জায়গা নেই ঘরে, গাছের ডালেই ‘কোয়ারেন্টাইন’ পুরুলিয়ার শ্রমিকদের

করোনা মোকাবিলার প্রথম পদক্ষেপ যে দূরত্ব বজায় রাখা, তা প্রথম থেকেই দফায় দফায় প্রচার করেছে দেশ, রাজ্যের সরকারি এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা। জনবিচ্ছিন্ন থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কতটা লাভ হয়েছে তাতে? লকডাউনের এই পরিস্থিতিতেও পুলিশকে লাঠি হাতে নামতে হচ্ছে মানুষকে সচেতন করতে। এমত অবস্থায় জনবিচ্ছিন্ন থাকার নজিরবিহীন উদাহরণ রাখলেন পুরুলিয়ার বলরামপুর থানার মাইগ্রেন্ট শ্রমিকরা।

আরও পড়ুন
ভারতকে জিতিয়েছেন বিশ্বকাপ, করোনার বিরুদ্ধেও জয়ের খোঁজ যোগিন্দর শর্মা-র

চেন্নাই ফেরত ওই সাতজন শ্রমিকের বাড়ি শহর থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে অযোধ্যার কোলে ভাঙিডি গ্রামে। বসবাস মাটির বাড়িতে। এক ঘরেই থাকতে হয় পুরো পরিবারকে। কোয়ারেন্টাইনের জায়গা সেখানে কোথায়? তাই বিচ্ছন্ন থাকতে গ্রাম থেকে খানিক দূরে কোয়ারেন্টাইনের আশ্রয় হিসাবে বেছে নিলেন গাছ।

আরও পড়ুন
মাত্র ১৫ দিনেই তৈরি হবে ১০০০ বেডের হাসপাতাল, উদ্যোগ ওড়িশা সরকারের

গ্রাম থেকে প্রায় সাতশো মিটার দূরে এক বটগাছেই এখন তাঁদের থাকার জায়গা। কিন্তু এই অঞ্চলে হাতির উৎপাত হয় প্রায়শই। তাই গাছের নিচে না থেকে, ডালেই মাচার মতো করে বাঁধা হয়েছে খাটিয়া, টাঙানো হয়েছে মশারি। গ্রাম থেকে কারেন্টের তার এনে ব্যবস্থা করা হয়েছে রাতের জন্য যৎসামান্য আলো। এভাবেই কোয়ারেন্টাইন কাটাচ্ছেন ওই সাতজন।

আরও পড়ুন
কোয়ারেন্টাইনে থাকা মানুষদের সাহায্যে এগিয়ে এলেন ৫ লক্ষ তরুণ-তরুণী

গাছে থাকার খবর পেয়ে বলরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক এবং অঞ্চলের বিডিও শনিবার ঘটনাস্থলে পৌঁছোন। খুব শীঘ্রই আঞ্চলিক কোনো অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে থাকার ব্যবস্থা করে দেবেন, জানিয়েছেন এমনটাই।