গত ২৫ মে পৃথিবী দেখেছিল বর্ণবিদ্বেষের নির্মমতা। মিনিসোটার মিনিয়াপোলিসে আফ্রো-আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েডের উপর শেতাঙ্গ পুলিশ আধিকারিকের পাশবিক নির্যাতন। তবে চুপ ছিল না আমেরিকা। বিক্ষোভ এবং প্রতিবাদের আগুন জ্বলে উঠেছিল যুক্তরাষ্ট্রের পথে পথে। ‘আই ক্যান্ট ব্রিদ’ হয়ে উঠেছিল প্রত্যেকের কথা। জর্জ ফ্লয়েডের শেষ যাত্রাতেও সঙ্গ দিলেন তাঁরা।
হাসটনে মঙ্গলবার সম্পন্ন হল জর্জ ফ্লয়েডের অন্তিমক্রিয়া। ছোটোবেলা থেকে বড়ো হয়ে ওঠে শহরেই ফিরে এল তাঁর মরদেহ। পার্লল্যান্ড সমাধিক্ষেত্রে তাঁর মায়ের পাশেই শায়িত হল জর্জ ফ্লয়েডের কফিন। আত্মীয়-পরিজন ছাড়াও এদিন তাঁকে শেষ বিদায় জানাতে ফাউন্টেন অফ প্রেইস গির্জায় উপস্থিত ছিলেন অন্তত পাঁচশো জন অতিথি। ছিলেন হাসটনের মেয়রসহ অন্যান্য রাজনৈতিক নেতা এবং বিখ্যাত তারকারাও। সেখানে সম্মানজ্ঞাপনের মধ্যে দিয়েও বার বার উঠে আসে বিচারের কথা।
পাশাপাশি উপস্থিত না থাকলেও শোকজ্ঞাপন করে গোটা দেশ। কয়েক মিনিটের জন্য নিস্তব্ধ ছিল আমেরিকার রেডিও স্টেশনগুলি। সোশ্যাল মিডিয়াতে সরকারি আধিকারিকেরাও শ্রদ্ধা জানান তাঁকে। মিনিয়াপোলিসে তাঁর উপর পুলিশের যে অত্যাচারের ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছিল, তার দৈর্ঘ্য মনে করিয়ে ৮মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের জন্য বন্ধ ছিল নিউইয়র্কের স্টক এক্সচেঞ্জও। রাস্তায় নেমে সারিবদ্ধভাবে শ্রদ্ধা জানাতে দেখা যায় প্রায় ছ’হাজার মানুষকে।
অন্যদিকে ডেরেক শাভিন সহ অভিযুক্ত আরো ৩ পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বরখাস্ত হওয়ার পাশাপাশি তাঁরা হেফাজতে রয়েছেন এখন। আন্দোলনের এই জয়, প্রতিবাদীরা উৎসর্গ করেন জর্জ ফ্লয়েডের উদ্দেশ্যে। এদিন বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলন জারী থাকবে বলে, প্রতিজ্ঞা নেন ফ্লয়েডের ভাই।
আরও পড়ুন
প্রতিবাদের আগুন ছড়াল ব্রিটেনে, ভাঙা হল দাস ব্যবসায়ীর মূর্তি, রেহাই নেই ‘রেসিস্ট’ চার্চিলেরও
ছবি ঋণ - ডেভিড জে ফিলিপি-পুল
আরও পড়ুন
‘আই হ্যাভ আ ড্রিম’ – বর্ণবৈষম্য মুছে আমেরিকাকে ‘মানুষ’ করতে চেয়েছিলেন মার্টিন লুথার কিং
Powered by Froala Editor