ভাষাশ্রী

বুড়ো ভালুক/ ব্যঙ্গার্থে বৃদ্ধজন
বুড়ো ভাল্লুক/ ব্যঙ্গার্থে, বৃদ্ধজন
মার কে দুকানিয়া হিলায় দেব (জেলের ভাষা, জেল সিপাহিরা বলে)/ মেরে গাঁড় ভেঙে দেব
বুটুকবাজ/ জাহাজে যারা মাল চুরি করতে ডেকে উঠে আসে
বৈঠকবাজ/ বিশ্বাসঘাতক
টাপোরি/ অপরাধী
বৈঠকবাজি/ বিশ্বাসঘাতকতা
সড়ক ছাপ/ রাস্তার লোক
সাইন অফ প্রসপারিটি/ ভুঁড়ি
গদাহা (গাধা) বেচকে শো গ্যয়া/ গভীর ঘুমে থাকা
ঘোড়া বেচকে শো গ্যয়া/ একই অর্থ
গ্যয়া তেল বেচনে/ চিরকালের জন্য যাওয়া
কালা ধান্দা/ অপরাধ জগতের কাজ
গদাহা (গাধা) কা দুম/ বাজে জিনিস
ঘোড়ে কা বাণ্ডা/ একই
লাখোঁ মে ইক (এক)/ অনেকের মধ্যে অনন্যসাধারণ
জানখালাসি/ জান কবুল
জান কবচ/ প্রাণরক্ষা করা, অলৌকিক পদ্ধতিতে
চটায় খায় কটা?/ চড়াই পাখি আর কটা খায়, দক্ষিণ ২৪ পরগণার চালু কথা
হোল ডুবাডুব/ এদিক ওদিক উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘোরা/ একই জায়গার কথা
ঘোড়া পাদাইন্যা মাইয়া/ পুরুষ পুরুষ স্বভাবের মেয়ে (পূর্ববঙ্গু)
কানি বণির ছাও/ না উত্থিত পুরুষাঙ্গ (পূর্ববঙ্গ)
ফোসকা ঢেকুর/ চোঁয়া ঢেকুর/ দক্ষিণ ২৪ পরগণা
বাপের বিধবা ছেলে/ ফালতু ছেলে
বাপের ক্যাপফাটা ছেলে/ একই অর্থ
টালুমালু/ চোখের মণি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে তাকানো
খো/ রাখো/ পূর্ববঙ্গের বিখ্যাত উক্তি, সকলকে নস্যাৎ করার
ঘর কা মুরগা শাক বরাবর/ গেঁয়ো যোগী ভিখ পায় না

