একঝাঁক নতুন প্রজাতির আবিষ্কার বাংলায়, জানাচ্ছে রিপোর্ট

অর্কিড থেকে শুরু করে নতুন ফড়িং প্রজাতির সন্ধান— গত বছরে বাংলার বুকে একাধিকবার উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছিলেন জীববিজ্ঞানীরা। কিন্তু বাংলার জীববৈচিত্রের একটা বড়ো অংশ এখনও অপরিচিত আমাদের কাছে, এবার সেই তথ্যই উঠে এল বোটানিক্যাল ও জুওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টে। নতুন প্রজাতি (New Species) খুঁজে পাওয়ার পরিসংখ্যানের নিরিখে গোটা ভারতের মধ্যে একদম প্রথম সারিতেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)।

জুওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার বার্ষিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০ সালে সবমিলিয়ে ৪০৭টি নতুন প্রজাতির প্রাণীর সন্ধান মিলেছে ভারতে। ভারতে প্রথমবারের জন্য খুঁজে পাওয়া গেছে আরও ১৫০টি প্রজাতির প্রাণী। তার মধ্যে ৩০টিরও বেশি নতুন প্রাণী প্রজাতির মিলেছে বাংলা থেকেই। যার মধ্যে প্রধানত রয়েছে একাধিক মাছ এবং পতঙ্গের প্রজাতি। এখানেই শেষ নয়। প্রথমবারের জন্য বাংলার বুকে দেখতে পাওয়া গেছে আরও ১৪টি প্রজাতির প্রাণী। পৃথিবীর অন্যত্র দেখা গেলেও, ভারতের বুকে তাদের অস্তিত্ব নেই বলেই ধরে নেওয়া হত এতদিন। 


উদ্ভিদজগতের গবেষণার ক্ষেত্রেও মিলেছে একইরকম সাফল্য। সেই দীর্ঘ তালিকার উল্লেখযোগ্য আবিষ্কারের মধ্যে রয়েছে দার্জিলিং-এর বন্য কলা, উত্তরবঙ্গের মহানন্দা নদীর তীর থেকে খুঁজে পাওয়া বেত জাতীয় উদ্ভিদের নতুন প্রজাতি, বেশ কিছু মস এবং অর্কিড। শুধু উত্তরবঙ্গই নয়, একই সঙ্গে খোদ কলকাতার আইআইএসইআর ক্যামাপে প্রথমবারের জন্য সন্ধান মিলেছে ‘গ্রাফিস ডিসকার্পা’ নামের একটি লাইচেন প্রজাতির। যা কেবলমাত্র পাপুয়া নিউ গিনি’র পরিবেশেই দেখতে পাওয়া যায়। মুর্শিদাবাদের সামশেরঘানি ব্লকে খুঁজে পাওয়া গেছে ‘আমান্ডিনিয়া এফ্লোরেন্স’ নামের আরও একটি লাইচেন। এটিও মূলত পূর্ব এশিয়ার ক্রান্তীয় অরণ্যের বাসিন্দা।

আরও পড়ুন
টুইটারের পাখি ‘ল্যারি’ প্রজাতির! কে এই ল্যারি?

সামগ্রিক রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলায় নতুন প্রজাতি আবিষ্কারের বায়ো-হটস্পট উত্তরবঙ্গ হলেও, বেশিরভাগ প্রাণী প্রজাতির সন্ধান মিলেছে বীরভূম, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, নৈহাটি, আসানসোল, বিষ্ণুপুর, কল্যাণী, ব্যারাকপুর, দিঘা এবং শঙ্করপুরে। এর আগে একই বছরে বাংলার বুকে এত পরিমাণ নতুন জীবের সন্ধান পাওয়ার ঘটনা বিরল বললেই চলে। সাম্প্রতিক সময়ে, বাংলায় বিশেষ করে বিগত এক দশকে শ্রেণীবিন্যাস-সংক্রান্ত গবেষণার প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং শনাক্তকরণের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বিজ্ঞানীদের হাতে আসাই এই সাফল্যের অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বোটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার পরিচালক এ. এ. মাও…

আরও পড়ুন
ভারতের নিজস্ব ‘জুরাসিক পার্ক’, দাপিয়ে বেড়াত ১৩টি প্রজাতির ডাইনোসর!

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
প্রাণীদের তুলনায় দ্বিগুণ সংকটে উদ্ভিদরা, বিলুপ্তির পথে অর্ধেক প্রজাতি

More From Author See More