সন্তান মেধাবী। আরও পড়াশোনা করতে চায়। সামনেই একের পর এক বড় পরীক্ষা। কিন্তু বেশি বই কেনার সামর্থ্য একেবারেই নেই। এমন সমস্যারই সমাধান করতে এগিয়ে এলেন এক বাঙালি দম্পতি। কোনো পড়ুয়ার অভাবের খবর পেলে, তাদের কাছে পৌঁছে যাবে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি। এমনই উদ্যোগ অনির্বাণ-পৌলমীর।
অনির্বাণ নন্দী ও পৌলমী চাকি নন্দী দুজনেই আইআইটি’র গবেষক। শিলিগুড়ির বাসিন্দা। নিজেদের চলাফেরার পথে, বা আশেপাশে দেখেছেন এমন অনেক ছাত্রছাত্রীকে, যারা পড়াশোনায় সত্যিই তুখোড়। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়। পারিবারিক অবস্থার জন্য বেশি বই কিনতে পারে না তারা। এছাড়াও, পাঠ্য পুস্তকের পাশে অন্যান্য রেফারেন্স বইয়েরও যোগানের অভাব। বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্যও বিশেষ বিশেষ বই আছে। অনেকে এসব পায় না।
সেই সমস্যা দূর করতেই উদ্যোগ নিলেন নন্দী দম্পতি। যারা আগ্রহী, তাদের পড়া যাতে কোনোভাবে বন্ধ না হয়, তারই পরিকল্পনা করলেন তাঁরা। তৈরি করলেন নিজেদের ভ্রাম্যমাণ বা মোবাইল লাইব্রেরি। গাড়ি করে যাবতীয় বইপত্র নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেরিয়েছেন তাঁরা। পড়ুয়াদের হাতে তুলে দিয়েছেন প্রয়োজনীয় বই। শুধুমাত্র পাঠ্য পুস্তকের এমন মোবাইল লাইব্রেরি সচরাচর দেখা যায় না। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সেই কাজটাই করছেন তাঁরা।
এর পাশাপাশি ডিজিটাল কমিউনিকেশনকেও কাজে লাগাতে চান তাঁরা। তৈরি করেছেন নিজস্ব সংস্থা ‘লিভ লাইফ হ্যাপিলি’। বইয়ের ডিজিটাল ক্যাটালগও তৈরি করার ভাবনায় অনির্বাণ-পৌলমী। যাতে আরও বেশি সংখ্যক লোকে এর সুযোগ পায়, সেটাই দেখবেন তাঁরা। সেই সঙ্গে অনলাইন ই-লাইব্রেরিও খোলা হয়েছে। পাঠ্যবই, প্রতিযোগিতা-মূলক বই সমস্ত কিছু নিয়ে হাজির থাকবেন তাঁরা। লক্ষ্য যে একটাই, যাতে সবাই শিক্ষা পায়। বইয়ের অভাবে যাতে পড়াশোনা নষ্ট না হয় কারোর…