তরুণদের বাঁচাতে ভেন্টিলেটর প্রত্যাখ্যান, মৃত্যুতে ঢলে পড়লেন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা

করোনার এই সংকটে সাধ্যমতো চেষ্টা করছে সবাই। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। কাঁধে কাঁধ রেখে লড়ে যাওয়ার। এর মধ্যেই, মানবতার কাছে কিছুটা হলেও থমকে গেল মহামারী। প্রবীণ নাগরিকরা নিলেন না জরুরি চিকিৎসা, যাতে পরবর্তী প্রজন্মের অনুজরা লড়তে পারে এই যুদ্ধ।

ঘটনার সাক্ষী থাকল বেলজিয়াম। শ্বাসকষ্ট বাড়ছিল প্রতি মুহূর্তে। কিন্তু ভেন্টিলেটর প্রত্যাখ্যান করলেন ৯০ বছরের এক মহিলা। ডাক্তারদের বললেন, কমবয়সিদের জন্য সঞ্চয় করতে এই সুবিধা। সুস্যান হয়লার্টস নামের ওই মহিলার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ ছিল। হাসপাতালে ভর্তি হন ২০ মার্চ। কিন্তু শারীরিক অবস্থার দ্রুত ক্রমাবনতি হতে থাকে। মৃত্যুর আগেও জীবন দিয়ে গেলেন তরুণ-তরুণীদের জন্য। চিকিৎসক জানান, শেষ নিঃশ্বাসের আগে তাঁর সুন্দর জীবনের কথা উল্লেখ করেছেন। সঙ্গে, প্রার্থনা করে গেছেন যাতে প্রাণ বাঁচে তরুণদের।

শুধুমাত্র এটাই নয়। পাশাপাশি ইতালিতেও একই ছবি। ডন বেরারদেল্লি। ৭২ বছরের, ইতালিয় ধর্মযাজক প্রাণ দিলেন তরুণদের জন্য। বলে গেলেন, নতুনদের বাঁচা প্রয়োজন। নয়তো মুছে যাবে ভবিষ্যৎ। তিনিও ভেন্টিলেটর নেননি। বরং নিয়েছেন স্বেচ্ছামৃত্যু। চিকিৎসক জানান, তাঁর জন্য একটি বাচ্চার জীবনরক্ষা হয়েছে। যার সঙ্গে পারতপক্ষেও কোনোদিন দেখা হয়নি ওঁর।

নিজের জীবন বিপন্ন করেও আরেকজনের প্রাণ বাঁচানো। নিতান্ত সহজ কাজ নয় কিন্তু। আমরা কমবেশি সবাই-ই আয়রনম্যান বা ব্যাটম্যানের ফ্যান। সত্যিই কি এই পৃথিবীতে আছে এসব সুপারহিরোরা? কী নাম তাঁদের? বেরারদেল্লী না সুস্যান? সভ্যতা মনে রাখবে এই আত্মবলিদান। এঁদের কাছে ঋণী থাকবে ভবিষ্যৎ।