ঘর কা মুরগা দাল বরাবর/ একই অর্থ
যো জিতা য়ো হি সিকন্দর/ বিয়জই শেষ কথা
মেচি বিড়ালের ছাও/ নিজের পেটের সন্তানকে গালাগালি দেওয়া (পূর্ববঙ্গ)
স্যাকরা মায়ের কানের সোনাও চুরি করে/ প্রচলিত কথা
ধোতরা বটা/ মুখটুখ শুকিয়ে আমসি (পূর্ববঙ্গ)
ঝুররায়ে গ্যয়ে/ একই অর্থ
ঘ্যাতা/ এককাজ বার বার করে (পূর্ববঙ্গ)
ধ্যাতরা/ একই অর্থ (পূর্ববঙ্গ)
ড্যাকরা/ সম্বোধনে খারাপ বলা (পশ্চিমবঙ্গ)
বাপের ঠাকু/ অতি আদরনীয় ব্যঙ্গার্থে
মাগিরাম/ মাহিল্য— মহিলাসুলভ আচরণ করা পুরুষ
মেয়েমদ্দ/ পুরুষ স্বভাবের নারী
লেডিস/ মহিলা স্বভাবের পুরুষ
বৌদি/ একই অর্থ
ছক্কা/ হিজরা/ একই অর্থ কখনও
পিন কাঁটা/ সব ব্যাপারে মন্তব্য করা
পিন করা/ মন্তব্য করা
চেপে বোস/ চুপ থাক
চাপ, চাপ/ একই অর্থ
চাপ/ কাজের ভার
সাধের লাউ/ ব্যঙ্গার্থে, গুরুত্বপূর্ণ জিনিস
ভাগৌড়া বৌ/ ভাগিয়ে আনা অন্যের স্ত্রী (ইলাহাবাদ)
পিনিক কাটা/ মন্তব্য করা
ময়াটে চটা/ যে নারী বা পুরুষ চট করে রেগে যায়
‘দাঁত গজিয়ে গেছে’/ প্রাচীন স্ত্রী যোনি
‘হাঁস পার করানো’/ ‘অসতী’ ইত্যাদি বলার জন্য যোনি কেন্দ্রিক কথা
‘আয়, আয় এই তোর গত্ত’/ খিস্তি গল্পের একটি লাইন, যেখানে ইঁদুর ও স্ত্রী অঙ্গ কথা বলে
ছল্লি বল্লি/ অসততা
কড়ি কপালে/ সহজেই পয়সা রোজগার হয় যার
পাথর চাপা কপাল/ কিছুতেই ভাগ্য খোলে না যার
পাতা চাপা কপাল/ সহজে ভাগ্য খুলে যায়
সোনা/ পুরুষাঙ্গ
পাখি/ একই অর্থ
ডব/ একই অর্থ
হুদমুশলো/ বাজে লোক
মা মেগো/ গালাগালি, মাতৃগমন করে যে
মেনিমুখো/ সব ব্যাপারে সর্বদা চুপ করে থাকে যে
ফলনা/ গালাগালি
ঢলানি/ গায়ে পড়া মহিলা
পোঁদের কাপড়/ বস্ত্র
বাপ সোহাগী/ যে মেয়ে বাবাকে বেশি ভালোবেসে সর্বদা ‘বাবা বাবা’ করে
জ্যান্ত মাছে পোকা পড়ানো/ ডাহা মিথ্যে কথা
খেরেস্তানি/ সনাতনী আচার না মানা
ম্লেচ্ছগিরি/ একই অর্থ
বারোভাতারি/ বহু পুরুষগামী
সাত ভাতারি/ একই অর্থ
পুঙ্গির পুত/ গালি
কোকাই কাত্তিক/ ছোটো কাত্তিক
পায়ের আড় ভাঙেনি/ ফুটবল মাঠের ভাষা/ গোল দিতে না পারা, স্ট্রাইকারের জন্য
দশটা দশ/ ব্যঙ্গার্থে/ পা চেগিয়ে যারা হাঁটে
চ্যাগাই কাত্তিক/ ব্যঙ্গার্থে, দশটা দশ স্টাইলে যারা হাঁটে
ভাড়া এসেছে/ গর্ভবতী (কলকাতা)
জিভের আড় ভাঙেনি/ কথা বলতে জানে না
গুয়ের ডিম ভাঙা/ নেহাৎই ছোটো বাচ্চা
উনোনমুখো/ গাল দেওয়া
ঢ্যাপের খই/ অখণ্ডবঙ্গের ফরিদপুরে গলুইয়ার মেলায় বিক্রি হওয়া খই
ঢকঢকে বুড়ো/ খুব বুড়ো
ছেমো/ আধা পাগল
ঝুলে আছে/ বৃদ্ধ, বৃদ্ধা, ঝুলে পড়া মাই, যৌনাঙ্গ
পাদের আশটা/ তুচ্ছ
কে না কে পান্তাভাতে দে/ একই অর্থ
মান ইয়া না মান, ম্যায় তেরা মেহমান/ জোর করে গুরুত্ব নেওয়া
বিন বুলায়ে মেহমান/ একই অর্থ
না পাই গাছের ছাল/ ব্যঙ্গার্থে, না পাওয়া জিনিস
তেরনু তেরনু তাড়, তুরান্ডি ম্যায় ভাঁড়/ দু’জনের সখ্য (অখণ্ড বিহার)
ছল ছবিলা/ ছলনাকারী (উত্তরপ্রদেশ)
চোর কা ডাঢ়ি মে তিনকা/ সন্দেহভাজন (উত্তরপ্রদেশ)
দ্যায়জা কে নাতি/ গালাগালি (উত্তরপ্রদেশ)
ঝাবর/ গালাগালি (উত্তরপ্রদেশ)
ডামিশ/ শয়তান (উত্তরপ্রদেশ)
সকপকায় গ্যয়া/ চমকে ওঠা (উত্তরপ্রদেশ)
বউলি/ পাগলি (উত্তরপ্রদেশ)
বউখাল/ বোকা, পাগলি (উত্তরপ্রদেশ)
টোঁডুল, তোঁডুল/ ভুঁড়িদাস, ভুঁড়িদার (উত্তরপ্রদেশ)
ভোদা/ যোনি
ভোদাই/ বোকা
সাউয়া/ যৌনাঙ্গ
হ্যাডা/ লিঙ্গ
হেডিমরি/ যোনি উপভোক্তা
মাগগো/ পোঁদ
হাগাবাড়ি/ পায়খানা (বড়িশাল)
মাইয়ার ছাতা/ মেয়ে সন্তানের জন্য ঘৃণা (পূর্ববঙ্গ)
বিলোই/ বেড়াল
হান্দায় দিসে/ ঢুকিয়ে দিয়েছে
গোল হান্দাইসে/ গোল দিয়ে দিয়েছে

