আকণ্ঠ মদ্যপান করে, জ্বলন্ত সিগারেট নিয়ে মশারির ভেতর ঢুকে পড়ল বাপ্পা

সেইসব পাড়া-টারা – ১৪

আগের পর্বে

পার্ক সার্কাসের বাজার। এমন এক জায়গায় যেখানে পাশাপাশি দোকানে বিক্রি হয় শুয়োর ও গরুর মাংস। সম্প্রীতি ও সহিষ্ণুতার এক উদাহরণ যেন। সেই বাজারেই মৎস্যবিপণী বলতে মানুষ বুঝত মূলত তিন জনের কথা— ধীরেন, মণি, খালেক। তিনজনের কাছে মাছের পসরার রকমফের। রাজদূত বাইকে করেই বাজারে মাছ বিক্রি করতে আসত খালেক। তিন কেজির কাতলা আর ভেটকি। সেখানে সুবীর সেন, সমরেশ বসু, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, সুমিত্রা মুখোপাধ্যায় কে না খদ্দের ছিল তাঁর? তবে এই বাজারের বাইরেই একটা অন্য পরিচয় ছিল খালেকের। পিয়ানো অ্যাকরডিয়ান। সন্ধে হলেই সেই রাজদূত তাঁকে নিয়ে পাড়ি দিত ধর্মতলা। পার্ক সার্কাসের পুজো হোক কিংবা ঈদ, সেখানেও বারবার ডাক আসত তাঁর।

আমাদের ফ্ল্যাটবাড়ির ঠিক পিছনের বস্তিতেই থাকতেন খাঁদা মিয়াঁ। নিখাদ কলকাত্তাইয়া মুসলমান যাকে বলে। সেসময় সম্ভবত গ্লোব সিনেমা হলের প্রজেকশন মেশিন অপারেটর। দক্ষ কর্মী হিসেবে বেশ সুনাম ছিল কাজের জায়গায়। পরবর্তীতে ওই অঞ্চলে যমুনা নামে একটি বিলাসবহুল সিনেমা হল তৈরি হলে খাঁদা মিয়াঁকে অনেক বেশি টাকা কবুল করে তার বর্তমান কর্মস্থল থেকে ভাঙিয়ে আনেন যমুনার মালিকরা। এ-নিয়ে গর্বের অন্ত ছিল না খাঁদামিয়াঁর বিবি আসগরি বেগমের। এহেন খাঁদামিয়াঁ ছিলেন অপুত্রক। দুই মেয়েরই বিয়েশাদী হয়ে গেছিল অনেক আগেই। বড়ো মেয়ের ঘরের নাতি সানাউল্লা ওরফে সানা, সেসময় বয়স ষোল-সতেরো বড়জোর, ছেলেবেলা থেকেই মানুষ দাদুদিদিমার কাছে এবং আদরে আশকারায় ভয়ঙ্কর রকম বাঁদর যথারীতি। একদিন বিকেলে পার্ক সার্কাস ময়দানে ফুটবল খেলতে বেরিয়ে দুনিয়ার যত ইয়ারদোস্তদের সঙ্গে আড্ডা-টাড্ডা মেরে বাড়ি ফিরল রাত এগারোটা নাগাদ। অতঃপর নাতির সামনে ভাতের থালা সাজিয়ে দিয়ে শুরু হল আসগরি বেগমের আক্ষেপমিশ্রিত দীর্ঘ বিলাপ। “তোর নানা হল যম্না (যমুনা) সনিমার (সিনেমার) চিফ অপ্রেটার (অপারেটর)। চারদিকে কত্ত মান-ইজ্জত। তার নাতি হয়ে তুই এমনধারাটি কী করে হলি রে? সেই কোন বৈকালে বেরিয়ে ফিরলি অ্যাতো রেতে। ঝ্যাতো(যত) তোকে মানা করচি ত্যাতো বেয়াদপিপানা বেড়ে যাচ্চে তোর। কতা শুনবিনি কিচুতেই। জিন্দেগি পেরেসান(পরেশান) করে রেকে দিলি অ্যাকেবারে!” এহেন বিলাপের মাঝখানেই গৃহে প্রবেশ খাঁদা মিয়াঁর। স্ত্রীর কাছে সব শুনেটুনে তার মেজাজও সপ্তমে। “আমার খোঁতায়(বাড়িতে) থাকতে গেলে শরিফের পানা থাকতে হবে। ওসব ইস্টুপিডগিরি বরদাস্ত করব না একদম!” হুঙ্কার দিয়ে উঠল খাঁদা মিয়াঁ। 

