গত এক দশকে ভারতে কমেছে অপুষ্টির হার, জানাল সমীক্ষা

বিশ্বে ক্ষুধার সূচক বা হাঙ্গার ইনডেক্সের নিরিখে ১৩০টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১০২। এই সূচক থেকেই স্পষ্ট যে, শোচনীয় অবস্থার মধ্যে দিয়েই যায় নাগরিকদের একটি বিরাট অংশ। তবে রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রকাশিত সাম্প্রতিক তথ্য দেখাচ্ছে আশার আলো। গত এক দশকে ভারতে অনাহার এবং অপুষ্টির সংখ্যা কমেছে অনেকটা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, রাষ্ট্রপুঞ্জ এবং আইএফএডি’র যৌথভাবে এই সমীক্ষা চালিয়েছিল। আর তাতেই আসে এমন তথ্য। ভারতে অন্তত ৬ কোটি কমেছে অনাহারের সংখ্যা। তবে বিশ্বে সার্বিকভাবে অবস্থা অনেকটা খারাপ হয়েছে আগের তুলনায়। ২০১৮-র তুলনায় ২০১৯-এ ৬৮ কোটি থেকে বেড়ে ৬৯ কোটি হয়েছে অনাহারের সংখ্যা। অর্থাৎ তা একবছরে ১ কোটি বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতে অপুষ্টির হার কমা ইঙ্গিত দিচ্ছে অর্থনীতির নিরিখে বেশ কিছুটা এগিয়েছে দেশ। কমেছে বৈষম্য, বিভেদ এবং দ্রারিদ্র্য।

তবে এই তথ্যে আশঙ্কার কথাও শুনিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। যেমন অপুষ্টি কমেছে, তেমনই বেড়েছে শিশুদের সুষম বৃদ্ধির হার। অন্যদিকে প্রাপ্ত বয়স্কদের বেড়েছে স্থূলতা। কাজেই শারীরিক সক্ষমতায় বেশ খানিকটা পিছিয়েই রইল দেশ। 

তবে শুধু ভারত নয়। প্রতিবেশী রাষ্ট্র চিনেও কমেছে অপুষ্টির হার। সার্বিকভাবে পৃথিবীতে এই মুহূর্তে মহাদেশগুলির মধ্যে অপুষ্টির সংখ্যা সবথেকে বেশি হলেও, দ্রুত অনাহার বৃদ্ধি পাচ্ছে আফ্রিকার দেশগুলিতে। গবেষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এই লকডাউন, অর্থনীতির স্থবিরতা অনাহার আর দারিদ্র্যকে ত্বরান্বিত করবে আরও। ফলে একবছরে অনাহারের শিকার হতে পারেন নতুন করে ১৩ কোটি মানুষ। আসন্ন এই খাদ্য সংকটের কীভাবে মোকাবিলা করা যায়, তাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ সমস্ত দেশের কাছে...

Powered by Froala Editor