একইসঙ্গে অফিস ও সংসার – মানসিক চাপে বিপর্যস্ত কর্মরত মহিলারা

মহামারীর কারণে বন্ধ হয়েছে অধিকাংশ অফিসই। শারীরিক উপস্থিতির বদলে ভার্চুয়ালি ওয়ার্ক ফ্রম হোমের মাধ্যমেই কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে কর্মীদের। তবে এই পরিস্থিতিই ভারতের মহিলা কর্মীদের ঠেলে দিচ্ছে অবসাদ এবং প্রচণ্ড মানসিক চাপের দিকেই। সম্প্রতি এমনই তথ্য উঠে এল লিঙ্কডইনের ‘ওয়ার্কফোর্স কনফিডেন্স ইনডেস্ক’ সমীক্ষায়।

২৭ জুলাই থেকে ২৩ আগস্ট অবধি দেশের বিভিন্ন সংস্থার মোট ২২৫৪ পেশাদার কর্মীদের প্রতিক্রিয়া এবং সেই সংস্থার বয়ানের ভিত্তিতেই এই সমীক্ষা করে লিঙ্কডইন। কর্মীদের উপর লকডাউন কীভাবে প্রভাব ফেলেছে তার রেখাচিত্র পেতেই এই সমীক্ষা চালায় ভারতীয় সংস্থাটি।

এই সমীক্ষায় উল্লেখযোগ্যভাবেই উঠে আসে, শিশুদের যত্ন করা এবং সেইসঙ্গে সমান্তরালভাবে অফিসের কাজ চালিয়ে যাওয়া বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁদের কাছে। শুধু মাত্র এই পরিস্থিতির জন্যই মানসিক চাপের শিকার হয়েছেন ৪৭ শতাংশ মহিলা কর্মী। এমনটাই জানাচ্ছে সমীক্ষা।

সন্তানদের যত্ন নিতে ৪৬ শতাংশ শ্রমজীবী মায়েদেরই কাজ শুরু করতে দেরি হচ্ছে। পাশাপাশি ৪২ শতাংশ মায়েরা সন্তানের জন্য কাজে মনযোগ দিতে পারছেন না একশো শতাংশ। মহিলা কর্মীদের বয়ান থেকেই উঠে এসেছে এই পরিসংখ্যান। বাড়ি থেকে কাজ করার দরুন এক তৃতীয়াংশ মহিলা কর্মীরা সারাদিন ধরে সন্তানের দেখভাল করছেন। পুরুষদের ক্ষেত্রে এই হার অনেকটাই কম, প্রায় ১৭ শতাংশের কাছাকাছি। অন্যদিকে ৪৪ শতাংশ মায়েরা কাজের সময়ে ভরসা করছেন বিভিন্ন চাইল্ডকেয়ারের ওপরে।

আরও পড়ুন
৫৫ বছর বয়সী বা ৩০ বছর ধরে কর্মরতদের নিতে হবে স্বেচ্ছাবসর, রেলের ঘোষণায় বিক্ষোভ

তবে সমীক্ষায় বলা হয়েছে, পুরুষদের ক্ষেত্রেও অনেকে বাড়িতে থাকায় সাংসারিক কাজে সহায়তা করছেন তাঁরা। কিন্তু সার্বিকভাবে দেখতে গেলে একা হাতে সবকিছু সামলে, অফিসের কাজে সম্পূর্ণ পরিশ্রম দেওয়া কঠিনতম চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে মহিলাদের পক্ষেই। অন্যদিকে চাকরি হারানোর ভয়, বেতন হ্রাস এবং অন্যান্য সমস্যার সম্ভাবনা থাকায় এই অসম লড়াইটাই চালিয়ে যাচ্ছে বাড়ি থেকে কাজ করা মহিলারা। ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে তাঁদের মানসিক স্থিতিও...

আরও পড়ুন
৮০ শতাংশ কর্মরত ভারতীয়ই অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, জানাল গবেষণা

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
মহামারীতে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য বিশেষ জুতো বিতরণ নাইকি-র

More From Author See More