পতঙ্গভুক গাছের নতুন প্রজাতির খোঁজ মিলল ফিলিপাইনের জঙ্গলে

সূর্যের আলো থেকে সালোকসংশ্লেষ পদ্ধতিতে খাবার তৈরি করে গাছ, আর সেই খাবার প্রথমে তৃণভোজী তারপর মাংসাশী প্রাণী গ্রহণ করে; মোটামুটি খাদ্যশৃঙ্খলের সঙ্গে এভাবেই পরিচিত আমরা। কিন্তু প্রকৃতিতে এমন অনেক গাছ আছে, যারা খাবার তৈরি করতে পারে না। খাবারের জন্য তাদের নির্ভর করতে হয় কোনো প্রাণীর উপর। এমন অনেক গাছের কথাই আমরা জানি। এদের বলা হয় কার্নিভোরাস প্ল্যান্ট বা পতঙ্গভুক প্রাণী। মূলত নানা ধরনের পতঙ্গ অথবা অন্যান্য ছোট প্রাণীকেই খাবার হিসাবে গ্রহণ করে এই গাছগুলি। প্রাণীর শরীর হজম করার জন্য থাকে বিশেষ উৎসেচক, এমনকি তাদের আকৃষ্ট করার জন্যও নানা বিশেষ গঠন লক্ষ করা যায়।

সম্প্রতি এমনই একটি পতঙ্গভুক গাছের নতুন প্রজাতির সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা। গাছটি পাওয়া গিয়েছে ফিলিপাইনের মিন্ডানাও এলাকার বনের মধ্যে। হঠাৎ দেখলে সাধারণ কলসপত্রী গাছ মনে হলেও, এই প্রজাতিটির সবই বিচিত্র, এমনটাই জানাচ্ছেন গবেষক নোয়েল লাগুন্ডে। এর চোষক নলের গঠন, পাতার বিন্যাস সবই অন্যরকম। আসলে বিবর্তনের ফলে এই গাছটির চেহারায় বিশেষ পরিবর্তন হয়নি বলেই মনে করছেন গবেষকরা। আর তাই গাছটির চেহারা বেশ প্রাচীন।

ফিলিপাইনের মাংসাশী উদ্ভিদের পরিচিত ৩৪টি নামের সঙ্গে যুক্ত হল আরও একটি প্রজাতি। ফিলিপাইনের জনপ্রিয় বিজ্ঞানী ভেনেরাসিও কাবানার নাম অনুসারে এই প্রজাতিটির নাম রাখা হয়েছে এন. কাবানি। মিন্ডানাও এলাকার রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই এমন একটি আবিষ্কার স্বাভাবিকভাবেই বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। এলাকায় অসংখ্য সন্ত্রাসবাদী সংগঠন, বিক্ষুব্ধ উপজাতি এবং প্রশাসনিক উৎপীড়নের মধ্যেই চলেছে গবেষণা। আর তার ফলে যে আবিষ্কার খুঁজে পাওয়া গিয়েছে, জার্নাল অফ সিস্টেমেটিক বায়োলজির পাতায় প্রকাশিত হয়ে সেই আবিষ্কারের খবর ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। এই প্রকৃতির মধ্যে এমনই আরও কত রহস্য কেবল খুঁজে পাওয়ার অপেক্ষা।

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
একটিমাত্র গাছ দিয়েই তৈরি আস্ত জঙ্গল, ভারতেই রয়েছে এই স্থান