কেরালায় মৃত ৫ বছরের ছোট্ট হাতি, সন্দেহ সেই বিস্ফোরণের দিকেই

ঠিক একমাস সময় পেরিয়েছে ক্যালেন্ডারের হিসাবে। কেরালার মৃত অন্তঃসত্ত্বা হাতির মৃত্যুর পর কিছুদিন সারা দেশ উত্তাল হয়েছিল। আজ সেইসব প্রায় থিতিয়ে এসেছে। আর এর মধ্যেই আবারও এক হাতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটল, এবং ঘটনাস্থল আবারও কেরালা। গত শুক্রবারের এই ঘটনার পিছনেও পুরনো ঘটনার প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা।

শুক্রবার কেরালার আগালি বনভূমি থেকে একটি ৫ বছরের শিশু হাতিকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক পরীক্ষায় বনবিভাগের কর্মীরা অনুমান করেছেন মুখের ভিতরে কোনো বিস্ফোরক পদার্থ ভরে দেওয়ার ফলেই হাতিটির মৃত্যু ঘটেছে। অর্থাৎ এক্ষেত্রেও সেই পুরনো চক অনুধাবন করা হয়েছে। হাতিটির মুখের একাংশ বেশ ক্ষতিগ্রস্ত। আবার তার পেটের মধ্যেও টিউমারের লক্ষণ দেখা গিয়েছে।

কেরালা বনবিভাগের মুখ্য প্রশাসনিক আধিকারিক সুরেন্দর কুমারেশ জানিয়েছেন, হাতিটির মৃত্যুর কারণ হিসাবে দুটি বিষয়কেই বেশ স্পষ্টভাবে দেখা যায়। প্রথমত, তার মুখের, বিশেষত নিচের দিকের চোয়ালের যে ক্ষতি হয়েছে, তা কোনো বিস্ফোরকের ফলেই ঘটেছে। আবার তার পেটের টিউমারের সঙ্গে নিমোনিয়ার উপসর্গ যোগ হয়েও মৃত্যুর কারণ ঘটাতে পারে। পশু চিকিৎসক অরুণ সাকারিয়া, যিনি এই হাতির ময়না তদন্তের দায়িত্বে আছেন, তাঁর মতে স্পষ্ট কোনো প্রমাণ না থাকলেও খাদ্যবস্তুতে বিস্ফোরক মিশিয়ে দেওয়ার বিষয়টা অস্বীকার করা যায় না। 

একমাস আগের ঘটনা যখন ক্রমশ মানুষের মন থেকে মুছে যাচ্ছিল, তখন এই ঘটনা আবার প্রশ্ন তুলে দিয়ে গেল, এই দেশে পশুরা কি আদৌ নিরাপদ। চোরাশিকারি বা বেআইনি ব্যবসাদারের দল তো আছেই, কিন্তু নিছক পাশবিক পরিতৃপ্তির জন্য যেখানে খুন হতে হয় হাতিদের, সেই দেশ কি আদৌ আমাদের সবার? নাকি কেবল মানুষের একচেটিয়া অধিকার আছে সেখানে?

Powered by Froala Editor

Latest News See More