত উত্তমের নেপথ্যকণ্ঠে গাওয়ার পাশাপাশি উত্তমবিহীন ছবিতেও কালজয়ী গানের জন্ম দিচ্ছেন হেমন্ত, কখনও আবহে, কখনও বা অন্য নায়ক বা চরিত্রের মুখে। ১৯৫৭ সালে শেষ পরিচয় ছবিতে ‘আমার আকাশ মেঘলা’ আর ‘পথ হারানো তেপান্তরে’ গেয়েছেন বসন্ত চৌধুরীর লিপে – ছবিটি বাণিজ্যিক ভাবে তেমন সফল না হলেও গান দুটি বেশ জনপ্রিয়। ‘এই রাত তোমার আমার’(১৯৫৯) তো বাংলা চিত্রগীতির সর্বকালের সেরা তালিকায় উপরের দিকে থাকবে। নীল আকাশের নীচে-র নায়ক চরিত্রে উত্তমকে চেয়েও পাননি হেমন্ত – কিন্তু ‘বিবেকের কণ্ঠ’ হিসেবে এ ছবির গান দুটির আবেদন যে-কোনো ব্যক্তি বা চরিত্রের মুখে যে-কোনো গানকে ছাপিয়ে যায়।  

আরও পড়ুন
‘জিন্দেগি ক্যায়সি হ্যায় পহেলি হায়’, উত্তর না দিয়েই চলে গেলেন গীতিকার যোগেশ গৌড়

উত্তমের পাশাপাশি বিশ্বজিতের লিপে হেমন্ত গান গেয়েছিলেন ‘দুই ভাই’ ছবিতে। একই ধরনের গলা কিন্তু ভিন্ন গায়কী দুই ভাইয়ের। দু’রকম ভাবে কণ্ঠ প্রয়োগে নাটকীয় সাফল্য। বিশ্বজিতের লিপে গান গাওয়ার সময় স্বরক্ষেপণ এবং শব্দের মাঝে অতিলঘু বিরতির অংশগুলো একটি বিশেষ ভঙ্গিতে উচ্চারণ করতেন হেমন্ত – যা পর্দার মানুষটির কণ্ঠ ও উচ্চারণের সঙ্গে মানিয়ে যেত। হয়তো উত্তম-হেমন্ত জুটির মতো স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে নয়, বরং খানিক সচেতন ভাবেই করতে হয়েছিল তা । কিন্তু তার ফল কী হয়েছিল - ‘এই বালুকাবেলায় আমি লিখেছিনু’, ‘এই মেঘলা দিনে একলা’, ‘আমার জীবনের এত খুশি’ গানগুলোর দৃশ্যায়ন তার উজ্জ্বল প্রমাণ। আবার রবীন্দ্রসঙ্গীতের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ আলাদা স্বরপ্রক্ষেপ এবং অভিব্যক্তি – বিশ্বজিতের লিপে ‘প্রাঙ্গণে মোর শিরিষ শাখায়’ প্রথমবার শুনে মনে হয়েছিল, এই ভদ্রলোক এমন রবীন্দ্রসঙ্গীত গান! (প্লেব্যাকের বিষয়টা তখন বুঝতাম না)। কুহেলি ছবিতে লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে ‘তুমি রবে নীরবে’র কথাও ভোলার নয়।  

আরও পড়ুন
‘ইম্যাজিন ইফ জন ওয়্যার ডেড’; গুলি করার আগে, জন লেননের অটোগ্রাফ নিল হত্যাকারী

