প্ল্যান্টার সায়েব, হেরিটেজ বাংলো এবং দার্জিলিং-এ চা-ব্যবসার আদিকাল

সময়ভ্রমণ - ৬২
আগের পর্বে

দার্জিলিং পত্তনের সঙ্গে সঙ্গেই জাতিবিদ্বেষী সমাজও তৈরি হতে থাকে। ব্রিটিশ সাহেবদের লেখায় বারবার পাহাড়ি মানুষদের প্রতি অবজ্ঞাই উঠে এসেছে। আর ডি ওয়াব্রেনের বইতে একটি পৃথক অধ্যায় ছিল পাহাড়ের ‘চাকরবাকর’-দের নিয়ে। কোন কাজ কোন জাতির মানুষদের দিয়ে করানো যায়, সমতল থেকে চাকর নিয়ে আসার প্রয়োজন কতটা, সবই লিখেছেন তিনি। এমনকি অবাধ্য লেপচা, ভুটিয়াদের জব্দ করার জন্য যে সরকারি উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, তার ইঙ্গিতও মেলে সেখানে। এমনকি চা বাগানের কাজে কোন জাতি কতটা দক্ষ, তারও হিসাব দিয়েছেন তিনি। তবে সেখানে গুর্খা জাতির কোনো উল্লেখ নেই। বোঝা যায়, একমাত্র সেনাবাহিনীর সদস্যদেরই তখন গুর্খা বলে মনে করতেন সাহেবরা।

দার্জিলিং-এর প্ল্যান্টার সায়েবদের মধ্যে অনেক রংদার(এবং রংবাজ) চরিত্র ছিল। ঠক-প্রতারক তো ছিলই। তাঁদের অনেকের পরিবারের লোকজন দার্জিলিং-এ এসে নিজেদের বংশশিকড় ও বংশগরিমা খুঁজে থাকেন। 'রাজ সময়ের' স্মৃতিচারণ করার জন্য 'কোই-হ্যায়' নামের ওয়েবসাইট আছে, সেটি রাজ নস্ট্যালজিয়ার সৌরভে ভরপুর। সায়েবদের তৈরি ইতিহাসমধ্যে আকণ্ঠচৈতন্য ডুবে আছি, সায়েবদের কিছু গল্প করতেই হয়। বিশেষত প্ল্যান্টার সায়েবদের। 

পাহাড়ে প্রথম সফল বাগিচার পত্তন যার হাতে, তিনি ক্ষণজন্মা পুরুষ ছিলেন। ফ্রেডেরিক স্যামলার নামের এই ব্যক্তি কোম্পানির সেনাদলে কাজ করতেন, কিন্তু নানা ছলছুতোয় কাজ থেকে পালাতেন। মহাফেজখানায় স্যামলার সায়েবকে নিয়ে একগাদা ফাইল আছে, তবে একটাও খুলল না। ফাইলের নামপত্র থেকে যা বোঝা গেল, কোম্পানি সরকার স্যামলারকে সামলাতে পারছিল না। কখনো তাঁকে ছুটি দেওয়া হচ্ছে অসুস্থ বলে, কখনো প্রমোশন দেওয়া হচ্ছে, কখনো আবার সে প্রমোশন কেড়ে নেওয়াও হচ্ছে। 

১৮৩১ থেকে বিভিন্ন সময়ের ফাইল দেখা যাচ্ছে। একদম শেষেরটায়, অর্থাৎ ১৮৬১-তে তাঁকে সেনাবাহিনী থেকে অবসর নিতে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। এই স্যামলার প্রথমবারের মতো অশক্ত শরীরে দার্জিলিং-এ এসে ডেরা গাড়ছেন ১৮৪৫-এ, অন্তত ওই সময় নাগাদ তাঁকে দার্জিলিং-এ যেতে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। অতঃপর তিনি কি করছিলেন জানা নেই। জেফ কোলারের বইতে বলা আছে দেখলাম, জনা দশেক গুর্খা সেপাই নিয়ে স্যামলার পাঙ্খাবাড়ির কিছু ওপরে মকাইবাড়ি চা বাগানের পত্তন করেন। তাঁর বিশেষ বন্ধু ছিলেন মকাইবাড়ির স্বনামধন্য প্ল্যান্টার রাজা ব্যানার্জির পূর্বপুরুষ জি সি ব্যানার্জি, মৃত্যুর আগে তাঁকে-অর্থাৎ জি সি-কে--বাগান বিক্রি করেন স্যামলার। সম্ভবত, সিপাই বিদ্রোহের সময় সরকারকে 'বিশেষ সাহায্য' করার(অর্থাৎ ইচ্ছামতো খুন, কোলারের টিপ্পনী) পুরষ্কার বাবদ সেনাপালানোর(ডেসারশান) গুরুতর অপরাধের শাস্তি স্যামলারকে পেতে হয়নি। 

