ব্যস্ত রাস্তায় গাড়ির সমস্ত দূষণ শুষে নিতে পারে এই উদ্ভিদ!

ক্রমাগত বাড়তে থাকা পরিবেশ দূষণের বিরুদ্ধে মানুষের একমাত্র বন্ধু গাছ। বিশেষ করে বায়ুদূষণ রোধ করতে গাছ ছাড়া গতি নেই। তবে সব গাছের পরিশোধন ক্ষমতা সমান নয়। গাছেদের এই ক্ষমতা পরীক্ষা করতেই এবার অভিনব উদ্যোগ নিল লন্ডনের রয়্যাল হর্টিকালচারাল সোসাইটি। আর সেই গবেষণার সূত্র ধরেই উঠে এল কোটোনেস্টার উদ্ভিদের কথা। রাস্তার ধারে জন্মানো এই গাছটিই সবচেয়ে বেশি পরিমাণ দূষক শুষে নিতে পারে বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা।

ইংল্যান্ডের রাস্তার ধারে আখছার জন্মায় কোটোনেস্টার। ছোটো ছোটো কাঁটাযুক্ত ঘন পাতায় ঢাকা গাছটিকে আগাছা ভেবেই কেটে ফেলেন অনেকে। অথচ রয়্যাল হর্টিকালচারাল সোসাইটির গবেষণা বলছে, বায়ুদূষণ আটকাতে এই গাছের জুড়ি নেই। নির্মল পরিবেশে অবশ্য অন্যান্য গাছের সঙ্গে এর তেমন কোনো পার্থক্য নেই। কিন্তু ব্যস্ত রাস্তার ধারে, যেখানে ক্রমাগত গাড়ির ধোঁয়ায় দূষণ ছড়িয়ে পড়ে, সেখানে রীতিমতো অবাক করা ক্ষমতা দেখায় কোটোনেস্টার।

রয়্যাল হর্টিকালচারাল সোসাইটির গবেষণা বলছে, মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে একটি কোটোনেস্টার যে পরিমাণ কার্বন অপসারণ করতে পারে, একটি সাধারণ গাড়ির পক্ষে সেই কার্বন ছাড়তে ৫০০ মাইল যেতে হয়। আর কোটোনেস্টারের সঙ্গে হথোর্ন বা ওয়েস্টার্ন রেড সিডার গাছ একসঙ্গে থাকলে তো কথাই নেই। কোটোনেস্টার যেমন বাতাসে কার্বনের পরিমাণ কমিয়ে আনে, তেমনই বাকি দুটি গাছ বাতাসের উষ্ণতাকে নিয়ন্ত্রণে আনে। অবশ্য শুধুই কোটোনেস্টার, হথোর্ন বা রেড সিডার নয়, সারা পৃথিবীতে এমন অসংখ্য গাছ রয়েছে যারা একসঙ্গে পরিবেশ দূষণের সমস্যা থেকে মুক্তি এনে দিতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছেন রয়্যাল হর্টিকালচারাল সোসাইটির গবেষকরা। আগামীদিনে সেইসব গাছ নিয়েও গবেষণা করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
সবচেয়ে দ্রুত বংশবিস্তার করে এই উদ্ভিদ, কিন্তু কীভাবে? রহস্যভেদ বিজ্ঞানীদের

Latest News See More