অদ্বিতীয়া-তে হেমন্তের গানে ঠোঁট মিলিয়েছেন সর্বেন্দ্র – ‘আহা প্রজাপতি সকালে’, ‘চঞ্চল মন আনমনা হয়’ (দ্বৈতকণ্ঠে লতা-হেমন্ত)। রঞ্জিত মল্লিকের লিপে রাগ অনুরাগ ছবির গানগুলিও উল্লেখের দাবি রাখে। ‘মরুতীর্থ হিংলাজ’ ছবিতে ছড়িদার চরিত্রে অনিল চট্টোপাধ্যায়ের প্রবেশ ঘটে ‘মন ডোলে মেরা তন ডোলে’ গাইতে গাইতে। তারপর ‘পথের ক্লান্তি ভুলে’, ‘তোমার ভুবনে মাগো’… পাশে পাগলের ভূমিকায় দাঁড়িয়ে থাকেন গানহীন উত্তমকুমার। ‘এমন আমি ঘর বেঁধেছি’ (নতুন জীবন), ‘আজো হৃদয় আমার পথ চেয়ে দিন গোনে’ (বালুচরী),  ‘কে তুমি বসি নদীকূলে’ (ক্ষণিকের অতিথি), ‘এ কি গভীর বাণী’(পঞ্চশর), ‘আগুনের পরশমণি’(সুচিত্রা মিত্রের সঙ্গে দ্বৈতকণ্ঠে, ‘মহাশ্বেতা’)– এসব গানেও হেমন্তকণ্ঠে সুন্দর ঠোঁট মিলিয়েছেন অনিল। ‘দুষ্টু প্রজাপতি’ ছবিতে গান গেয়েছেন কিশোরকুমারের লিপে; ‘সুখ নামে শুকপাখি’র মত গানের জন্য হেমন্তের গলায় ঠোঁট মেলাতে চেষ্টার ত্রুটি রাখেননি কিশোর। আর ‘দাদার কীর্তি’তে ষাট বছর বয়সী গায়ক যখন সবাইকে চমকে দিয়ে নিতান্ত নবীন নায়কের অতি নিরীহ, অসহায়, সরল, এবং অতিচালাকদের চোখে ‘অপদার্থ’ চরিত্রটিকে অবিশ্বাস্য উচ্চতায় তুলে নিয়ে যান তাঁর গানের জোরে – তখন সত্যি ‘চরণ ধরিতে দিয়ো গো আমারে’ ছাড়া আর কিছু বলার থাকে না।

এহো বাহ্য, এবং সৌমিত্র। ‘খিড়কি থেকে সিংহদুয়ার’ রেকর্ডিং হয়ে গেছে, মান্না দে স্টুডিয়োতে ঢুকলেন। আগের গানটির প্রজেকশন শুনে বললেন, ‘এর পর আবার গাইতে হবে!’ মান্না দে যদি এ কথা বলেন, আমরা তবে কোথায় যাই! এই মুগ্ধতার রেশ ছড়ানো ‘ও আকাশ সোনা সোনা’ থেকে ‘আমি হতে পারিনি আকাশ’, ‘নতুন নতুন রং ধরেছে’ থেকে ‘শোন শোন তোমরা গল্প শোন’ পর্যন্ত। সৌমিত্রের জন্যও চরিত্রের প্রয়োজনে বার বার গায়কী বদলেছেন হেমন্ত – এবং সাফল্যের সঙ্গে। ‘কে যেন গো’ আর ‘একটু চোলাই খাব’ – গান দুটো পাশাপাশি রাখলেই বোঝা যায়। 

তরুণ মজুমদারের ছবিতে নানা রকম পরীক্ষানিরীক্ষার সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছেন তিনি পূর্ণ মাত্রায়। পলাতক-এ অনুপকুমারের মুখে খোলা মাঠ, পাগলা হাওয়া আর বিশাল আকাশের মেজাজে ‘জীবনপুরের পথিক’ হেমন্তকে পেয়ে ধন্য হই আমরা, আবার ফুলেশ্বরী-তে শমিত ভঞ্জের স্বভাববাউল চরিত্রের মুখে ‘যেয়ো না দাঁড়াও বন্ধু’ শুনে দাঁড়িয়ে পড়ি অবাক হয়ে। ‘আলোর পিপাসা’য় তাঁর ‘স্নিগ্ধগম্ভীরঘোষম্’ প্রাণ পায় বসন্ত চৌধুরীর অনবদ্য মেঘদূত-পাঠের দৃশ্যে। হেমন্ত-বসন্ত জুটিকে আরও বেশি করে ব্যবহার করার কথা কারও মনে হয়নি কেন?  

