ঝড়ে ভেঙেছে ঘর, ঘুরে বেড়ায় গরু-ছাগল, করুণ অবস্থা ছাত্রছাত্রীদের

শিক্ষাক্ষেত্রের পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন ওঠে মাঝেমধ্যেই। কিন্তু অনেক আলোচনার পরও, বেশিরভাগ পরিস্থিতিতেই ফলাফল আলাদা হয় না। গ্রামের বহু বিদ্যালয়ের সঠিক পরিকাঠামো নেই, নেই সঠিক পরিচর্যা। তেমনই এক বিদ্যালয়ের খবর উঠে এল সম্প্রতি।

বাংলাদেশের মাদারিপুরের কলকিনি উপজেলায় টিনের শেডের তলায় একশো পাঁচ জন ছাত্রছাত্রী বেশ কয়েকবছর ধরে ক্লাস করছে। বিদ্যালয়ের নাম কালীনগর হলদারকান্দি গভর্নমেন্ট প্রাইমারি স্কুল।

বিদ্যালয়ের বিল্ডিংকে বিপজ্জনক বাড়ির তালিকায় ২০০৯ সালে আনা হলে এই ছাত্রছাত্রীদের জন্য টিনের শেড দেওয়া ঘর তৈরি করা হয়। কিন্তু ঝড়ে এই কাঠামোটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। স্থানীয় লোকেরা জানান, দুদিকের দেওয়াল, জানলা, দরজা ভেঙে পড়ায় এখন এই শেডটি প্রায় গোয়াল হয়ে গেছে। গরু, ছাগল স্কুলের ভিতর ঘুরে বেড়ায়।

এই স্কুলটি ১৯৯৫ সালে স্থাপিত হয়। ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি সরকারি বিদ্যালয় হিসেবে ঘোষিত যায়। বর্তমানে বিদ্যালয়ের একশো পাঁচটি ছাত্রছাত্রী এবং পাঁচজন শিক্ষক। বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক গিয়াসুদ্দিন জানান যে স্কুলবাড়িটি অত্যন্ত বিপজ্জনকভাবে ভাঙতে শুরু হলে ২০০৯ সালে সেটি খালি করে এই টিনের চালার ঘরে ক্লাস শুরু হয়। কিন্তু দু বছর আগে প্রচণ্ড ঝড়ে এই ঘরটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উচ্চ আধিকারিকদের জানানো হলেও এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এভাবে চলতে থাকলে যে-কোনো দিন বড় ধরণের বিপদ ঘটে যেতে পারে। অনেক জানানোর পরও, সচেতনতা নেই প্রশাসনের। সর্বত্র একই অব্যবস্থা। আর কতদিন চলবে এভাবে?