হবে গণ-ভ্যাকসিনেশন, অস্ট্রিয়ার এই শহর যেন আস্ত ল্যাবরেটরি

একটা গোটা শহর যেন পরিণত হয়েছে গবেষণাগারে। হ্যাঁ, পশ্চিম অস্ট্রিয়ার শহর ইনসব্রাক শহরের নিকটস্থা সোয়াজ জেলার ছবি এমনটাই। অস্ট্রিয়ার এই প্রদেশে ভয়ঙ্কর মাত্রা নিয়েছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। বিশেষত দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া বি.১.৩৫১. মিউট্যান্টটি। আর সেই কারণেই গোটা অঞ্চলজুড়ে হবে পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিনেশন। উদ্যোক্তা ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন।

আগামী সপ্তাহ থেকেই শুরু হয়ে যাবে এই পরীক্ষামূলক গণ-ভ্যাকসিনেশন। তবে শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্করা অর্থাৎ ষোলো কিংবা তার বেশি বয়সীদেরকেই বিনামূল্যে দেওয়া হবে ফাইজার-বায়োএনটেক ভ্যাকসিন। যা দক্ষিণ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কার্যকরী। কিন্তু বিশেষ করে পরীক্ষামূলক বলা হচ্ছে কেন এই টিকাকরণকে?

বিষয় হল, শুধুমাত্র দক্ষিণ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্টই যে সংক্রমিত হয়েছে এই অঞ্চলে তেমনটা নয়। একইসঙ্গে প্রকোপ বিস্তার করেছে করোনাভাইরাসের পূর্ববর্তী ভ্যারিয়েন্ট। দক্ষিণ আফ্রিকার মিউটেশনের জন্য বিশেষভাবে নির্মিত এই ভ্যাকসিনটি পূর্ববর্তী ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ঠিক কতটা কার্যকরী হয়, সেটাই দেখতে চান বিশেষজ্ঞরা।

গত ৪ মার্চ অস্ট্রিয়ার টায়রোল প্রদেশের সোয়াজ জেলায় প্রকাশিত করা হয় আবেদনপত্র। তাতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জমা পড়ে প্রায় ২০ হাজারেরও বেশি আবেদন। যা গোটা জেলার মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ। তাঁদের ওপরেই প্রয়োগ করা হবে ফাইজারের এই ভ্যাকসিন। পাশাপাশি অস্ট্রিয়ার জন্য আরও ১ লক্ষ বাড়তি ভ্যাকসিনের ডোজ বরাদ্দ করেছেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সভাপতি উরসুলা ভন ডার লেয়েন। শর্ত এই গোটা প্রক্রিয়াটির পর্যবেক্ষণ ও তথ্য রেকর্ডের অনুমোদন দিতে হবে বিশেষজ্ঞ দলকে।

আরও পড়ুন
কমপক্ষে ১০ বছর স্থায়ী হবে মহামারী, করোনার নতুন স্ট্রেন নিয়ে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের

আগামী ১১ মার্চ থেকেই গণ-ভ্যাকসিনেশনের এই প্রক্রিয়া শুরু করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। আর তার জন্যই প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। বন্ধ রাখা হয়েছে আঞ্চলিক দোকানপাট। জরুরি আন্তঃরাজ্য ভ্রমণের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে কোভিড-১৯ পরীক্ষার রিপোর্ট এবং ডিজিটাল ডকুমেন্টেশন। সেইসঙ্গে চলছে কন্ট্যাক্ট ট্রেসিংয়ের কাজও।

দীর্ঘ এক মাস ধরে চলবে এই বৃহত্তর ‘পরীক্ষা’র কাজ। তাতে শুধু অস্ট্রিয়াই উপকৃত হবে, এমনটা নয়। সার্বিক পরিসংখ্যান থেকে ফাইজার ভ্যাকসিনের কার্যকারিতাও পরিষ্কার হয়ে যাবে চিকিৎসকদের কাছে…

আরও পড়ুন
বয়স ১১৭, করোনাকে হারিয়ে ফিরে এলেন ইউরোপের প্রবীণতম মানুষ

Powered by Froala Editor

More From Author See More