বৃষ্টিভেজা রোববারে জিভে জল আনুক পনির উত্তমা

বুলবুল আছড়ে পড়েছে। তার দাপটে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বৃষ্টি। এমন দিনে আলিস্যি ঘিরে ধরে খুব। কিন্তু, রোববারে কিছু একটা ভালো-মন্দ না রাঁধলেই নয়। মাংস কেনার জন্য বাড়ির বাইরে বেরোতে যদি ইচ্ছে না করে, তাহলে দেখুন ফ্রিজে পনির আছে কিনা। যদি থাকে, তাহলেই জমে যাবে দুপুরের খাবার।
আজকের পদ পনির উত্তমা। শুধু নামে না, এই পদ স্বাদেও উত্তমা বৈকি। যাকে বলে রাজকীয় পদ। জমিয়ে রাঁধতে পারলে রোববারি মাংসকেও বেশ কয়েক গোল দেবে এই পদ। তাহলে আর কী! চলুন রেসিপি দেখে নেওয়া যাক।

কী কী লাগবে?

পনির- ২০০ গ্রাম
পেঁয়াজকুচি- একটা মাঝারি আকারের (বাটার জন্য), দুটো ছোটো আকারের রান্নার জন্য।
আদাকুচি- ১/৪ চামচ
রসুন- ৫ কোয়া
কাঁচা লঙ্কা- ২টো
গরম মশলা গুঁড়ো- ১ চা-চামচ
ধনে গুঁড়ো- ১চা চামচ
কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো- ১ চামচ
শুকনো় লঙ্কা- ২টো
লবঙ্গ- ২টো
এলাচ- ৩টে
দারুচিনি- একটা ছোটো টুকরো
তেজপাতা- ২টো
কাজুবাদাম- ১০টা
জল- ১ কাপ (প্রয়োজনে বাড়়ানো যেতে পারে)
মাখন, সাদা তেল, নুন, চিনি পরিমাণমতো।

কীভাবে রাঁধবেন?

১। কড়াইতে কিছুটা মাখন মাখিয়ে নিন।
২। পনিরগুলো হালকা বাদামি করে ভেজে তুলে রাখুন।
৩। কড়াইতে আরো খানিকটা মাখন দিয়ে পেয়াজকুচি, রসুন, আদা, কাজুবাদাম, কাঁচা লঙ্কা ভালো করে সাঁতলে তুলে নিন।
৪। ঠান্ডা হলে ভাজা উপকরণগুলোর একটি মিশ্রণ বা পেস্ট তৈরি করে নিন।
৫। কড়াইতে প্রয়োজনমতো তেল দিন।
৬। গোটা গরম মশলাগুলো ফোড়ন দিন।
৭। গন্ধ বেরোলে তেল থেকে তুলে নিন ও পেঁয়াজকুচি দিয়ে দিন।
৮। পেঁয়াজকুচি সোনালি হয়ে এলে যে বাটা বা পেস্টটা তৈরি করা হয়েছিল সেটা ঢেলে দিন।
৯। মশলা-ধোয়া জল ও পরিমাণমতো নুন, চিনি দিন।
১০। ভালো করে কষান।
১১। অল্প জল যোগ দিয়ে ভালো করে সবটা নেড়ে মিনিট দশ রেখে দিন।
১২। মিনিট দশ পর পনিরগুলো দিয়ে দিন ও আরো পাঁচ মিনিট রাখুন।
১৩। সামান্য গরম মশলা, ফোড়নের শুকনো লঙ্কা দিয়ে গ্যাস বন্ধ করুন।

ছবি: তর্পিণী ভুঁইঞা