ইউরোপে মোট আত্মহত্যার ১৩ শতাংশই পরিবেশ দূষণের প্রভাবে, জানাচ্ছে সমীক্ষা

ক্রমাগত দূষিত হতে থাকা পরিবেশে যে শুধু মানুষের শরীরের উপরেই প্রভাব ফেলছে, এমন নয়। প্রভাব পড়ছে মানুষের মনস্তত্ত্বের উপরেও। দীর্ঘদিন ধরে এই কথা বলে আসছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু তার প্রভাব কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে? এই প্রশ্নের খানিকটা বাস্তব উত্তর দিল ইউরোপ এনভারমেন্টাল এজেন্সির পরিসংখ্যান। দেখা যাচ্ছে, পরিবেশ দূষণের প্রভাবে মানুষের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতাও বাড়ছে। আর ইউরোপ মহাদেশে ১৩ শতাংশ আত্মহত্যার সঙ্গেই যুক্ত পরিবেশ দূষণের প্রভাব।

বিভিন্ন দেশের উপর পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে এও দেখা গিয়েছে, যেসমস্ত দেশে দূষণের মাত্রা কম, সেখানে আত্মহত্যার প্রবণতাও কম। শুনতে খানিকটা অদ্ভুত লাগলেও গবেষকদের দাবি, এমনটা প্রত্যাশিত ছিল। বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে যেসব অঞ্চলের বায়ুদূষণের মাত্রা বিপদসীমার উপরে, সেখানে মানুষ নিজের প্রতিবর্ততার কারণেই ঘরের বাইরে পা রাখতে চান না। আর তাই একাকিত্বের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে অবসাদ। আবার অন্যদিকে প্রকৃতির সবুজ রং চোখের পাশাপাশি মনেরও স্বস্তি দেয় বলে মনে করছেন মনোবিজ্ঞানীরা।

ইএএ কমিশনার সিঙ্কেভিসিয়াস মনে করছেন, পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে তাতে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে খুব তাড়াতাড়ি আরও বড়ো বিপদের মুখে পড়তে পারে মানুষ। পরিসংখ্যান বলছে ,শুধু ২০১২ সালেই ইউরোপের ৬ লক্ষ ৩০ হাজার মানুষের আত্মহত্যার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত পরিবেশ দূষণের প্রভাব। এর পর আর তথ্য পাওয়া যায়নি। কিন্তু এর মধ্যে সংখ্যাটা আরও বেড়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

যদিও ইউরোপের সমস্ত দেশে একইরকম পরিস্থিতি নয়। দেখা গিয়েছে নরওয়েতে এই সংখ্যা সবথেকে কম। সেখানে ৯ শতাংশ মানুষের আত্মহত্যার সঙ্গে জড়িত পরিবেশ দূষণ। অন্যদিকে বসনিয়া এবং হারজেগোভিনায় সংখ্যাটা ২৭ শতাংশ। তবে সামগ্রিক হিসাবে বলা যায় ইউরোপের প্রতি ৮ জন মানুষের মধ্যে একজনের আত্মহত্যার কার

আরও পড়ুন
মহিলাদের থেকে বেশি আত্মহত্যাপ্রবণ পুরুষেরা; মানসিক দুর্বলতা নাকি অন্য সংকট?

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
১৪ মাসে আত্মহত্যা ১৩ কর্মীর, ছাঁটাইয়ের পথে আরও ২০ হাজার; খাদের কিনারায় বিএসএনএল?