হঠাৎ একদিন রাজাদা বেপাত্তা, ফিরে এল কিন্ডারগার্ডেন স্কুলের প্রিন্সিপাল হয়ে!

সেইসব পাড়া টারা – ১৬

আগের পর্বে

ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহামেডান ছাড়াও আন্তর্জাতিক ফুটবলের সমস্ত ওঠা-পড়ার কাহিনিই ছিল শুভব্রত দাশগুপ্তের ঠোঁটস্থ। আজও আক্ষরিক অর্থে আমার সেই ক্রীড়া বিশেষজ্ঞ বন্ধু খেলা নিয়ে বিশ্লেষণ করে লেখা পাঠায় নিয়ম করে। পার্ক সার্কাসে আরেক আশ্চর্য মানুষ ছিলেন রাজাদা। দাপুটে বাঙালি হিন্দু নেতা। অথচ তাঁর সমস্ত অনুরাগীই ছিলেন ইসলাম ধর্মালম্বী। ক্লাস এইট অবধি পড়াশোনা করা রাজাদার ইংরাজি ছিল ঝরঝরে। সংস্কৃতের শব্দরূপও ছিল তাঁর বশীভূত। পাড়ার লাইব্রেরিতে নিত্যদিনের আনাগোনা। নরেনদার দোকানের রাজদরবারে রাজাদা সমাধান দিত যেকোনো সমস্যার। ছেলেবেলার বন্ধু বাপ্পার অর্থকষ্টের কথা জেনে সমস্যার বিহিত করতে বাড়ি থেকে একবার ক্যামেরা আনতে আদেশ দিয়েছিল রাজাদা।

সেসময় পার্ক সার্কাসের এইসব মুসলমান পাড়াগুলোর অলিতেগলিতে অসংখ্য ছোট ছোট সোনারূপোর দোকান ছিল। সেসব দোকানে গয়নাগাঁটি তৈরি অথবা বিক্রিবাট্টা যতটা না হত তারচাইতে অনেক বেশি হত বন্ধকির কারবার। দোকানমালিকদের প্রায় প্রত্যেকের পদবি পোদ্দার, দত্ত অথবা সেন। শতকরা নব্বইজনেরই বাড়ি তালতলা, এন্টালি অথবা বউবাজারে। আর এই কারবারের রমরমা ছিল মূলত সি-ম্যান বা জাহাজীদের জন্য। অদ্ভুত এক গোষ্ঠী। এককথায় বেহিসেবি কাছাখোলা খরুচে যাকে বলে আর কি। জাহাজীরা বাড়ি ফিরত টেরিউলের শার্ট আর গ্যাবারডিনের প্যান্ট চাপিয়ে ট্যাক্সিতে চেপে, পাঁচ আঙুলে পাঁচখানা হিরে বসানো সোনার আংটি পরে। হাতে ইয়া জাম্বো সাইজ আকাই অথবা সোনি টু ইন ওয়ান হাতে ঝুলিয়ে। কত্তা বাড়ি ফেরার সঙ্গে সঙ্গে গিন্নির শরীরও মুড়ে যেত গয়নায় গয়নায়। রোজ দুবেলা মহাভোজ। বিরিয়ানি, পোলাও, কোর্মা, কোপ্তা। বাজার থেকে আট আনার ধনেপাতা কিনে আনতে ভুল হয়ে গেলে গিন্নির তাড়ায় ফের বাজারে ছোটা হত ট্যাক্সিতে। ওয়েটিং চার্জে মিটার উঠত, আট আনার ধনেপাতা কিনে সগর্বে বাড়ি ফিরত জাহাজী। দেশবিদেশের আজব আজব সব গল্প থাকত এইসব নাবিকদের ঝুলিতে। টেনিদা বা ব্রজদার গুল্পগুলোও নেহাতই বিশুর শিশু যার কাছে। বিদেশে নাকি গভীর সমুদ্রের মাঝখানে মাখনের পাহাড় ভেসে থাকতে দেখা যায় মাঝেমাঝেই। কেকের বাগান বা হুইস্কির দরিয়ারও দেখা মেলে আকচার। ডেকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই শুধু কেটে, পেড়ে অথবা গেলাসে তুলে খাওয়ার ওয়াস্তা! আমাদের ফ্ল্যাটবাড়ির গায়ে বস্তিটার বাড়িওয়ালা, গ্রিক শিপের বাটলার রহিম মিয়াঁ তো স্রেফ ছিপে গেঁথে আধমাইল লম্বা একটা তিমিমাছকে জাহাজের ডেকে তুলে ফেলার মতো একটা গপ্পোও শুনিয়েছিলেন একবার। জাহাজটা কি টাইটানিকের চেয়েও বড় ছিল? মনে ইচ্ছে জাগলেও প্রশ্নটা করিনি, গল্পবলিয়ের অসাধারণ কথকতার রেশটা নষ্ট হয়ে যাবে বলে। অত্যন্ত আশ্চর্যজনকভাবে স্থানীয় মানুষদের একটা বৃহদাংশই কিন্তু জাহাজীদের এইসব গুল্পকে নির্ভেজাল সত্যি বলে বিশ্বাস করতেন। যদিও পরবর্তী প্রজন্মের কাছে এসব ‘জাহাজী বাতোলা’ বা ‘ফেকফাক (গুল) হিসেবে পরিগণিত হয়। জাহাজীদের কথা বলতে গেলে গোটা একটা রাত কাবার হয়ে যাবে, ফলে আবার মূল প্রসঙ্গে ফিরি। 

