আবর্জনার স্তূপকে ধীরে ধীরে অরণ্যের রূপ দিচ্ছেন চেন্নাইয়ের মানুষ

কিছুদিন আগে পর্যন্তও সেখানে ছিল আবর্জনার স্তুপ। দেশের প্রত্যেকটা শহরেই যেমন ভাগাড়ের অস্তিত্ব থাকে। কিন্তু আর বেশিদিন সেই বিশ্রী দৃশ্য দেখা যাবে না। চেন্নাই শহরের নাগরিক সমাজ নিজেরাই উদ্যোগ নিয়েছেন সেই আবর্জনার স্তুপকে সবুজের আচ্ছাদনে সাজিয়ে তোলার। শুরু হয়ে গিয়েছে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। আর কিছুদিনের মধ্যেই সেখানে দেখা যাবে আস্ত বনভূমি। আর চেন্নাইয়ের মানুষ এই সবুজায়ন কর্মসূচির জন্য বেছে নিয়েছেন একটি জাপানি পদ্ধতি।

নাগরিক পরিবেশের সঙ্গে সবুজায়ন কর্মসূচিকে জড়িয়ে ফেলার নানা ধরনের পরিকল্পনা দেখা গিয়েছে সারা পৃথিবীতে। এর মধ্যেই অন্যতম সফল একটি পদ্ধতির নাম ‘মিয়াওয়াকি’। জাপানের নাগরিক পরিবেশে প্রথম এই পদ্ধতির সফল প্রয়োগ দেখা যায় চলতি শতকের শুরুতে। এই পদ্ধতি অনুযায়ী স্থানীয় প্রজাতির বড়ো গাছ খুব কম দূরত্বে রোপণ করা হয়। আর তার ফলে সেই গাছ যখন বড় হয় তখন সবুজ পাতা ছাতার মতো ঢেকে ফেলে পুরো এলাকা। মানুষ বা অন্য কোনো প্রাণীর প্রবেশ তো সম্ভব হয়ই না, এমনকি আগাছাও জন্মাতে পারে না। তবে অক্সিজেনের উৎস হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই বনভূমি।

যদিও ভারতে এভাবে বৃক্ষরোপণ এই প্রথম নয়। চলতি বছরের শুরুতেই মুম্বাই এবং ব্যাঙ্গালোরের কয়েকটি আবর্জনার স্তুপে একইভাবে গাছ লাগানো হয়েছে। আর এবার সেই পদ্ধতিই বেছে নিলেন চেন্নাই শহরের মানুষ। চেন্নাইয়ের কোট্টুরপুরম ছাড়াও রামাপুরমের রয়্যাল নগরে এভাবে বৃক্ষরোপণ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই প্রকল্পের সাফল্যের বিষয়ে আশাবাদী তামিলনাড়ুর সরকারও। চেন্নাইয়ের রিজিওনাল ডেপুটি কমিশনার অ্যালবি জন ভার্গেস জানিয়েছেন, জঞ্জাল আর আবর্জনার মধ্যে এভাবে প্রাণের সঞ্চার সত্যিই এক নতুন স্বপ্নের জন্ম দেয়। আশা করা যায়, মহামারী পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আগেই গাছের পাতা ঢেকে ফেলবে পুরো এলাকা।

Powered by Froala Editor