হালকা শীত, ছুটির পাত আর পাবদা-বড়ি মনোহারী

শীতটা পড়ব পড়ব করেও পড়ছে না। অনেকে বলছেন, শীত উধাও হল বাংলা থেকে। আবার কেউ কেউ বলছেন, সবজির বাজার এতটাই গরম যে শীত আর পড়বে কী করে? কথাটা খুব ভুল নয়।

কিন্তু তা বলে কি মন খারাপ করে বসে থাকা চলে! শীত মানেই রকমারি মাছ আর সবজি। কাল বাজারে দেখলাম ভালো ভালো পাবদা উঠেছে। দামও নাগালের মধ্যেই। মনে পড়ে গেল, আমার ঠাকুমা জমিয়ে পাবদা রাঁধত বড়ি দিয়ে। ঠাকুমা সেই পদের নাম দিয়েছিল পাবদা-বড়ি মনোহারী। আমি বলতাম, ধুস এ তো বড়ি দিয়ে পাবদার ঝোল। শুনে ঠাকুমা খুব হাসত। আর সেই রান্না খেয়ে জিভে জল আসত আমার। আজ সেই পদের রেসিপিই ভাগ করে নিচ্ছি আপনাদের সঙ্গে। খেয়েই বলুন সত্যিই মনোহারী কিনা।

কী কী লাগবে?

ছোটো পাবদা- ৫টা
বড়ি- ১০টা
টমেটো কুচি- ছোটো দুটো
আদা- দেড় ইঞ্চি
জিরে- দেড় চামচ
কাঁচা লঙ্কা- ৫টা
ধনেপাতা- কিছুটা
হলুদ- ১চামচ
লঙ্কাগুঁড়ো- ১চামচ
ফোড়নের জন্য- সামান্য কালোজিরা
নুন, সর্ষের তেল পরিমাণ মতো।

কীভাবে রাঁধবেন?

১। মাছগুলোকে সামান্য নুন, হলুদ, লঙ্কাগুঁড়ো ও অল্প সর্ষের তেল দিয়ে মেখে রাখুন পাঁচ মিনিট।
২। আদা, জিরে, তিনটে কাঁচালঙ্কা একসঙ্গে শিলে বেটে নিন।
৩। কড়াইয়ে তেল দিন। তেল ভালো গরম হলে বড়িগুলো ভেজে তুলে নিন।
৪। মাছগুলো একদম হালকা করে সাঁতলে তুলে নিন।
৫। কড়াইতে কালোজিরা আর একটা কাঁচালঙ্কা ফোড়ন দিন।
৬। আদা-জিরে-লঙ্কার বাটা দিন।
৭। মশলা-ধোয়া জলটা দিয়ে কষান।
৮। হলুদ আর লঙ্কা গুঁড়ো ঢেলে দিয়ে সবটা ভালো করে নেড়ে নিন।
৯। টমেটোকুচি আর পরিমাণ মতো নুন দিন।
১০। মশলা থেকে তেল ছেড়ে এলে মাছগুলো হালকা করে মশলায় দিয়ে দিন।
১১। মিনিট দুই রাখার পর মাছগুলো উল্টোপিঠ করে দিন।
১২। দেড় কাপ হালকা উষ্ণ জল দিয়ে একবার নেড়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন দশ মিনিট।
১৩। ঝোল ফুটে উঠলে কাঁচালঙ্কা ও বড়িগুলো দিন।
১৪। ঝোল থেকে তেল বেরিয়ে আসলে উপর দিয়ে ধনেপাতাকুচি ছড়িয়ে দিয়ে ঢাকা দিন ও গ্যাস বন্ধ করুন।