ক্ষুধার্তদের সঙ্গে স্কুলের টিফিন ভাগ ২০০০ পড়ুয়ার, ব্যতিক্রমী নজির এলাহাবাদে

পাঠের শুরুতে শিশু শেখে অ আ ক খ। ভাষা অনুযায়ী হরফ পাল্টালেও, মানবতার শিক্ষা সকল শিশুর কাছেই এক। আর বড় হতে হতে এইসব ছেলেমেয়েরাই তাদের মানবিক দিকটি তুলে ধরে সমাজের বিভিন্ন প্রয়োজনে। এমনই এক উদাহরণ এলাহাবাদের মহাপ্রভু পাব্লিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। ২০০০ জন পড়ুয়া হাসপাতালের ক্ষুধার্ত মানুষদের সঙ্গে নিজেদের টিফিন ভাগ করে নিচ্ছে নিয়মিত।

বিদ্যালয়ের প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীই রোজ নিজেদের ভাগ থেকে একটি করে রুটি সরিয়ে রাখে। আর এই রুটিগুলোই পৌঁছে যায় ক্ষুধার্ত মানুষদের কাছে।

খাদ্য সূচক নিয়ে নবম ও দশম শ্রেণীর পড়ুয়াদের আলোচনা করতে দেখে, স্কুলের অধ্যক্ষ রবিন্দর বার্ডি এ-ধরণের সমস্যা দূরীকরণে উৎসাহ দিতে এগিয়ে আসেন। এরপরই স্কুলের অনান্য শিক্ষক, স্টাফ এবং বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করে এই উদ্যোগে সামিল হন সবাই। স্বরূপরানি নেহেরু হাসপাতালে প্রত্যেকদিন সকাল সাড়ে নটা থেকে এগারোটা পর্যন্ত সেখানকার ক্ষুধার্ত, গরিব মানুষদের এই রুটি বিতরণ করা হয়।

কেবলমাত্র বইয়ের সিলেবাস শেষ করে ভালো নম্বর নিয়ে আসা নয়, এ-ধরণের উদ্যোগ ছেলেমেয়েদের মধ্যে শিক্ষার অন্য দিকগুলিও তুলে ধরে। যে দেশে খিদের অভাবে প্রতিদিন মারা যায় মানুষ, সেদেশে ছাত্রছাত্রীদের এমন উদ্যোগ আরও বেশি করে প্রয়োজন। কারণ, ছাত্র ছাত্রীরাই আগামীদিনের ভবিষ্যৎ। তারা এগিয়ে না এলে, ভারত ‘উন্নয়নশীল’ তকমা পেয়েই কাটিয়ে দেবে আরও সহস্র বছর।