মাতৃভাষা দিবসে বইপাড়ার নতুন ঠেক, অভিনব ভাবনা নিয়ে হাজির ‘বর্ণ-বইমহল’

“ভাষাকে ঘিরেই তো আমাদের বেঁচে থাকা। তাই ভাষাদিবসের দিনটাকেই আমরা বেছে নিয়েছি নতুন উদ্যোগের উদ্বোধনের জন্য।” বলছিলেন ‘লালমাটি’ প্রকাশনার প্রকাশক নিমাই গড়াই। কলেজ স্ট্রিট মানেই তো বাংলা বইয়ের আঁতুড়ঘর। সেখানেই বইপ্রেমীদের যাতায়াত আরও খানিকটা বাড়িয়ে তুলতেই উদ্বোধন হল ‘বর্ণ-বইমহল’-এর। উদ্বোধন করলেন সাহিত্য-সমালোচক শ্রী শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন রামকুমার মুখোপাধ্যায়, ভবেশ দাসের মতো ব্যক্তিত্ব। নিছক বইয়ের দোকান নয়, বরং একে বইয়ের ঠেক বলতেই আগ্রহী নিমাইবাবু।

“কলেজ স্ট্রিটে তো বইয়ের দোকানের ছড়াছড়ি। প্রত্যেক প্রকাশকের নিজস্ব দোকান আছে। কিন্তু কোথাও ক্রেতারা সেভাবে বই হাতে নিয়ে দেখার সুযোগ পান না। পড়ে দেখা তো দূরের কথা। এখানে পাঠকরা হাতে নিয়ে বই পড়তে পারবেন। তারপর পছন্দ হলে কিনবেন।” বলছিলেন নিমাই গড়াই। শুধুই যে লালমাটি-র বই, তা নয়। ছোটো-বড়ো নানা প্রকাশনা সংস্থার বাংলা বই পাওয়া যাবে ‘বর্ণ-বইমহল’-এ। সঙ্গে ইংরেজি ও অন্যান্য ভাষার বই রাখার ইচ্ছাও আছে, জানালেন নিমাইবাবু।

কফিহাউসের সামনে দিয়ে যে রাস্তাটা চলে গিয়েছে, তারই নাম বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট। আর এই রাস্তার উপরেই ‘লালমাটি’ প্রকাশনার মূল কার্যালয়ের কাছেই তৈরি হচ্ছে ‘বর্ণ-বইমহল’। নিমাইবাবুর কথায়, “করোনাকালে মানুষের বই পড়ার অভ্যাসে বেশ কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। বইপাড়ায় ভিড় কমেছে। নতুন এই উদ্যোগ যদি সেই পুরনো ভিড়কে ফিরিয়ে দিতে পারে, তাহলে তার থেকে আনন্দের আর কিছুই হতে পারে না।” এমনকি শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য হুইল-চেয়ার নিয়ে ঢকার ব্যবস্থাও থাকবে বলে জানালেন নিমাইবাবু। বইপাড়ার শিরায় রক্তের স্রোত আরও খানিকটা বাড়িয়ে তুলবে ‘বর্ণ-বইমহল’, এই আশা করাই যায়।

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
বাতিল বই কুড়িয়েই আস্ত লাইব্রেরি, কলম্বিয়ার ‘বইয়ের রাজা’ এক সাফাইকর্মী