২০০টি বিষধর সাপের কামড় খেয়েও বহাল তবিয়তে আছেন এই ট্রাকচালক

কথায় বলে, বিষে বিষে বিষক্ষয়। কিন্তু সেই বিষক্ষয় করার জন্য বিষধর সাপের কামড় খেতে রাজি হবেন কি? তাও একটা নয়, ২০০টি প্রজাতি! শুনতে ভয়াবহ লাগছে সবারই। কিন্তু আমেরিকার টিম ফ্রেডি ঠিক সেই কাজটাই করে চলেছেন দিনের পর দিন। আর সেটা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েও দিচ্ছেন।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতি বছর বিশ্বের প্রায় ৫৪ লক্ষ মানুষ বিষধর সাপের কামড়ে আক্রান্ত হন। মারা যান প্রায় দেড় লক্ষ। এই সমীক্ষার ভিড়েই নীরবে, এবং নির্বিকারে সাপের কামড় খেয়ে যাচ্ছেন টিম। পেশায় ট্রাকচালক। এখনও অবধি ২০০রও বেশি বিষধর সাপের কামড় খেয়েছেন স্বেচ্ছায়। কামড় খেয়েছেন ভয়ংকর ব্ল্যাক মাম্বা সাপেরও। শুধু তাই নয়, আরও বহুবার সাপের বিষ ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে ঢুকিয়েছেন তিনি। কেন বারবার নিজের জীবনকে এতটা ঝুঁকির সামনে রাখেন? জীবন বাঁচানোর জন্যই এই কাজ, অকপট জবাব আসে টিমের কাছ থেকে। তাঁর মতে, এর মাধ্যমে তিনি শরীরকে বিষ প্রতিরোধী করে তুলছেন। বেশ কয়েকবার মৃত্যুকেও ছুঁয়ে এসেছেন। তাও থামেনি তাঁর কাজ। তবে তাঁর এই কাজ নিয়ে যেমন খারাপ প্রতিক্রিয়া রয়েছে, তেমনই রয়েছে ভাল মুহূর্তও। টিমের রক্ত নিয়ে আমেরিকার এক বিজ্ঞানী এবং এক ওষুধ কোম্পানি গবেষণা চালাচ্ছেন। রক্তে কীভাবে অ্যান্টিভেনাম তৈরি হচ্ছে, সেটাই জানার চেষ্টায় তাঁরা। তবে যাই হোক, বাস্তবের ‘খতরোঁ কে খিলাড়ি’র জন্য কুর্নিশ অবশ্যই প্রাপ্য। তবে শেষ কথা একটাই, এই যাবতীয় কাজ যেন কেউ বাড়িতে, নিজের জীবনের ওপর না করে।