১৪ বছরেই একাধিক সাহিত্য পুরস্কারজয়ী, আইকিউ-তেও সেরার দলে বাঙালি কিশোরী

মাত্র ১৪ বছরের কিশোরী আয়োনা মণ্ডল (Iona Mandal)। ইতিমধ্যে সবাইকে চমকে দিয়েছে ইংল্যান্ড প্রবাসী এই বঙ্গতনয়া। ৩ বছর আগেই মেনসা আইকিউ পরীক্ষায় পৃথিবীর সেরা ১ শতাংশে জায়গা করে নিয়েছে সে। ১১ বছর বয়সে তার আইকিউ ছিল ১৬২। অবশ্য এটুকুই সব নয়। কবিতা লেখার নেশা আয়োনার। আর সেখানেও সবাইকে অবাক করেছে সে। ইংরেজি ভাষায় তার লেখা কবিতা ইংল্যান্ডের প্রতিষ্ঠিত কবিদের কাছ থেকেও প্রশংসা পেয়েছে। আর কবিতা লিখে পুরস্কারের সংখ্যাও নেহাৎ কম নয়।

বারমিংহাম নিবাসী বাঙালি দম্পতি ইলিকা চক্রবর্তী এবং পার্থ মণ্ডলের একমাত্র মেয়ে আয়োনা। লেখালিখি ইংরেজিতেই করে। তবে বাংলা ভাষার প্রতিও তার আকর্ষণ কম নয়। মুখচোরা আয়োনা নিজেকে খুব একটা প্রকাশ করতে ভালোবাসে না। তবু ইতিমধ্যে সারা ইংল্যান্ডে চমক ফেলে দিয়েছে আয়োনা। ইংল্যান্ডের পোয়েট্রি সোসাইটির তালিকায় মাত্র ১০ বছর বয়সেই জায়গা করে নিয়েছিল আয়োনা। ইয়ং পোয়েট নেটওয়ার্কের হুইসলিস্ট চ্যালেঞ্জে প্রথমবারেই উত্তীর্ণ হয় আয়োনার কবিতা। ইতিমধ্যে নানা সংস্থা থেকে তার প্রাপ্ত পুরস্কারের তালিকা সবাইকে অবাক করতে বাধ্য। ২০১৯ সালে কারা জ্যাকসনের হাত থেকে ফয়েল ইয়ং পোয়েট পুরস্কার পায় আয়োনা। এছাড়াও আগস্ট চ্যালেঞ্জ ফোর অন দ্য পোয়েটিক্স অফ ইন্টারোগেশন প্রকল্পের সঙ্গেও যুক্ত সে। ২০১৫ সালেই আয়োনা পেয়েছিল আগস্ট চার্টার পুরস্কার।

তবে কবিতার পাশাপাশি তার মেধাও বরাবরই অবাক করত স্কুলশিক্ষকদের। আর তাই ২০১৮ সালে মেনসা পরীক্ষায় তাকে না জানিয়েই নাম নথিভুক্ত করে দেওয়া হয়। সেই বছর ইংল্যান্ড থেকে ১৮ বছরের কম বয়সী আর কেউ মেনসা পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। ফলে প্রাপ্তবয়স্কদের সঙ্গে একই প্রশ্নে উত্তর দিতে হয়েছিল তাকেও। আর তাতে দেখা যায়, আয়োনার আইকিউ ১৬২। ১১ বছরের এক কিশোরীর পক্ষে ১৬২ আইকিউ সত্যিই আশ্চর্যের, এমনটাই মনে করছেন মেনসার আধিকারিকরা। এভাবেই আগামীদিনে আরও অনেকটা পথ এগিয়ে যাবে আয়োনা, এমনটা আশা করাই যায়। আর আয়োনার হাত ধরে আন্তর্জাতিক মঞ্চে আবারও বাংলার নাম উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

তথ্যঋণ – বহতা অংশুমালী মুখোপাধ্যায়

আরও পড়ুন
পৃথিবীর সবচেয়ে মেধাবী পড়ুয়া ভারতীয় বংশোদ্ভূত নাতাশা!

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
বিরল আইকিউ-র অধিকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ‘ইয়ং আইনস্টাইন’