স্যামলার পরে প্ল্যান্টার হিসেবে প্রচুর নাম করেন। বাংলা প্রশাসনের ১৮৬০-৬১ সালের বার্ষিক রিপোর্ট(অ্যানুয়াল রিপোর্ট অফ দি য়্যাডমিনিষ্ট্রেশন অফ দি বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি) জানাচ্ছে, ১৮৫৬ সালে ক্যাপ্টেন স্যামলার কার্শিয়াং-এ একটা এবং দার্জিলিং-এ একটা বাগিচা('গার্ডেন' নয়, 'প্ল্যান্টেশন') খোলেন। কফি চাষও শুরু করেন। দুটোই খুব সফল হয়। ১৮৬০ নাগাদ স্যামলারের বাগানে ২০০০০ পাউন্ড চা, এবং সমপরিমাণ কফি তৈরি হচ্ছে। তাঁর কোম্পানির নাম ছিল, কার্শিয়াং অ্যান্ড দার্জিলিং টি অ্যান্ড কফি লিমিটেড। 

আরও পড়ুন
চায়ের গল্প, নানা রকমের শ্রম ও জাতিনির্মাণ (চার)

১৮৫৭ সালে প্রকাশিত ক্যালকাটা রিভিউ পত্রিকার ২৮ নং সংখ্যায় স্যামলারের কথা আছে, তবে সেখানে তাঁকে বলা হচ্ছে দার্জিলিং টি কনসার্নের এজেন্ট, তাঁর বাগিচা 'কার্সিঅন' ও 'পাঙ্খাবারিয়া'র মাঝামাঝি জায়গায়। দার্জিলিং গাইড নামের যে লেখায় এই খবর পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে আরো বলা আছে যে অ্যাকটিং রেসিডেন্ট ক্যাপ্টেন জেমসের কাছে সরকার বেশ কয়েক মন চা-বীজ দিয়ে রেখেছেন, যাতে স্থানীয় চাষিরা চাষ শুরু করতে পারেন। তবে, লেখক সন্দিহান, লেপচাদের যেরকম বিশৃঙ্খল স্বভাব, তারা চার বছর ধরে পরিশ্রম করে ফলের আশায় বসে থাকবে কি? 

আরও পড়ুন
চায়ের গল্প, নানা রকমের শ্রম ও জাতিনির্মাণ (তিন)

ও'ম্যালির গ্যাজেটিয়ারেও স্যামলারকে দার্জিলিং-এর প্রথম সফল প্ল্যান্টার বলা হয়েছে। কফি চাষ সম্ভবত তাঁর মৃত্যুর পর চলেনি। ১৮৬৫-৬৬ নাগাদ চা চাষ রীতিমতো লাভজনক হয়ে ওঠে। ওয়েরনিকে-স্টোলকে পরিবার নিয়ে ফ্রেড পিনের বইটার কথা এসেছে। অনেক ঝামেলা করে সে বই হাতে এল। কী করে, সেটাও একটু বলি।

আরও পড়ুন
চায়ের গল্প, নানা রকমের শ্রম ও জাতিনির্মাণ (দুই)

