স্কুলশিক্ষা অধরা থাকবে ২ কোটি ছাত্রীর, ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা নোবেলজয়ী মালালার

সারা পৃথিবী এখন স্তব্ধ করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে। তার প্রভাব পড়েছে সমস্ত ক্ষেত্রেই। আর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষাক্ষেত্র। তার প্রভাব যে শুধুই সাময়িক নয়, বরং এই মহামারী শিক্ষাক্ষেত্রে সুদূরপ্রসারী পরিবর্তন তারই ইঙ্গিত দিলেন পাকিস্তানের নোবেল পুরস্কারজয়ী সমাজকর্মী ইউসুফ মালালা। আর তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী সারা পৃথিবীতে অন্তত ২ কোটি ছাত্রী আর স্কুলে ফিরতে পারবে না। আর তার পিছনে অর্থনৈতিক কারণকেই দায়ী করেছেন মালালা।

নারী-শিক্ষার প্রসারে মালালার কাজ সারা পৃথিবী জুড়েই সমাদৃত। এমনকি জাতিপুঞ্জের দূত হিসাবেও কাজ করেছেন তিনি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের ধনী দেশগুলির ব্যবহারে রীতিমতো ক্ষুব্ধ মালালা। তাঁর কথায়, এই করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষাক্ষেত্র থেকে বিপুল পরিমাণ লগ্নি তুলে নেওয়া হয়েছে। আর তার ফলে মহামারী পেরিয়ে গেলেও বহু পড়ুয়াই শিক্ষার সুযোগ পাবেন না। আর তার ফলে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়বে নারীশিক্ষা।

এই প্রসঙ্গে তিনি জাতিপুঞ্জকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি। মালালা বলেছেন, জাতিপুঞ্জের তরফ থেকে নারীশিক্ষার বিষয়ে যে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল, তারও কোনো অগ্রগতি তাঁর চোখে পড়েনি। এই অভিযোগ মেনে নিয়েছেন জাতিপুঞ্জের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্টনিও গুটারেস। তাঁর কথায়, বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও এগিয়ে আসেনি পৃথিবীর ধনী দেশগুলি। ফলে প্রকল্পের কাজ থমকেই আছে।

শুধু শিক্ষাই নয়। থমকে গিয়েছে মানব সম্পদ উন্নয়নের সমস্ত কাজ। এমনটাই জানাচ্ছেন ইকোনমিক অ্যান্ড স্যোসাল কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট মুনির আক্রম। জাতিপুঞ্জের দীর্ঘ ইতিহাসে এরকম অবনতি কখনও ঘটেনি বলে জানিয়েছেন তিনি। আর সৌজন্যে অবশ্যই করোনা ভাইরাস।

আরও পড়ুন
লকডাউনে শিক্ষা দিতে ‘ব্যর্থ’ সরকারি স্কুলগুলি, বন্ধের মুখে বেসরকারি স্কুলও - এমনটাই জানাচ্ছে সমীক্ষা

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
বাড়ি গিয়ে ক্লাস করাচ্ছেন স্কুল শিক্ষকরা, শিক্ষাব্যবস্থার অভিনব ছবি সিকিমে