অনেকক্ষণ ধরে এই দ্বিমুখী আক্রমণ সহ্য করতে করতে একসময় ক্ষেপে গেল সানা। “গাঁড় মেরেচে তোমাদের খাবারের!” বলে থালা ছেড়ে উঠে দুমদুমিয়ে বেরিয়ে গেল বাইরে। ব্যস! অমনি উল্টে গেল পাশার দান। এবার দরজার সামনে দাঁড়িয়ে নানা-নানীর সমবেত হাহাকার - “ও সানা,, এমনটি করে না মোর বাপ, দুটিখানি খেয়ে যা মানিক আমার!”    

প্রিয় পাঠক, খুব মনযোগের সঙ্গে লক্ষ্য করুন, এই সামান্য কয়েকটি সংলাপের মধ্যে কতগুলি ভাষা-রীতির প্রকাশ ঘটেছে এখানে। রেতে, ঝ্যাতো, ত্যাতো, এইসব ভাষার প্রয়োগ হামেশাই শোনা যায় দঃ ২৪ পরগণা লাইনে। এর পাশাপাশি করচি, যাচ্চে, শুনবিনি, দুটিখানি খেয়ে যা - এসবের সঙ্গে হুবহু মিল উত্তর   কোলকাত্তাইয়া কথ্য ভাষার। আবার ‘এমনধারা’, ‘বৈকালে’ ‘মোর’, এসব তো খাঁটি সাধু ভাষা একেবারে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বদমাশিপানা, ইসটুপিডগিরি, পেরেসানের মত বাক্য যা ইংরিজি, উর্দু এবং বাংলার অদ্ভুত এক জগাখিচুড়ি সংমিশ্রণ। এবং এটা একেবারেই ক্যালকেশিয়ান মুসলিমদের নিজস্ব অ্যাকসেন্ট এবং ভোকাবুলারি। সারা দুনিয়ায় যার জুড়ি মেলা ভার। 

এহেন এক বাংলাভাষী গোষ্ঠীর অস্তিত্ব আজ সত্যিই সঙ্কটে, এই শহরের সংখ্যালঘু মহল্লাগুলোয়। যার মূল কারণ গোষ্ঠীগত সংমিশ্রণ। কলকাত্তাইয়া বাড়ির ছেলেমেয়েদের সঙ্গে হিন্দি/উর্দুভাষী বিশেষত বিহারি পরিবারের ছেলেমেয়েদের বিয়ে ইদানীং আকছার ঘটছে এইসব পাড়ায়। আর যেখানেই এটা ঘটছে সেইসব বাড়িতেই কিছুদিনের মধ্যেই বাংলা বিলকুল উবে গিয়ে তার জায়গা নিচ্ছে হিন্দি-উর্দু জবান মিশ্রিত এক ভাষা। এরকমটা আর বছর পাঁচেক চলতে থাকলে অনতিবিলম্বেই এ শহরের বুক থেকে মুছে যাবে কোলকাত্তাইয়া মুসলমানরা। টোটো, ওঙ্গি, জারোয়াদের সংরক্ষণ নিয়ে বেশ কিছু কাজ হচ্ছে। কোলকাত্তাইয়া মুসলিমদের ক্ষেত্রেও এই মনোযোগ প্রয়োজন। নইলে শহর কলকাতার আদিতম বাসিন্দা, সম্পূর্ণ বাংলাভাষী এই জনগোষ্ঠীর অবলুপ্তি স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।

