হাজার টালবাহানার পর অবশেষে রায়, ২২ জানুয়ারি ফাঁসি নির্ভয়া-কাণ্ডে দোষীদের

বেশ কয়েকদিন ধরেই কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে সেটাই সত্যি হল। দিল্লির নির্ভয়া গণধর্ষণকাণ্ডে দোষীদের ফাঁসির দিন ঘোষণা করল দিল্লি পাতিয়ালা হাউজ কোর্ট। আগামী ২২ জানুয়ারি সকার ৭টায় তিহার জেলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে।

২০১২-এর ১৬ ডিসেম্বর দিল্লিতে যে ঘটনা ঘটেছিল, সেটা আর নতুন করে বলার কিছু নেই। দীর্ঘ সাত বছর ধরে গোটা দেশ প্রতিবাদ করেছিল এই ঘটনার। সেই ঘটনার জেরেই পবন গুপ্তা, বিনয় শর্মা, অক্ষয় ঠাকুর এবং মুকেশ সিংকে ফাঁসির সাজা দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু তারপরও সেটা কার্যকর করা যায়নি। বহুবার রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করে দোষীরা, নাকচও করা হয় সেগুলো। সম্প্রতি চারজনকে তিহার জেলে স্থানান্তর করায় ফাঁসি কার্যকরের জল্পনা চলছিল। অবশেষে, পাতিয়ালা হাউজ কোর্টের ঘোষণা সেই জল্পনাকেই সত্যি বলে প্রমাণিত করল।

মাত্র কয়েকদিন আগেই হায়দ্রাবাদের তরুণীর গণধর্ষণে অভিযুক্ত চারজন পুলিশি এককাউন্টারে মারা যায়। তখন বিতর্কের ঝড় উঠেছিল দেশে। এইভাবে মারার অধিকার আছে কিনা, সেই প্রশ্ন তোলেন অনেকে। সম্প্রতি উন্নাওয়ের ঘটনায় অভিযুক্ত কুলদীপ সিং সেঙ্গারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত। সেখানেও প্রশ্ন ওঠে, রাজনৈতিক প্রতিপত্তির জন্যই কি ফাঁসি হল না? এই সমস্ত জিজ্ঞাস্যের ভেতরে কিন্তু রয়ে গেছে ভারতের বিচার ব্যবস্থার বর্তমান অবস্থাই। নির্ভয়া গণধর্ষণকাণ্ডে ফাঁসি কার্যকর করতে সাত বছর লাগল। কামদুনির ঘটনার কোনও সাজা কার্যকর করা হয়নি আজও। এইরকম উদাহরণ আরও আছে। একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার বিচার প্রক্রিয়ায় এত সময় লাগলে, জনগণের এইসব প্রশ্ন তোলাও স্বাভাবিক নয় কি? আপাতত সেই প্রশ্ন থাকল।