কোভিডের উৎস অজানা থাকলে, বাড়তে পারে অন্য মহামারীর ঝুঁকিও!

ফের কোভিডের উৎস নিয়ে সরগরম হয়ে উঠল পরিস্থিতি। আবারও চিনের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলল যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি দুই মার্কিন রোগ বিশেষজ্ঞ দাবি করেন, কোভিডের উৎস শনাক্ত করতে বিন্দুমাত্র সাহায্য করছে না চিনের সরকার। আর সেই তথ্য সামনে না এলে কোনোভাবেই থামানো যাবে না অতিমারীকে। বরং, ভবিষ্যতে পৃথিবীর বুকে বাসা বাঁধতে পারে আরও বড়ো কোনো মহামারী।

করোনাভাইরাস যে উহানের ল্যাবরেটরি থেকেই ছড়িয়ে পড়েছিল, সেই তত্ত্বকেই আরও বেশি করে জোর দিচ্ছেন ফাইজারের বর্তমান ডিরেক্টর তথা যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রাক্তন কমিশনার স্কট গটলিয়েব। একইরকম দাবি টেক্সাসের চিলড্রেনস হসপিটাল ফর ভ্যাকসিন ডেভলপমেন্টের সহ-পরিচালক পিটার হোটেজেরও। এক সাংবাদিক সম্মেলনে হোটেজ জানান, কোভিডের উৎস চিহ্নিত না করা গেলে তা নিরাময়েরও প্রকৃত রাস্তা খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। সেইসঙ্গে ভাইরাস রূপ বদলে প্রতিবার নতুন নতুন মহামারীর সৃষ্টি করতে পারে। 

করোনাভাইরাস সত্যিই উহানের ল্যাবরেটরি থেকেই ছড়িয়েছিল কি বন্য প্রাণীর মাংসের বাজার থেকে ছড়িয়ে পড়ে— সে-ব্যাপারে এখনও সুনির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ মেলেনি। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং চিনের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে এই ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল প্রকৃতিই। কিন্তু তা মানতে নারাজ মার্কিন প্রশাসন। করোনাভাইরাস যে চিনের ল্যাবরেটরিতে তৈরি, তা দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে এসেছে ট্রাম্প। এবার রোগ বিশেষজ্ঞদের চাঞ্চল্যকর এই দাবির পর বিষয়টি নতুন করে দৃষ্টি আকর্ষণ করল জো বাইডেনের। 

শুধু আমেরিকাই নয়, চিনেরও বেশ কিছু গবেষক কিছুদিন আগেই দাবি করেছিলেন, উহানের ল্যাবরেটরিতেই জন্ম ভাইরাসের। এমনকি চিনের সামরিক বাহিনীর কিছু গুপ্ত নথিও প্রকাশ করেছিলেন তাঁরা। তারপর যেন আরও ঘনিয়ে ওঠে রহস্য। এবার সেই রেশ ধরেই, ভাইরাসের উৎপত্তির বিষয়ে তদন্তের আহ্বান জানালেন বাইডেন। ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা। তাদের বেঁধে দেওয়া হয়েছে ৯০ দিনের সময়সীমা। তবে শুধু তদন্তেই সমাধান মিটবে না সমস্যার। এমনই দাবি মার্কিন স্বাস্থ্যবিদদের। চিনের হুবেই প্রদেশে দীর্ঘকালীন পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রস্তাব দিচ্ছেন তাঁরা। ভাইরোলজিস্ট, মহামারী বিশেষজ্ঞ এবং বাদুড় বিশেষজ্ঞের একটি দলকে যেন ৬ মাস সেখানে গবেষণার অনুমতি দেওয়া হয়— সেই আবেদনই জানানো হয়েছে মার্কিন প্রশাসনের কাছে। কিন্তু ‘শত্রু’ আমেরিকার গবেষকদের  অতিসুরক্ষিত লেভেল-৪ ল্যাবরেটরিতে আদৌ কি বিস্তারিত গবেষণার জন্য ছাড়পত্র দেবে চিন? সেখানেই থেকে যাচ্ছে প্রশ্ন…

আরও পড়ুন
করোনার বিরুদ্ধে আয়ুধ ‘অ্যান্টিবডি ককটেল’, বঞ্চিত হবেন সাধারণ মানুষ?

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
করোনাকালে কেমন আছে ‘ভারতের সবচেয়ে বিচ্ছিন্ন গ্রাম’?