আরও পড়ুন
বাংলার তাবড় সেলিব্রিটির বাড়িতে মাছ যেত খালেকের দোকান থেকেই

এবার বাপ্পা, বেবু আর রাজাদার গল্প। প্রথমে শঙ্কর গাঙ্গুলী ওরফে বাপ্পা। পার্ক সার্কাসে আসার পর আমার একদম প্রথমদিককার বন্ধু। ঠিক আমার পাশের ফ্ল্যাটেই থাকতো ওদের পরিবার। বাবা জ্ঞান রঞ্জন গাঙ্গুলী। কোলকাতা হাইকোর্টের নামজাদা উকিল। রমরমা পসার। পাঁচ বোনের এক ভাই বাপ্পা। সাউথ পয়েন্টের মেধাবী ছাত্র। আমার প্রথম যৌবনের প্রচুর সিনেমা আর হোটেল-রেঁস্তোরাবাজির স্পনসর। দুর্দান্ত রেজাল্ট করে কলেজে ওঠার পর,  জীবনে যে কোনোনদিন একটা সুপুরির কুচি পর্যন্ত দাঁতে কাটেনি সেই কিনা জড়িয়ে পড়ল আকণ্ঠ মদ আর ড্রাগের চক্করে। বছর পাঁচেক এরকম চলার পর এক রাতে টালমাটাল অবস্থায় বাড়ি ফিরে নিজের ঘরে মশারির তলায় ঢুকে পড়েছিল আঙুলের ফাঁকে জ্বলন্ত সিগারেট নিয়ে। অচৈতন্য অবস্থায় নাইলনের মশারি আর গদিতে ছড়িয়ে পড়েছিল কালান্তক আগুন। দরজা ভেঙে উদ্ধার করতে করতে শরীরের সত্তর ভাগ দগ্ধ একেবারে। মাসখানেক বাদে হাসপাতালের বেডে শেষ সব লড়াই। অতীত হয়ে গেছিল শঙ্কর গাঙ্গুলী নামটা। প্রথম যৌবনে আমার প্রচুর পাগলা চক্কর আর ঝিমঝিমে নৈশ অভিযানের সঙ্গী। ইতিহাস হয়ে গেছিল কোনোমতে নাকেমুখে দুটো গুঁজে দে ছুট লাইট হাউস নিউ এম্পায়ার, গ্লোব... সদর স্ট্রিটে কাইউমের চরসের ঠেক... কোনো কারণ ছাড়াই একদিন বিকেলে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে ডায়মন্ড হারবার ছাড়িয়ে গভীর রাতে নিশ্চিন্তিপুরের খাঁ খাঁ নির্জন মাছের হাটে পাইকারের খাটিয়ায় চিৎ হয়ে শুয়ে ঘোর কালো আকাশের আয়নায় মুঠো মুঠো তারা গোনা। বাপ্পা চলে যাবার হপ্তাখানেক বাদে ফুল স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশের এক নামী  ইউনিভার্সিটিতে পড়তে যাওয়ার চিঠিটা এসে পৌঁছেছিল ওদের বাড়িতে। 