জাহাজীদের লাগামছাড়া বেহিসেবি খরচের ফলে মাসছয়েকের মধ্যেই টান পড়ত ভাঁড়ারে। তখন শুরু হত জিনিসপত্র বাঁধা রাখা। একইসঙ্গে শুরু হয়ে যেত বন্ধকি কারবারিদের পৌষমাস। গয়নাগাঁটি থেকে টু ইন ওয়ান, একে একে চড়া সুদের বিনিময়ে সবই বাঁধা পড়তো বন্ধকি দোকানে। এলাকায় খুব চালু একটা জোক ছিল - পায়খানার গাড়ুটা পর্যন্ত বন্ধক দিয়ে নাকি জাহাজীরা খিদিরপুর ডক অবধি যাবার বাসভাড়া জোগাড় করে। 

এই বন্ধকিওয়ালাদের মধ্যে সেরা খলিফা ছিল বিষ্টু পোদ্দার। বয়েস ষাটের কোঠায়। মাথাজোড়া টাক। হোঁতকা টাইপের চেহারা। ঘোড়েল দুচোখের চাহনি। পোলিও আক্রান্ত বাঁ-পাটা সামান্য টেনে চলার ফলে এলাকায় পরিচিত ছিল ল্যাংড়া পোদ্দার নামে। এলাকায় প্রবাদ ছিল - জাহাজীদের ঘর ঝাড় দেবার মুড়ো ঝাঁটাটা অবধি বন্ধক নিয়ে নেয় বিষ্টু পোদ্দার। এহেন বিষ্টুর ব্রাইট স্ট্রিটের দোকানে বাপ্পার ক্যামেরা সমেত গিয়ে হাজির রাজাদা। সঙ্গে আমি, মুস্তাকদা ( যার কথা ইতিমধ্যেই একটি প্রতিবেদনে লিখেছি ) এবং অবশ্যই বাপ্পা। আষাঢ়ের মেঘের মত মুখ করে বিষ্টু পোদ্দারের দিকে তাকাল রাজাদা। “বাজার হেবি কড়কি বিষ্টুদা, খুব শখ করে ক্যামেরাটা কিনেছিলুম। খাস বিলিতি মাল একেবারে। এদিকে খাব্বায় (পকেটে) যা টানাটানি চলছে, মালটা জমা রাখব ভাবছি।” 

