একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে, আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার অন্যতম একটি অংশ হয়ে উঠেছে স্মার্টফোন। একদম আধুনিক সময়ের জিনিস হলেও, উনিশ শতকেই এই স্মার্টফোনের প্রযুক্তির ধারণা দিয়ে গিয়েছিলেন একজন বিজ্ঞানী। তিনি আর কেউ নন, নিকোলাস টেসলা।
ইলেক্ট্রিসিটি সংক্রান্ত নানা গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার সঙ্গে টেসলা-র নাম জড়িয়ে আছে। প্রায় ৩০০টি পেটেন্টের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন এই কিংবদন্তি বিজ্ঞানী। ১৮৯০-এর পর থেকে তার সংযোগ ছাড়াও কী করে বিদ্যুৎ এবং তরঙ্গ পরিবাহিত করা যায়, সেই গবেষণার কাজে যুক্ত ছিলেন। সেই গবেষণা চলাকালীনই তিনি ওয়্যারলেস টেকনোলজির ব্যাপারে নিজের মতামত ব্যক্ত করেন। টেসলা মনে করেছিলেন, যখন এই ওয়্যারলেস টেকনোলজিকে পুরোপুরি প্রয়োগ করা হবে, তখন পৃথিবী নিজেই একটি আস্ত মস্তিস্কে পরিণত হবে। কথা বলার জন্য, বা কাজ করার জন্য কোনও দূরত্বই আর দূরত্ব থাকবে না। তিনি এও বলেছিলেন, এই বিশেষ প্রযুক্তি এমন জায়গায় যাবে, যখন গোটা পৃথিবীটাই একজনের পকেটের মধ্যে থাকবে। আজকের দিনের চিত্রটাই, প্রায় একশো বছর আগেই একজন হুবহু বলে দিচ্ছেন, ভাবতে রোমাঞ্চ লাগে না?