ছিঁড়ে হালকা করা/ সামান্য বাদ দিয়ে ওজন কমানো
বাল ছেঁড়ার ক্ষমতা নেই, খই খাওয়ার রাক্ষস/ প্রচলিত কথায় তুচ্ছ করা।
সাধলে জামাই কাডাল খায়না/ ভুচরা (ভুসরা) লইয়া লড়ালড়ি (প্রায় একই অর্থ)
ওল নামানো/ ঝগড়ার সূত্রপাত
যে যায় রত কবে তার মতো/ প্রচলিত কথা
এক চুবড়ি শাগে (শাকে) সাত চুবড়ি নুন/ ঝগড়ার আগাম আনয়ন বার্তা
লক্ষ্মীর মা ভিক্ষা মাগে/ প্রচলিত
যার ধরি না হাতে, তার ধরি পায়ে/ প্রচলিত
গুলতাল/ মিথ্যে কথা
ঢ্যা-ঢ্যামনা/ গালাগালি
ঢ্যাম/ ঢ্যামনার সংক্ষিপ্ত কথারূপ
মর্কট বৈরাগ্য/ হঠাৎ নিরাসক্তি, অস্থায়ী
হাগি চলে বাজার, কুত্তা ভুখে হাজার
ভাঙা মঙ্গলচণ্ডী/ যে ঝগড়া লাগায়
মায়ে ঝিয়ে মঙ্গলবার করে/ যার যার মঙ্গল সে সে করে
পৈটকারামি/ ভণ্ডামি
পৈটকা সাধু/ ভণ্ড সাধু
জোঁদা টক/ খুব টক
শুয়োর চ্যাচাইনা টক/ একই অর্থ
যে হালার টক বাঘের মাগগে দিলে দৌড়ায়/ একই অর্থ
আবালের হাউস/ বোকার ইচ্ছে
রাম চিমটি, শ্যাম চিমটি, দে চিমটি/ চিমটি কাটার আগে বলা

হরির ওপর হরি, হরি শোভা পায়
হরিরে দেখিয়ে হরি, হরিতে লুকায়/ গল্প আছে

কে সব? গোপাল।
হরি হরি হরি? হর হর হর (একই অর্থ, অন্য গল্প)

ক্ষীর খা পাগলা/ ওসকানো
হরি হে, পায়রা ওড়াও/ তুচ্ছ করা

ক্যাশ (কেশ নাই বুড়ি
ক্যাশের (কেশের) লাইগ্যা কান্দে
কচু পাতার ঢিপি দিয়ে
খোঁপা বড়ো করে / গল্প আছে

আড়ের মুড়া ঘেইরত মুড়া
দাও আইনা জামাইয়ের পাতে
রুইয়ের মুড়া কাষ্ঠ মুড়া
দেও আইন্যা আমার পাতে/ গল্প আছে

আইয়া পরসেন
ঢালের বাতা ধরসেন/ গল্প আছে

চিতায় মঠ দিবে/ ব্যঙ্গার্থে ভবিষ্যৎ বিষয়ে সন্দেহ
হাবলাইসা ভরানাইসা/ গালাগালি

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
ভাষা তীর, ভাষা চুম্বন