১৩ বছরের কিশোরীর কবরের জন্য জমি দিলেন দরিদ্র হিন্দু কৃষক, সম্প্রীতির উদাহরণ হরিয়ানায়

বয়স মাত্র ১৩ বছর। তাও জীবনযুদ্ধে হার মানল এক কিশোরী। কিন্তু অঞ্চলের কবরস্থান তখন ভাসছে জলে। ফলে ছোট্ট বালিকার শেষকৃত্যের কাজেই সমস্যার সম্মুখীন হয় পরিবার। ঘটনার খবর পেয়েই এগিয়ে আসেন প্রতিবেশী একটি হিন্দু পরিবার। নিজের জমির কিয়দংশ দান করেন কিশোরীটির কবরের জন্য। দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য যে হারিয়ে যায়নি এখনও, চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এই ঘটনা।

ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার গুলকানি গ্রামে। গত কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে সমগ্র অঞ্চল। হাঁটুজল জমে ছিল ওই কবরস্থানেও। ফলে বিপাকে পড়েন ওই বালিকার পরিবার। তবে এই সমস্যা এই প্রথম না। বিগত প্রায় ১০ বছর ধরেই এই সমস্যার সম্মুখীন গ্রামবাসীরা। বার বার তাঁরা দ্বারস্থ হয়েছেন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান এবং প্রশাসনের কাছে। তবে কাজ হয়নি কিছুতেই। কার্যত এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের একাংশ। পঞ্চায়েত প্রধান জানিয়েছেন, দ্রুত কবরস্থানের অবস্থা ফেরাতে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছেন দুই কর্মী।

মৃত বালিকার পরিবার জানায়, ওই হিন্দু ব্যক্তি সামান্য একজন চাষি। কিন্তু এই দুর্দিনে নিজের সম্বলটুকুও এগিয়ে দিতে পিছপা হননি তিনি। জানিয়েছেন তাঁর কৃতজ্ঞতা। উল্লেখ্য, হরিয়ানার এই গ্রামে ১৬টি সম্প্রদায়ের বসবাস। কিন্তু এসবের পরেও কোনোদিন বিভাজনের ছাপ পড়েনি গুলকানিতে। বজায় রয়েছে ভাই-ভাইয়ের সম্পর্ক। দেশে মাঝে মাঝেই বিক্ষিপ্তভাবে যখন বিভেদের ছবি ফুটে উঠছে। গড়ে উঠছে সাম্প্রদায়িক বেড়াজাল। সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে মৌলবাদী এবং বিভাজনকারীদের মানবতার প্রমাণ দিল এই ঘটনা। ধর্মীয় ভেদাভেদের গালে যা সাক্ষাৎ করাঘাতস্বরূপ...

Powered by Froala Editor