 ষাট থেকে আশির দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত মূলধারার বাংলা ছবির নেপথ্য গায়কদের মধ্যে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় এমন এক বহুমুখী শিল্পী - যিনি তথাকথিত রোমান্টিক নায়ক ছাড়াও অন্যধরনের চরিত্রের মুখে বহু গান গেয়েছেন; এবং সেসব গানের জনপ্রিয়তাও মনে রাখার মতো। ‘পলাতক’-এর বসন্ত, ‘ফুলেশ্বরী’র বৃন্দাবন বা ‘লালন ফকির’ না হয় ভিন্ন ধারার চরিত্র হলেও নায়ক – কিন্তু সাধারণ মেঠো মানুষ, বোষ্টম বাবাজি, বাউল, ফেরিওয়ালা, মুদি দোকানি, মাঝিমাল্লার মুখে গাওয়া গানগুলি? নিজের সুরে হোক বা অন্যের সুরে, এ ধরনের গানেও তাঁর কণ্ঠ বরাবর সাড়া দিয়েছে পরম স্বাচ্ছন্দ্যে। ‘ও বাঁশিতে ডাকে সে শুনেছি যে আজ’ (সূর্যমুখী), ‘হরি হে, আমার এ পাগলা তরী’ (নদের নিমাই) ‘বিধি রে এই খেয়া বাইব কত আর’ (খেয়া), ‘সজনি লো দেখে যা’ (সুশান্ত শা), ‘ও রাধে তুই থমকে গেলি কেন’, ‘যখন ডাকল বাঁশি তখন রাধা‌’ (বাঘিনী), ‘আমার এই হরিদাসের বুলবুল ভাজা’ (বাড়ি থেকে পালিয়ে), ‘মন বলে আমি মনের কথা জানিনা’ (হারমোনিয়াম), ‘নবমী নিশিরে’(জয়া), ‘দেখ সখি সাজিল নন্দকুমার’ (কমললতা), ‘সখি যমুনাতে দেখলাম যারে বল না কে সে জন’ (দত্তা), ‘এ ব্যথা কি যে ব্যথা’, ‘রাধে মনটা রেখে এলি বল কোন মথুরায়’ (ধন্যি মেয়ে), ‘ভজ গৌরাঙ্গ কহ গৌরাঙ্গ’(বালিকা বধূ), ‘পিরিতি বলিয়া একটি কমল’, ‘সিংহপৃষ্ঠে ভর করিয়ে’ (নিমন্ত্রণ), ‘সুজন কাণ্ডারি’ (সংসার সীমান্তে), ‘জাগো রাই কমলিনী’, ‘চাঁদে বুঝি লাগল গ্রহণ রাই করেছে মান’ (পরিণীতা) – তালিকা আর দীর্ঘ করার প্রয়োজন আছে? ভানু-জহরের মুখেও ‘হিট’ গান গেয়েছেন হেমন্ত। ‘পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট’ ছবিতে ভানুর লিপে ‘এই বেশ ভালো’, ‘ক রয়েছেন কলকাতায়’, ‘সূর্যতপা’ ছবিতে কাজের লোকের ভূমিকায় জহর রায়ের মুখে ছোটদের গান ‘কে যাবে কে যাবে’, ‘শহর থেকে দূরে’ ছবিতে রবি ঘোষের মুখে গাজনের গান ‘থৈ তাতা থৈ খেপেছে ভোলা’ - ব্যতিক্রমী গায়কীতেও তাঁর মুন্সিয়ানার উদাহরণ। দাদাঠাকুর ছবির বিখ্যাত ভোটের গানটি রয়েছে তরুণ কুমারের লিপে।

 প্রায়-ধ্রুপদী রোমান্টিকতার আবরণ সরিয়ে এভাবেই বার বার তিনি নিজেকে ভেঙেছেন, সাধারণকে করেছেন অসাধারণ, সুরসাম্রাজ্যের নায়ক হয়েও সাধারণ মানুষী চরিত্রের গান তুলে নিয়েছেন নিজের ঐশ্বর্যময় কণ্ঠে।  

‘এই পথ যদি না শেষ হয়’, ‘মৌ বনে আজ’, ‘ওগো কাজলনয়না’ – অসাধারণ সৃষ্টি, তাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু কেবল মাত্র উত্তম = হেমন্ত – এই সরল সমীকরণের বাইরে গিয়ে ভাবার কথা তাঁর শতবর্ষেও যদি না মনে হয়, আর কবে ভাবব!

Powered by Froala Editor