এত গবেষণা আর কোনো হস্তিনীকে নিয়ে হয়নি, ওয়াশিংটনে মারা গেল শান্তি

জন্ম শ্রীলঙ্কাতে হলেও, খুব কম বয়সেই ১৯৭৬ সালে তাকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আমেরিকায়। নতুন দেশেই দিব্যি মানিয়ে-গুছিয়ে নিয়েছিল অনাথ মেয়ে হাতিটি। ২ বছর বয়সে তাকে তুলে দেওয়া হয়েছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের মেয়ের হাতে। সেখানেই হাতিটির নাম রাখা হয় শান্তি।

৪৫টি বসন্ত কাটিয়ে ফেলার পর আমেরিকার ওয়াশিংটনের একটি চিড়িয়াখানায় মারা গেল শান্তি। শান্তির মৃত্যুর পর রীতিমতো শোকের ছায়া নেমে এসেছে চিড়িয়াখানার কর্তৃপক্ষ এবং সকল কর্মীর মনে। তাঁরা জানাচ্ছেন, রীতিমতো ‘স্পেশাল’ ছিল শান্তি। শান্তির এই বিশেষ হয়ে ওঠার কারণের পিছনে ছিল তার বিশেষ বুদ্ধিমত্তা। 

এমনিতেই বুদ্ধিমান প্রাণী হিসেবে সুনাম আছে হাতিদের। এছাড়াও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ গবেষণায় বিশেষ অবদান ছিল শান্তির। বিশ্বজুড়ে মানুষের সঙ্গে হাতির পারস্পরিক সম্পর্ক এবং পশুপাখিদের মধ্যে কৃত্রিম প্রজননের ব্যবহার— এই দুটি গবেষণাতেই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে শান্তি। অবদান রেখেছে প্রাণীবিদ্যা, রোগ প্রতিরোধ এবং বাস্তুতন্ত্রের রক্ষা সংক্রান্ত অজস্র গবেষণাতেও। এছাড়াও প্রায় আট বছর আগে হাতিটিকে দেখা গিয়েছিল একটি হারমোনিকা বাজাতেও। জানা গিয়েছে যে, আজ অবধি এতগুলি বিষয়ের উপর এত ধরণের গবেষণা শান্তি ছাড়া কোনো হাতির উপরেই হয়নি। তার উপর গবেষণার ক্ষেত্রে কিংবা গবেষণায় অবদান রাখার ক্ষেত্রে রীতিমতো রেকর্ড তৈরি করেছে সে।

চিড়িয়াখানায় থাকাকালীন কুমারী ও কান্দুলা নামের দুটি শাবক প্রসব করে শান্তি। কুমারী নামের স্ত্রী হাতিটি বেশিদিন না বাঁচলেও, পুরুষ হাতি কান্দুলা বর্তমানে ওকলাহোমা চিড়িয়াখানার বাসিন্দা।

Powered by Froala Editor

More From Author See More

Latest News See More