ঘরে বসেই পুজো পরিক্রমা : দক্ষিণ কলকাতা - ২

/১১

করোনা আবহে প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়েছে মণ্ডপে। কিন্তু তাবলে কী প্রতিমা দর্শন না করেই পুজো কাটিয়ে ফেলা যায়? অগত্যা ভরসা ভার্চুয়াল মিডিয়াই। আজ থাকল দক্ষিণ কলকাতার বিখ্যাত পুজোগুলির প্রতিমা।

/১১

বাঘাযতীনের বি এন্ড সি ক্লাব, এবারে নিয়েছে এক অভিনব উদ্যোগ। হারিয়ে যাওয়া বাংলার বিভিন্ন শিল্পগুলিকে তাঁরা ফিরিয়ে দিয়েছেন মণ্ডপে। এর মধ্যে যেমন রয়েছে মেদিনীপুরের পিংলার পটচিত্র তেমনি আবার রয়েছে কাঠের পুতুল। দর্শকেরা প্রয়োজনে তার পছন্দের জিনিসটি বুক করে নিতেও পারেন, তা কেনার ব্যবস্থাও রয়েছে। মণ্ডপের ঠিক মাঝে রয়েছে একটি মঞ্চ, যেখানে কবিগান, তরজা ইত্যাদি গাওয়া হবে নিয়মিত।

/১১

শ্যামাপল্লী শ্যামা সংঘে এবারের বিষয় 'ঊষা'। আঁধারের দিন পেরিয়ে নতুন দিন আসবে এবং নতুন সূর্যোদয় হবে, সেই আশাতেই এই ভাবনা। শিল্পী অভিজিৎ ঘটক বিভিন্ন কাঠের ইনস্টলেশন ব্যবহার করে সমগ্র মণ্ডপটি সাজিয়ে তুলেছেন। সেখানে রয়েছে বিভিন্ন মোরগের মডেল। আকাশবাণীর পুরনো আবহসংগীত বেজে উঠছে মণ্ডপে। শ্যামাপল্লীতে এবছরের প্রতিমা শিল্পীও অভিজিৎ ঘটক।

/১১

শিল্পী রিন্টু দাসের হাত ধরে সেজে উঠেছে এবছরের বাঘাযতীন তরুণ সংঘের পূজামণ্ডপ। বিষয় 'মায়ের আঁচল'। মা যেমন সন্তানকে আগলে রাখেন, তেমনি মায়ের আঁচল নির্মিত এই মণ্ডপে মা দুর্গাও যেন তাঁর সন্তানদের আগলে রাখবেন, এই আশা নিয়েই এমন মণ্ডপ তৈরি। মণ্ডপটি বেশ খোলামেলা এবং করোনা পরিস্থিতি কথা মাথায় রেখেই তৈরি। কাপড়ের আঁচল এবং বাঁশ দিয়ে তৈরি হয়েছে গোটা মণ্ডপ। কোথাও কোথাও আঁচল থেকে ঝোলানো হয়েছে একটি করে চাবি। প্রতিমাটি সাবেকি সাজের।

/১১

বড়িশা সর্বজনীনের এবছরের বিষয় 'রূপান্তর'। শিল্পী দেবাশীষ বারুই। প্রতিমা নির্মাণে রয়েছেন শিল্পী পিন্টু সিকদার। মণ্ডপের বাইরে দু'পাশে রয়েছে দুটি দাঁড়িপাল্লার ইনস্টলেশন। মূল মণ্ডপটি বাঁশ এবং কাপড়ের নানারকম জ্যামিতিক আকার দিয়ে তৈরি। মূল মণ্ডপটির মধ্যে একটি গর্ভগৃহ, তাতে প্রতিমা বসানো রয়েছে। গর্ভগৃহের ওপরদিকে আলোর আলপনা দেওয়া। সব মিলিয়ে দর্শনার্থীদের কাছে চমৎকার এক অভিজ্ঞতা হতে চলেছে বড়িশা সর্বজনীনের পুজো।