দোকানের গরাদের পার্টিশনের ওপারে সিন্দুকের সামনে তাকিয়ায় হেলান দিয়ে বসা বিষ্টু। শকুন থুড়ি শাইলকের দৃষ্টিতে মাপছিল ক্যামেরাটাকে। মাছ যে টোপ গিলেছে বোঝা যাচ্ছিল চোখমুখের হাবভাবেই। কিন্তু কথায় তার লেশমাত্র বহিঃপ্রকাশ নেই। “তা কত দিতে হবে ?” জিগ্যেস করলো ঘোড়েল কেশো নিঃস্পৃহ গলায়। “যদি শ-দুয়েক মত…” রাজাদার কথা শেষ হবার আগেই হাঁ হাঁ করে উঠলো বিষ্টু, “মাতাফাতা খারাপ নাকি ! একশোর বেশি একটা লাল পয়সা দিতে পারবো না, মাপ করো রাজা।” 

আরও পড়ুন
উত্তমকুমারের ডামি হিসেবে রাজাদাকে খুঁজে পাননি চলচ্চিত্র-নির্মাতারা

অতঃপর অনেক কথা কচলাকচলি করে রফা হল একশ চল্লিশ টাকায়। “আমার ফিজ এক প্যাকেট ফিল্টার উইলস।” দোকান থেকে বেরিয়ে এসে বাপ্পাকে বললো রাজাদা। 

এর পরবর্তী পর্যায়টি আরো আকর্ষণীয়। সম্ভবত তার কোন জাহাজী খাতকের কাছ থেকে ওই ‘খাস বিলিতি’ ক্যামেরার আসল দামটা জানতে পেরেছিল বিষ্টু এবং ওর মত ঘোড়েল খলিফাও যে অন্তত এবারে সেরেফ হাঁস বনে গ্যাছে, বুঝে ফেলতে সময় লাগেনি এতটুকু। তবু শেষ চেষ্টা করেছিল একবার। রাজাদার দুটো বাড়ি পরেই বিষ্টুর দোকান। বাড়ি থেকে বেরোনর পথে ডেকেছিল রাজাদাকে। “কি ভাই রাজা ? মাস- দুয়েক হতে চললো, মালটা ছাড়ালে না, সুদটুদও দিলে না কিছু।” বলেছিল মিছরিমাখানো গলায়। “নাঃ দাদা !” - জবাবে মাইলখানেক লম্বা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলেছিল রাজাদা। “এখনো বাজারটা হেব্বি কড়কি, ছাড়ানো তো দুরের কথা, সুদফুদও দিতে পারবো না কিচ্ছু। ওটা বরং আপনি বেচেই দিন!” 

আরও পড়ুন
আকণ্ঠ মদ্যপান করে, জ্বলন্ত সিগারেট নিয়ে মশারির ভেতর ঢুকে পড়ল বাপ্পা

ওয়াটারলুর যুদ্ধে পরাজয়ের পর নেপোলিয়ানের মুখখানা দেখার অভিজ্ঞতা আছে? আজ্ঞে না, এই অধম প্রতিবেদকেরও নেই। তবে যদ্দুর মনে হয় রাজেন সরকারের বুকভাঙা সেই হাহাকার শোনার পর বিষ্টুর মুখের চেহারাটা হয়ে গেছিল হুবহু ওই ফরাসী সম্রাটের মতই। 

এহেন রাজাদাকে কোন ছাঁদ অথবা ধাঁচে ফেলা যায় সেটা ভাবতে ভাবতেই কেটে গেছে অনেকটা সময়। প্রবল পরাক্রান্ত রাজনৈতিক বাহুবলী (যদিও কারো গায়ে কোনদিন আঙুলটুকুও ছোঁয়ায়নি, স্রেফ মগজাস্ত্রে শাসন করেছিল এলাকা), আগ্রাসী পাঠক, একাধিক বিষয়ে জ্ঞানী, বহু ভাষাবিদ, নাকি তীক্ষ্ণ বুদ্ধি এবং রসবোধ সম্পন্ন বন্ধুবৎসল উদার একজন মানুষ? লাখো চেষ্টা করেও কোন একটা নির্দিষ্ট পরিসরে ফেলতে পারিনি লোকটাকে। বার বার গুলিয়ে গেছে হিসেবটা। 

