কোলাহল কমেছে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত, লকডাউনে ‘শান্ত’ পৃথিবীর হদিশ

দীর্ঘ লকডাউনে ক্রমশ শান্ত হয়েছে পৃথিবী। আক্ষরিক অর্থেই চারিদিকে যেন এক স্বর্গীয় নীরবতা। আর একেবারে তথ্য দিয়ে এই কথাই দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা। দেখা গিয়েছে বিগত ৬ মাসে ক্রমশ কমেছে পৃথিবীর কম্পন। আর এই পরিমাণটা প্রায় আগের তুলনায় ৫০ শতাংশে নেমে এসেছে।

সারাদিন মানুষের ব্যস্ততা, ট্রাফিকের ক্যাকফনি, কারখানার ঘড়ঘড় শব্দ আর অফিস থেকে স্কুলবাড়ির হট্টগোল; এই সবকিছুতেই পৃথিবী ক্রমশ কাঁপতে থাকে। আর সেই কম্পন বোঝার জন্য ১১৭টি দেশে আছে ২৬৮টি সিসমিক সেন্সর। আর এইসমস্ত সেন্সর থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকেই জানা গিয়েছে, কতটা নীরবতা গ্রাস করেছে পৃথিবীকে। এমনকি শব্দকে তরঙ্গ হিসাবে ধরে নিলে মনে হয় জানুয়ারি মাসের শেষ থেকে পৃথিবীতে প্রবাহিত হচ্ছে একটা নৈঃশব্দ্যের তরঙ্গ।

লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের সিসমোলজিস্ট স্টিফেন হিক জানিয়েছেন, জানুয়ারি মাসে চিনে প্রথম কম্পনের মাত্রা কমতে থাকে। এরপর ক্রমশ ইতালি এবং অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়েছে সেই নৈঃশব্দ্য। প্রথম একমাসেই কম্পন কমেছে প্রায় ৩০ শতাংশ। এরপর মার্চ মাসের শেষ এবং এপ্রিল মাসের শুরুতেই সেই মাত্রাটা যথেষ্ট বেড়েছে। এর মধ্যে নিউ ইয়র্ক এবং ইয়াঙ্গন শহরে শব্দের মাত্রা কমেছে সবচেয়ে বেশি। সেইসঙ্গে আমেরিকা এবং ইংল্যান্ডের স্কুল-কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও শব্দের মাত্রা কমেছে। অন্যান্য ছুটির দিনেও কোলাহল কম থাকে ঠিকই, কিন্তু লকডাউনের ফলে মাত্রাটা আরও অন্তত ২০ শতাংশ বেড়েছে।

তবে এখানে বিজ্ঞানীরা সচেতন করে দিচ্ছেন, নীরবতা মানেই কিন্তু স্বর্গীয় নয়। বরং মানুষ যে কম্পনের সঙ্গে অভ্যস্ত তার অভাবে মস্তিষ্কের উপরেও চাপ পড়তে পারে। তবে অরণ্য বাস্তুতন্ত্রের জন্য এ এক সুখবর তো বটেই।

আরও পড়ুন
আবারও ফিরছে দূষণ, যমুনায় ভাসছে সাদা ফেনা; আতঙ্কে পরিবেশকর্মীরা

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
চলতি বছরে শুধুমাত্র দিল্লিতেই বায়ু দূষণে মৃত ২৪ হাজার, জানাল সমীক্ষা