ঘরে বসেই পুজো পরিক্রমা : উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতা

/১১

করোনা আবহে প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়েছে মণ্ডপে। কিন্তু তাবলে কী প্রতিমা দর্শন না করেই পুজো কাটিয়ে ফেলা যায়? অগত্যা ভরসা ভার্চুয়াল মিডিয়াই। আজ থাকল দক্ষিণ কলকাতার বিখ্যাত পুজোগুলির প্রতিমা।

/১১

বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে এই ক্লাবের শিশুশিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন বিমল সামন্ত। এ-বছর তার কাজের মধ্যে দেখা গেছে অভিনবত্ব। বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক এবং টিনের তৈরি কৌটো ব্যবহৃত হয়েছে সমগ্র মণ্ডপ নির্মাণে। প্রতিমা শিল্পী পরিমল পাল।

/১১

লালাবাগান সর্বজনীনের পুজো লালাবাগান নবাঙ্কুর সংঘের ঠিক পাশেই। এই পুজোয এবারের বিষয় হিসেবে তুলে এনেছে করোনাভাইরাস এবং তার দমনকে। সমাজের প্রতিটি স্বাস্থ্যকর্মী প্রতিদিন সাফাই কর্মী সকলেই দেবী দুর্গারই একটি অংশ - এই পরিকল্পনা থেকে গড়ে উঠেছে সমগ্র মণ্ডপ। সমাজ সচেতনতার শিল্পিত রূপ ফুটে উঠেছে এখানে।

/১১

চোরবাগান সর্বজনীনের এবারের পূজার বিষয়ে আগামী। সমগ্র মণ্ডপটি সেজে উঠেছে বিভিন্ন রকম খড়, বাঁশ এবং কাঠের ইনস্টলেশন দিয়ে। বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই মঞ্চটি বেশ খোলামেলা এবং মাঝে দর্শকদের দেখার জন্য অনেকটা ফাঁকা স্থান রাখা হয়েছে। চোর বাগানের শিল্পী বিমল সামন্ত। প্রতিমা নির্মাণে রয়েছেন নবকুমার পাল।

/১১

এ বছর এই পুজো অন্যতম সেরার শিরোপা অর্জন করেছে এশিয়ান পেন্টস শারদ সম্মান থেকে। এবারের বিষয় 'পন্ড নয়, প্যান্ডেল হবে'। '১৬ এ ধোপা কলোনী' তৈরি করা হয়েছে এখানে। একেবারে অনুপুঙ্খ কাজের মাধ্যমে ধোপা কলোনীর প্রত্যেকটি অনুষঙ্গ ফুটে উঠেছে প্যান্ডেলে। এবারের শিল্পী রাজু সরকার এবং প্রতিমা নির্মাণে সৈকত বসু।

/১১

হাতিবাগান সর্বজনীনের প্রতিমা এবছর এশিয়ান পেইন্টস শারদ সম্মান 'বছরের সেরা প্রতিমা' হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। এই প্রতিমাটি কাগজ দ্বারা নির্মিত। সামগ্রিক মণ্ডপসজ্জাতেও কাগজ এবং বিভিন্ন ধরনের কোলাজ ব্যবহার করা হয়েছে। শিল্পী সঞ্জীব সাহা।

/১১

কাশী বোস লেনের ঐতিহ্যবাহী পুজোর এ-বছরের বিষয় ঘটপুজো। সামগ্রিক মণ্ডপ পরিকল্পনায় এবং প্রতিমা নির্মাণে শিল্পী পরিমল পাল। বাসের কাঠামো দিয়ে গড়ে উঠেছে সমস্ত মণ্ডপ। মণ্ডপের সামনে রয়েছে একটি বিরাট ঘটের ইনস্টলেশন। ঘর থেকে জল গড়িয়ে পড়ছে এমন একটি আভাস দেওয়া। তবে সমগ্র মণ্ডপটি এবছরের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।

/১১

এই বছর জগৎ মুখার্জী পার্ক একটি অভিনব ভাবনা উপস্থাপন করেছে। দুর্গাপূজার প্রতিমা শিল্পের একেবারে প্রথম দিকের শিল্পী অশোক গুপ্তের স্মরণে গড়ে উঠেছে মণ্ডপ। মণ্ডপে নির্মিত প্রতিমাটির মধ্যে অশোক গুপ্তের কাজের প্রতিফলন ঘটেছে। জগৎ মুখার্জী পার্কের এবারের শিল্পী সুবল পাল।

/১১

চক্রবেড়িয়া সর্বজনীনের এবারের বিষয় ভাঙাগড়ার খেলা। বিভিন্ন আসবাবপত্র নানাভাবে সাজিয়ে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। সামগ্রিক রূপায়ণে শিল্পী পূর্ণেন্দু দে। এ-বছর যেমন প্যান্ডেমিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তাতে অনেক ক্লাব কর্তৃপক্ষ ঠিক করেছিলেন তাঁরা ঘটপূজা করবেন। এই মণ্ডপের প্রতিমার মধ্যেও রয়েছে সেই রকমই একটি প্রতিফলন। একটি দীর্ঘ বিরাট পটের মধ্যে ঘটে আঁকা ছবিতে দেবী বিরাজ করছেন।

১০/১১

নলিন সরকার স্ট্রীট দুর্গাপুজোর এবারের ভাবনা 'পরিকাঠামো'। সমগ্র মণ্ডপ টিতে কাঠামোর অনেকগুলি ব্যবহার রয়েছে। খড় এবং বাঁশ দিয়ে তৈরি হয়েছে গোটা মণ্ডপ। শিল্পী মানুষ দাস এবং প্রতিমাশিল্পী সৈকত বসু। মাটির বর্ণে সেজে উঠেছে মাতৃপ্রতিমা।

১১/১১

মানিকতলা থেকে কাঁকুড়গাছি যাবার পথে বাঁ-হাতের গলিতেই এই লালাবাগান নবাঙ্কুর সংঘের পুজো। এবারে শিল্পী প্রশান্ত পাল। বিষয় 'শামিয়ানা'। চাদর আর শামিয়ানার প্রয়োগের মাধ্যমে গড়ে তোলা হয়েছে মণ্ডপ। প্রতিমাটিও সোনালি বর্ণের এবং বেশ অভিনব।

Powered by Froala Editor