আরও পড়ুন
বাংলার তাবড় সেলিব্রিটির বাড়িতে মাছ যেত খালেকের দোকান থেকেই

এহেন রাজেন সরকারের অখণ্ড প্রতাপে একটু একটু করে চিড় ধরতে থাকে ৮০-র দশকের মধ্যভাগ থেকে। আগেই লিখেছি, ক্ষমতায় এসেই কংগ্রেসি বাহুবলীদের ক্ষমতার ডানা ছাঁটতে উদ্যোগী হয়েছিল তৎকালীন শাসকদল। রাজাদার ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। জীবনে বাঁধাধরা স্বাভাবিক পথে একটি পয়সা রোজগার করেনি কোনোদিন, অথচ পকেট সর্বদাই উপচে পড়ত অর্থে। সেই অর্থও ব্যয় হত চূড়ান্ত উচ্ছৃঙ্খল এবং বেহিসেবী পথে। সেই অর্থের যোগানে টান পড়তে শুরু করলো ধীরে ধীরে। কারণটা সহজেই অনুমেয়। যোগানদাররা ততদিনে তাদের নতুন রাজা খুঁজে নিয়েছে। এমতাবস্থায় চরম অশান্তি শুরু হল সংসারে। ভালোবেসে বিয়ে করেছিল বেহালা অঞ্চলের উচ্চশিক্ষিতা একটি মেয়েকে। সেই বৌদি একদিন বাক্সপ্যাঁটরা গুছিয়ে বছর ছয়েকের ছেলে পাপাইকে নিয়ে রওয়ানা দিল বাপের বাড়িতে। এর  মাসখানেকের মধ্যে ডিভোর্সের নোটিস। কোর্টকাছারির টানাহ্যাঁচড়া। চুড়ান্ত বিপর্যস্ত রাজাদা। নিদারুণ হতাশ মুখে এসে বসে থাকতো নরেনদার দোকানে। পাটভাঙা ধুতিপাঞ্জাবীর বদলে মলিন অপরিষ্কার জামাকাপড়। গালে বেশ কয়েকদিনের না-কাটা দাড়ি। দুচারজন খুব ঘনিষ্ঠ ছাড়া সুখের পায়রারা সবাই ফুড়ুৎফারাৎ উড়ে গেছিল পাশ থেকে। এই অবস্থায় একদিন একটু ফাঁকায় পেয়ে বলেছিলাম - “তোমাদের লাইনে পাল্টি খাওয়া, টুকটাক জার্সি বদলানো, এসব তো চলেই হরদম। দ্যাখো না ওদিকে একটু চেষ্টাচরিত্র করে। তোমার মত লোকেরই ওদের প্রয়োজন এখন। তোমাকে লুফে নেবে ওরা।” জবাবে মুচকি হেসেছিল রাজাদা। বড় বিষণ্ণ আর করুণ সে হাসি ! “দ্যাখো বস, ওটা একটা অন্যধরনের পুকুর। আমার মত মাছেদের ওখানে বাড়তে দেয়া হলেও ওষুধবিসুধ দিয়ে কন্ট্রোলে রাখা হয়, ইচ অ্যান্ড এভরি মোমেন্ট। ও পুকুরে টিকতে পারব না আমি।” এরপর হঠাৎই একদিন এলাকা থেকে উধাও হয়ে গেছিল রাজাদা। 

সেটা ৯৪ কি ৯৫ সাল। ফের আবার এলাকায় রাজকীয় প্রত্যাবর্তন শ্রীযুক্ত বাবু রাজেন্দ্র কুমার সরকারের। আবার সেই পুরনো রাজাদা। ফের সেই পুরোন কেতা আর ঠাটবাট। সেই একই চেনা জৌলুস ঝিলিক মারছে চেহারায়। বর্তমান নিবাস ঝাড়খণ্ড। ধানবাদের কাছে চাস এলাকায়। একটা কিন্ডারগার্ডেন স্কুল খুলে তার রেক্টর কাম প্রিন্সিপাল হয়ে বসেছে। শুনে তো চায়ের দোকানের বেঞ্চি থেকে উল্টে পড়ে যাবার জোগাড় অনেকের! আমরা যারা ওকে চিনতাম, তারা কিন্তু ঘাবড়াইনি এতটুকু। কারণ লোকটার নাম রাজেন সরকার। অনেক চেনা ছকের অঙ্ক উল্টে দিতে পারে হাসতে হাসতে। কোন অমর-আকবর-অ্যান্টনির দরকার নেই। জটিল কঠিন যত ‘আনহোনি’-কে ‘হোনি’-তে বদলে ফেলতে পারে একা হাতেই, একনিমেষে।  

