সংসার টানতে চালাচ্ছেন খাবারের দোকান, দুর্দশায় স্বর্ণপদক-জয়ী তীরন্দাজ মমতা

মমতা টুডু। জাতীয় স্তরে খেলা এই তরুণীর নাম আর কজনই বা জানি আমরা? কিন্তু ২৩ বছর বয়সী এই যুবতীই ভারতের অন্যতম উদীয়মান প্রতিভা। ঝুলিতে রয়েছে জাতীয় স্তরের তীরন্দাজি প্রতিযোগিতার দুটি স্বর্ণপদক-সহ বেশ কয়েকটি অন্যান্য খেতাব। কিন্তু আর্থিক অনটনের সমুদ্রে ডুবে রয়েছে তাঁর পৃথিবী। ধানবাদের দামোদরপুর গ্রামে বর্তমানে পরিবারের অন্ন সংস্থানের জন্য ছোট্ট খাবারের দোকান চালাচ্ছেন মমতা।

বাবা অবসরপ্রাপ্ত ভারত কোকিং কোল লিমিটেডের কর্মচারী। পেনশনের টাকা চিকিৎসার খরচ মেটাতেই চলে যায়। তার ওপর ৯ জনের সংসার। ছোট্ট এই খাবারের দোকানই তাই শেষ ভরসা। সাত ভাই-বোনের মধ্যে সব থেকে বড়ো মমতা। আর সেজন্য তাঁর কাঁধেই রয়েছে অধিকাংশ দায়ভার। 

মহামারীর কারণে দেশজুড়ে লকডাউন নেমে আসায় আর্থিক সংকট পৌঁছেছিল চরমে। সে সময় রাঁচির একটি তীরন্দাজি অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণরত ছিলেন তিনি। তবে পরিবারের কথা জানতে পেরেই চলে আসেন ধানবাদে দেশের বাড়িতে। মায়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এখন খাবারের দোকান চালাচ্ছেন তিনি।

২০১০ এবং ২০১৪ সালে জুনিয়র ও সাব-জুনিয়র স্তরে স্বর্ণপদক বিজয়ী তিরন্দাজের এই পরিণতি প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাচ্ছে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তাকেই। একজন উদীয়মান জাতীয় খেলোয়াড়ের প্রতি কি কোনোরকমও দায় নেই সরকারের? এখনও খেলা থেকে অবসর নেননি তিনি। সিনিয়র ডিভিশনে খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন নিয়মিত। তারপরেও এই ‘উপেক্ষা’ রীতিমতো কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে ভারতের ক্রীড়াজগতের পরিকাঠামোকে।

আরও পড়ুন
তারকাদের দুর্নাম রটানো, তহবিল তছরুপ; গ্রেপ্তার বার্সেলোনার সাবেক প্রেসিডেন্ট বার্তমেউ

মমতার বর্তমান অবস্থা প্রকাশ্যে আসার পর এগিয়ে এসেছেন ধানবাদ আর্চারি অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা। এই অ্যাকাডেমি থেকেই উঠে এসেছিলেন মমতা টুডু। জেলা সেক্রেটরি জুবায়ের আলম আশ্বস্ত করেছেন, চলতি সপ্তাহেই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে সাধ্যমতো সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হবে। কিন্তু এত কিছুর পরও নিষ্ক্রিয় সরকার…

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
ক্রিকেট খেলতে শিখেছেন চিনা ভাষা, অবনীন্দ্রনাথের প্রহার লজ্জা দিয়েছে বার্ধক্যেও