/১১

পার্থ দাশগুপ্তের হাত ধরে সেজে উঠেছে এই পূজামণ্ডপ। এবারের বিষয় জীবনযুদ্ধ। এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে যেসব মানুষ আর্থিক সংস্থান হারিয়েছেন, তাঁদের জীবনযুদ্ধের দৃষ্টান্ত তুলে ধরা হয়েছে এখানে। মঞ্জু মণ্ডপসজ্জাটি তৈরি হয়েছে এক অপূর্ব ইনস্টলেশন আর্টের মাধ্যমে। ব্যবহৃত হয়েছে অনেকগুলি সিঁড়ির মতো ধাপ। অনেকগুলি জ্যামিতিক আকারের মধ্যে নানারকম রং ব্যবহার করে সেজে উঠেছে মণ্ডপ। বাইরে থেকেই দর্শকেরা প্রতিমা দর্শন করতে পারবেন, মণ্ডপে প্রবেশের কোনো প্রয়োজন পড়বে না।

/১১

সন্তোষপুর লেক পল্লীর পূজামণ্ডপের এবারের বিষয় ভাবনা ‘মাটির কান্না’। সামগ্রিক পরিকল্পনায় রয়েছেন শিল্পী সোমনাথ মুখার্জী। প্রায় ছোটখাটো একটি কুমোরটুলি নির্মাণ করা হয়েছে এখানে। দেখানো হয়েছে মাটির তৈরি নানা প্রতিমার মূর্তি এবং প্রতিমা তৈরীর নানা পর্যায়গুলি। মূল প্রতিমাটি কাগজের তৈরি এবং সেই প্রতিমার চক্ষুদান করেছেন শিল্পী সনাতন দিন্দা।

/১১

নাকতলা উদয়ন সংঘের এবারের বিষয় 'চুপের শব্দ বিরাট'। শিল্পী ভবতোষ সুতার। "বেকার মেঘেরা চলল দূর/ শরৎ আকাশে ব্যথার সুর"। কবীর সুমনের লেখা এই গানই পুজোর আবহ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। বিভিন্ন বাঁশের তৈরি ইনস্টলেশন ব্যবহার করা হয়েছে এখানে, আশে পাশের বাড়িগুলিতেও সেই বাঁশের ইনস্টলেশনগুলি আটকানো। নানারকম মুখের আদল বা ছাঁচ ব্যবহার করা হয়েছে মণ্ডপসজ্জায়। মণ্ডপের ভেতরে মূল গর্ভগৃহে প্রতিমাটি রয়েছে শঙ্খ বাদনরত অবস্থায়।

/১১

রাজডাঙা নব উদয় সংঘে এবারের শিল্পী সুব্রত ব্যানার্জী। গত বছর এই শিল্পীর হাত ধরেই সেজে উঠেছিল গোটা পূজামণ্ডপ। এ-বছরেও এক বিরাট রাজপ্রাসাদ তৈরি হয়েছে এখানে। রয়েছে সিংহদুয়ার, ঝাড়বাতি। রাজকীয় মণ্ডপসজ্জার মধ্যে প্রতিমা রয়েছেন ডাকের সাজে, সাবেকি আঙ্গিকে।

১০/১১

সন্তোষপুর ত্রিকোণ পার্ক এবারে সেজে উঠেছে বিভিন্ন তেলের ড্রাম দিয়ে। ড্রামগুলিকে সাজিয়ে সাজিয়ে তৈরি করা হয়েছে মণ্ডপ। কোথাও কোথাও ড্রাম কেটে সেখানে আলোর বিভিন্ন ইনস্টলেশন ব্যবহার করা হয়েছে। অপরূপ প্রতিমাটি নির্মাণ করেছেন শিল্পী পরিমল পাল।

১১/১১

বড়িশা ক্লাবের এবারের শিল্পী রিন্টু দাস। প্রতিবছরই তাঁর ভাবনায় উঠে আসে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা। এ বছরেও তার কোনো ব্যতিক্রম হয়নি। পরিযায়ী শ্রমিকের বেশেই ধরা দিয়েছেন মা দুর্গা। এবং সারা মণ্ডপ সেজেছে বিভিন্ন ত্রাণের সামগ্রীতে। অপূর্ব এবং নিখুঁত প্রতিমাটি নির্মাণ করেছেন কৃষ্ণনগরের পল্লব ভৌমিক। প্রতিমাটি রূপকল্পনা শিল্পী বিকাশ ভট্টাচার্যের আঁকা একটি ছবি থেকে অনুপ্রাণিত।

Powered by Froala Editor