আরও পড়ুন
সিনেমা দেখতে এসে প্রণয়; দম্মকের জন্য টিফিন ক্যারিয়ার নিয়ে হাজির ‘সেকেন্ড ওয়াইফ’

অতঃপর আগামী কয়েকদিন লাগাতার ধুন্ধুমার সবান্ধব পার্টি খালাসিটোলা, ঘোষের দোকান, রেখা বার, উইন্ডসোর... আরো সব বেমতলব বেয়াড়া ধরনের ঘাঁতঘোঁতে। সোল স্পনসর বাবু শ্রীযুক্ত রাজেন্দ্র কুমার সরকার। “সবাই মিলে চলে এস একবার চাসে। আলাদা একটা গেস্ট রুম আছে। ঘ্যাপচিক মোচ্ছব হবে।” বলে গিয়েছিল যাবার সময়। 

কেউ না গেলেও এই প্রতিবেদক কিন্তু গিয়েছিল একবার রাজার নতুন দরবারে, বছরখানেক বাদে। কাঠাতিনেক জমির ওপর ছোট্ট একফালি বাগানের মাঝখানে ‘কিডস হ্যাপি হোম’। দেয়ালে মিকি মাউস, ডোনাল্ড ডাক, টম অ্যান্ড জেরি। গোটাতিনেক যুবতী অর্ধশিক্ষিতা ‘মিস’। অফিসঘরের সামনে কাঠের  নামফলকে লেখা - রাজেন্দ্র কুমার সরকার। তলায় - প্রিন্সিপাল। রমরমিয়ে চলছে স্কুল। হিন্দিতে যাকে বলে ‘খচাখচ’ ভর্তি স্টুডেন্টে। সন্ধের পর স্কুলের সামনে বাগান চত্বরে জমজমাট আড্ডা। উকিল, ডাক্তার থেকে কোল মাফিয়া বাহুবলী হয়ে বিধায়ক, কে নেই সেই আড্ডায়। আড্ডার মধ্যমণি যথারীতি সেই ‘বাংগালি দাদা’ বা ‘প্রিন্সিপাল সাহাব’। সে এক তুরীয় আনন্দের আসর! লিটারের পর লিটার হুইস্কি আর রামের বোতল খালি হয়ে যাচ্ছে মুহূর্তে। রাজাদার ডেইলি বরাদ্দ পাঁচ প্যাকেট ফিল্টার উইলসের ‘কোটা’ বেড়ে ছয়-সাত। বার বার কেন জানিনা মনে হচ্ছিল, ভয়ঙ্কর এক ‘সেল্ফ ডেমলিশন’-এর দিকে এগোচ্ছে মানুষটা! অনেক রাতে ভিড় ফাঁকা হয়ে গেলে খাবার টেবিলে আবছা আবছা বলেওছিল কিছু টুকরোটাকরা। একমাত্র পুত্রসন্তানকে প্রাণের চেয়েও বেশি ভালোবাসত মানুষটা। ফলে ছেলেকে নিয়ে বৌদির ওভাবে চলে যাওয়াটা মেনে নিতে পারেনি কিছুতেই।

আরও পড়ুন
মাঝরাত্তিরেও গিজগিজে ভিড়, মুমতাজ ভাইয়ের পান-সিগারেটের দোকানের রহস্য কী?

অলংকরণ - প্রণবশ্রী হাজরা

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
ক্রিকেট, হকি, ফুটবল – কলকাতার খেপ খেলার দুনিয়ায় একমেবাদ্বিতীয়ম রিচার্ড হুপার

More From Author See More