বেবুর সম্পর্কে সামান্য দুচারটে কথা লিখেছি এই পর্বেই। তবে আমার এই অকৃত্রিম এবং অত্যাশ্চর্য বন্ধুটিকে নিয়ে আরো কয়েক লাইন লেখা দরকার। বেবু, শুভ নাম শুভব্রত দাশগুপ্ত। ডন বস্কো স্কুল ক্রিকেট এবং বাস্কেটবল টিমের দাপুটে ক্যাপ্টেন। পরবর্তীতে কলকাতা ময়দানে ফার্স্ট ডিভিশন ক্রিকেটে রেঞ্জার্স ক্লাবেরও অধিনায়ক। গোলকিপার পজিশনেও দুর্দান্ত খেলত পার্ক সার্কাস ফুটবল লিগের একটি ক্লাবে। এপাড়ায় আসার বছরদুয়েকের মাথায় আলাপ হয়েছিল ওর সঙ্গে। একটা স্থানীয় টুর্নামেন্টের সূত্রে। বর্ন অ্যাথলিট, জাত স্পোর্টসম্যান। পার্ক সার্কাস এলাকার দরগা রোডে বাড়ি। এলাকায় অত্যন্ত অভিজাত এক পরিবারের সন্তান। ব্রাহ্ম এবং ইয়োরোপীয় ঘরানার সংমিশ্রণ বাড়িতে। আলমারিতে ঠাসা বই। পরিবারে সবাই প্রায় আগ্রাসী পাঠক। শরদিন্দু আর সুকুমারে আকণ্ঠ নিমজ্জিত। এরমধ্যে আশ্চর্যতম বেবুর মা, আমাদের সার্বজনীন মাসিমা। আদতে বেনারসের অত্যন্ত রহিসি পরিবারের কন্যা। ঘোড়ায় চড়তে পারতেন, টেনিস খেলতে পারতেন, ইংরিজি বলতেন খাস ব্রিটিশ অ্যাকসেন্টে কিন্তু বাংলা বলার সময় একটি ইংরিজি শব্দও বার হত না মুখ দিয়ে, আবার একইসঙ্গে পার্ল এস বাক এবং আগাথা ক্রিস্টির পাশাপাশি প্রতিভা বসু, আশাপূর্ণা দেবী আর লীলা মজুমদারও পড়তেন পাল্লা দিয়ে। পার্টি, মদ্যপান, এসব নিয়ে আদৌ কোন ছুৎমার্গ ছিল না আক্ষরিক অর্থে আধুনিকমনস্ক ওই পরিবারটিতে এবং তাদের পরিমণ্ডলে। এহেন এক পরিবারে অতি আশ্চর্যজনকভাবে বেবু ছিল -- অ্যাবসলিউট টি-টোটালার। মদ তো দূরের কথা, সিগারেটেও একটা টান দিয়ে দ্যাখেনি কোনোদিন। জিগ্যেস করলে মুচকি হেসে উত্তর দিত - “এমনিই”। আমাদের সঙ্গে তুমুল আড্ডা থেকে নাইট শো সিনেমা সব কিছুতে সবার আগে বেবু। কিন্তু সন্ধের পর ব্যাপারটা খালাসিটোলা, ঘোষের দোকান, সদর স্ট্রিট অথবা আরো কোনো বেয়াড়া দিকে টার্ন নিচ্ছে দেখলেই জেট গতিতে ফর্সা সেখান থেকে। আবার বন্ধুদের মধ্যে সবার আগে চাকরি পেয়ে প্রথম মাসমাইনের প্রায় পুরোটাই তুলে দিয়েছিল আমাদের হাতে। খালাসিটোলা, ঘোষের দোকান, বারাদুয়ারি, গড়চা, রেখা বার, উইন্ডসর, বন্ধুদের হুড়ুদ্দুম তাফালিং পার্টি চলেছিল প্রায় হপ্তাখানেক। কিন্তু বেবু সেখানে অনুপস্থিত ছিল স্বাভাবিকভাবেই। 

আরও পড়ুন
সিনেমা দেখতে এসে প্রণয়; দম্মকের জন্য টিফিন ক্যারিয়ার নিয়ে হাজির ‘সেকেন্ড ওয়াইফ’