ঘুম স্টেশন থেকে মিরিকের পথে একটু গেলেই ঘুমভনজং। ভনজং অর্থে দ্বার, গেট, ফটক। ডানহাতি উৎরাই পথ বনজঙ্গল ভেদ করে বহু নিচের রঙ্গীত নদীতে নামছে। পুলবাজারে নদী পেরিয়ে একটা পথ বিজনবাড়ি বাজার ছাড়িয়ে, ঝেপি-কাইজলি-লোধামা-রিমবিক হয়ে সিঙ্গালিলা বন এবং গিরিশিরার দিকে যাচ্ছে। আরো একাধিক পথ উঠে যাচ্ছে দার্জিলিং এবং সিকিমের দিকে। নদীর ওপারে বিজনবাড়ি জায়গাটা যতটা ঘিঞ্জি, এপারের নদীতট ততটাই নিরিবিলি শান্ত, নদীর জল পরিষ্কার স্বচ্ছ, প্লাস্টিক ভাসতেও দেখিনি। ঘুমভনজং-বিজনবাড়ি পথের অর্ধেকটা মতো গিয়ে বাঁদিকে সরু রাস্তা ঘুরে ঘুরে উপত্যকার ভিতরে ঢুকছে, অনেক নিচে। পরপর দুটো বাগান, লিংগিয়া আর তামসাং। লিংগিয়ার ভিতর দিয়ে তামসাং যেতে হয়। তামসাং থেকে খুব খাড়া এবং পাথুরে একটা পথ গিয়েছে চামঙ বাগান হয়ে শুখিয়াপোখরি, মিরিক। সে পথে নয়, গন্তব্য ছিল তামসাং। এই বাগানগুলোর পুরোনো ডিরেক্টরস বাংলো বা সায়েবি বড়া বাংলোর বেশ কয়েকটা এখন ভাড়ায় দেওয়া হয়, বাইরের লোক এসে থাকতে পারেন। 

আরও পড়ুন
চায়ের গল্প, নানা রকমের শ্রম ও জাতিনির্মাণ

বহু বছর পাহাড়ে ঘুরেও অনেক জায়গা এখনো অদেখা, সেসবের কিছু দেখতে যাওয়া। বড় বাটির মতো ছড়ানো ঈষৎ গভীর উপত্যকায় তামসাং বাংলো, তার পাশে কারখানা। বাংলোগুলো যেমন হয়, কাঠপাথরে তৈরি, ঢালু ছাদ, সামনে টানা বারান্দা, যত্নে রাখা লন। আশপাশের পাহাড়ে চা গাছের সবুজ, কুলি লাইনের ঘর। 

মালিক কিম্বা অন্য কারুর হয়ে তামসাং বাংলোর দেখভাল এবং অতিথিসেবা করেন উইলিয়াম। হেরিটেজ বাংলো এবং ইংরেজি নাম হলে কী হয়, উইলিয়াম ঘোর ঘনশ্যাম। মানুষটি বড় ভালো, আলাপপরিচয়ে বেরুল, তাঁর আদি ও বর্তমান বাড়ি কলকাতার বো ব্যারাকে, অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান মহল্লায়। বাংলোর হেরিটেজগুণ বাড়ানোর জন্য দেশগাঁ ছেড়ে এত দূরে এসে আছেন। লোকজন যখন আসে একরকম, বাকি সময়টা বিরক্তিকর, একঘেয়ে। পাহাড়িদের সঙ্গে, শ্রমিকদের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছেন না, থাকার জন্য পৃথক জায়গার বন্দোবস্তও হয়নি। সে যাই হোক, উইলিয়ামকে জিজ্ঞেস করলাম, বাংলো কতদিনের? উত্তরে তিনি একবাক্স কাগজ হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললেন, এখানে সব পেয়ে যাবেন। খুলে দেখি, এতদিন ধরে মহিষখোঁজা করছি যে বই, সেইটার ফটোকপি, নামপত্র নেই, তবু দিব্যি বোঝা যাচ্ছে ওয়েরনিকে-স্টোলকে পরিবারের কথা। বইয়ের সঙ্গে হাতে লেখা একটা চিঠির অনুলিপিও ছিল। সেটা পড়ে দেখলাম, ওই পরিবারের এক সদস্য ব্রিটেন থেকে এসে তামসাং বাংলোয় ছিলেন। ফিরে গিয়ে তিনি পিনের বইয়ের এক কপি বাংলোয় পাঠিয়ে দিয়েছেন, যারা বেড়াতে আসে আসল ইতিহাস জানুক।

সেই বইয়ের ফটোকপি করা কাগজ এতদিন পড়ে ছিলো, পড়া হয়নি। পড়ে হতাশ হলাম। ওয়েরনিকে পরিবারের বিভিন্ন প্রজন্মের স্মৃতিচারণ একসঙ্গে করে বই তৈরি হয়েছে, পিনের নিজস্ব টিপ্পনী কিছু নেই। 

