চোখের পাতা ৮ ইঞ্চি, গিনেস বুকে নাম তুললেন চিনের মহিলা

চোখের পাতার সামনে সারি সারি সাজানো লোম বা চোখের পলক – ধুলোবালি বা পোকামাকড়ের হাত থেকে চোখকে বাঁচানো তার কাজ। কিন্তু এই চোখের পাতাই তৈরি করতে পারে বিশ্বরেকর্ড? হবে নাই বা কেন? কারোর চোখের পাতা যদি হয় ৮ ইঞ্চি লম্বা, তাহলে তা আলোচনার বিষয় হয়ে উঠবে বৈকি! সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে এই দৈর্ঘ হয় ১ সেন্টিমিটারেরও লম্বা। সেখানে চিন নিবাসী ইউ জিয়ানজিয়ার চোখের পলক ২০ সেন্টিমিটার ছাড়িয়ে গিয়েছে। নিজের রেকর্ড নিজেই ভেঙে দ্বিতীয়বারের জন্য গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তুললেন জিয়ানজিয়া।

২০১৫ সালে জিয়ানজিয়া প্রথম লক্ষ করেন তাঁর পাতা দৈর্ঘ হঠাৎ অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। প্রথমটায় বেশ ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে ছুটেছিলেন চিকিৎসকের কাছে। কিন্তু অনেক পরীক্ষার পরেও এই অস্বাভাবিকতার কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া গেল না। তবে এই দীর্ঘ পাতা নিয়েও তেমন কোনো সমস্যা হত না জিয়ানজিয়ার। ফলে শেষ পর্যন্ত বেশ সহজভাবেই নিয়েছিলেন পুরো ব্যাপারটাকে। এবং যখন তিনি বুঝতে পারলেন, এত দীর্ঘ পলকের অধিকারী পৃথিবীতে সম্ভবত তিনিই একমাত্র, তখন আবেদন জানালেন গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে। ২০১৬ সালের ২৮ জুন সংস্থার পরীক্ষকরা মেপে দেখলেন তাঁর বাঁ চোখের একটি পলকের দৈর্ঘ ১২.৪4 সেন্টিমিটার বা প্রায় ৫ ইঞ্চি।

গিনেস বুকে নাম ওঠার পর বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে গবেষকরা যোগাযোগ করেছেন জিয়ানজিয়ার সঙ্গে। কিন্তু কোনোভাবেই এই অস্বাভাবিকতার কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। অনেকে মনে করেছেন এর পিছনে জিনঘটিত সমস্যা রয়েছে। তবে তাঁর বংশতালিকায় কারোর এমন অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি। শেষ পর্যন্ত পুরো বিষয়টিকে প্রভু বুদ্ধের আশীর্বাদ বলে মেনে নিয়েছেন জিয়ানজিয়া। যদিও বিজ্ঞানীদের দাবি এর পিছনে জিনগত কোনো মিউটেশনই দায়ী। তবে কারণ যাই হোক, জিয়ানজিয়ার চোখের পাতা আজও বেড়ে চলেছে। আর তিনি নিজেও যত্ন নিতে শুরু করেছেন। ২০ মে আবারও গিনেস বুকে নতুন করে রেকর্ড তৈরি করলেন তিনি। এখন তাঁর একটি পলকের দৈর্ঘ ২০.৫ সেন্টিমিটার বা ৮ ইঞ্চি। হয়তো আগামীদিনে আরও বহু মানুষের চোখেই দেখা যাবে এমন দীর্ঘ পাতা। কিন্তু আপাতত জিয়ানজিয়াই অদ্বিতীয়।

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
একসঙ্গে ১০টি সন্তানের জন্ম দিয়ে রেকর্ড দক্ষিণ আফ্রিকার মহিলার

More From Author See More