এহেন বেবু আর বাপ্পার হাত ধরে কনজারভেটিভ গড়পার আর দমদমের কলোনি পাড়া ছেড়ে সদ্য উঠে আসা, এই প্রতিবেদকের চোখের সামনে কতরকম অজানা দুনিয়ার দরজা যে হাট হয়ে খুলে গেছিল তার লেখাজোখা নেই। চৈনিক রেস্তোরাঁয় মূল পদ গ্রহণের আগে ক্ষুধাবর্ধক থুড়ি অ্যাপেটাইজার হিসেবে চিকেন সুইট কর্ন জাতীয় স্যুপ খেতে হয়, বিয়ার এবং লেমনেড মিশ্রিত পানীয়ের নাম স্যান্ডি, জিমিজ কিচেনের দুর্দান্ত অম্লমধুর স্বাদের ওই পানীয়টি লাইম অ্যান্ড লেমন সোডা নামেই পরিচিত, বব ডিলান নামক দুনিয়াকাঁপানো ওই গায়ক ভদ্রলোকটি যে আসলে রবার্ট অ্যালান জিমারম্যান - এসব সারসত্য ওদের দুজনের কাছেই জানা। ওদেই হাতেই ইংরিজি পেপারব্যাকে হাতেখড়ি। ইলিয়ট রোড বাটার উল্টোদিকে উঠে যাওয়া সেই ভাড়ার বইয়ের দোকান। জ্যাক লন্ডন থেকে জেমস হেডলি চেজ। উচ্চনীচ বাছাবাছি নেই কিছুই। বাপ্পা আর তার স্কুলকলেজের বন্ধুদের পিছুপিছু গিয়ে চিনে ফেলা পার্ক লেনে শুকনো নেশার ঠেক ববস প্লেস আর সদর স্ট্রিটে কাইয়ুমের চরস চক্র। অন্যদিকে বেবু। ইএসপিএন, স্টার স্পোর্টস, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, সিরি-এ, বুন্দেশলীগা তখন কোথায়? তার অনেক আগেই তো কোলকাতা ময়দানের বেড়া ভেঙে বেরিয়ে বেবুর কাছে শুনে ফেলছি টটেনহাম হটসপার, ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড আর লিভারপুলের গল্প। ওই তো পরিচয় করিয়ে দিয়েছে স্যার স্ট্যানলি ম্যাথুজ, স্যার ববি চার্লটন, ইয়ান রাশ, কেভিন কিগান , ডেনিস ল, কেনি ডল্যাগলিশ, গ্লেন হডলদের সঙ্গে। বেকহ্যাম, স্টিভেন জেরার্ড, ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ড, রায়ান গিগসদের পূর্বসূরি সব। ওর কাছেই তো শোনা সেই অলৌকিক গল্প! ১৯৬৭ সাল। ইয়োরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নস লীগের (সেসময় ইয়োরোপিয়ান কাপ) ফাইনাল ম্যাচের আগের দিন। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের প্রবাদপ্রতিম কোচ স্যর ম্যাট বুসবি, তাঁর প্রিয়তম এবং চরম উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র জর্জ বেস্টকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না কোত্থাও। বুসবি কিন্তু জানতেন শিষ্যের অন্ধিসন্ধি। লোক পাঠালেন বাছা বাছা কয়েকটি হোটেল আর নাইট ক্লাবে। তারমধ্যে একটিতে পাওয়া গেল বেস্টকে। সুন্দরী সব রমণীকূল পরিবৃত হয়ে উদ্দাম পার্টিতে মত্ত চূড়ান্ত হ্যান্ডসাম বেস্ট। ওই অবস্থাতেই তুলে নিয়ে আসা হল পার্টি থেকে। পরদিন ফাইনালে পর্তুগালের বেনিফিকার বিরুদ্ধে দুর্দান্ত একটা গোল করে ম্যান ইউকে ইয়োরোপীয়ান কাপ জিতিয়েছিলেন বেস্ট।

অলংকরণ - প্রণবশ্রী হাজরা

আরও পড়ুন
মাঝরাত্তিরেও গিজগিজে ভিড়, মুমতাজ ভাইয়ের পান-সিগারেটের দোকানের রহস্য কী?

Powered by Froala Editor

More From Author See More