১৮৪১-এ মোরাভিয়ান মিশনারিদের একটা দল দার্জিলিং-এ আসে। কেন যে, কে জানে? তখন দার্জিলিং জায়গাটাই তৈরি হয়নি, তাঁদের থাকতে পাঠানো হলো অনেক নিচের তাকভরে, সেখানে শুধু জঙ্গল আর জঙ্গল, বনভর্তি হিংস্র নেকড়ে, দু চার ঘর লেপচাদের বাস। চাকরবাকর ছিলো না, যা করার নিজেদের করতে হত। লেপচাদের সধর্মপথে আনার চেষ্টা করতে করতে দুই পরিবারের লোকজন হদ্দ হয়ে গেলেন, লাভ হল না। ওদিকে মিশনের মাথা রেভরেন্ড স্টার্ট পয়সা দেওয়া বন্ধ করে দিলেন। নেহাৎ বাধ্য হয়ে তাঁরা দার্জিলিং-এ উঠে এলেন। ধর্মযাজক জোহান ওয়েরনিকে কাঠ এবং ইঁটের ব্যবসা শুরু করলেন। বনদপ্তর কাজ আরম্ভ করার আগে অবধি দার্জিলিং-এর বন ইজারা দেওয়া হত, ইজারাদারদের অন্যতম ছিলেন জোহান। তাঁর স্ত্রী সোফি বলছেন, অনেক চেষ্টায় জোহান মাত্র একজন পাহাড়িকে খ্রিস্টান বানিয়েছিলেন, খুব দারিদ্র্যে দিনাতিপাত হচ্ছিল, ব্যবসা না করে উপায় ছিল না। সোফি ছিলেন স্টোলকে পরিবারের, তাঁদের এবং ওয়েরনিকেদের মধ্যে বিয়ে-থা চলত। স্টোলকেরা কিছু লিখে যাননি, সুতরাং তাঁদের সম্পর্কে আলাদা করে বিশেষ জানা যায়নি। তাঁদের মধ্যে অনেকে বিহারের মুঙ্গেরে থাকতেন। দার্জিলিং-এ যাঁরা ছিলেন, তাঁদের একজন লেপচা মেয়ে বিয়ে করেছিলেন, ফলে পাহাড়ের ইউরোপীয় সমাজে তাঁর জলচল ছিল না। 

জোহানের পুত্র, অ্যান্ড্রু এবং ফ্রেড চা ব্যাবসায় যুক্ত হন। প্রথমে একাধিক বাগানে ম্যানেজারের কাজ করে হাত পাকিয়ে তাঁরা ঘুমের নিচে ৬৬০ টাকা(৪০ পাউন্ড) দিয়ে ৪০০ একর জমি বন্দোবস্ত নেন, বা কেনেন। সে জায়গা তখন বনে ঢাকা, সম্ভবত লেপচারা তখনো জুম করছেন(পারিবারিক যে বিবরণ উদ্ধৃত করেছেন পিন, তাতে বলা আছে জমিতে 'নেটিভ কালটিভেশন' ছিল)। সে-বন পরিষ্কার করে, জ্বালিয়ে, পাহাড়ের ঢালে নতুন চা চারা লাগিয়ে প্রথমে লিংগিয়া বাগানের পত্তন, পরে তামসাং। প্রথমে দুটো বাগান একসঙ্গেই চলত, পরে আলাদা হয়ে যায়, দুই ভাই দুটোর দায়িত্ব নেন। ওয়েরনিকে পরিবারের দাবি, দার্জিলিং-এর প্ল্যান্টারদের মধ্যে বাগান থেকে তাঁরাই প্রথম লাভের মুখ দেখেন। প্রথমে দুটো থেকে ক্রমশ আরো বাগিচার মালিক হন ওয়েরনিকেরা, দার্জিলিং-এর বিশিষ্ট নাগরিকদের অন্যতম হয়ে ওঠেন অ্যান্ড্রু, পরিবারের ছেলেরা ইংল্যান্ডের নামকরা পাবলিক ইস্কুলে পড়াশুনো করে। তাঁদের সাফল্যের চাবিকাঠি ছিলো মিতব্যয়িতা ও শ্রমিকদের আপন করে নেওয়া, এরকম বলা হয়েছে।

প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মাঝামাঝি সময়ে ওয়েরনিকেদের অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে। নিছক সাদা চামড়া কিংবা ইউরোপিয়ত্বের পরিচয় মারফৎ ব্রিটিশশাসিত ভারতে নিরাপদে ব্যবসাবাণিজ্য করা যাচ্ছিল না, সাদাচামড়াদেরও জাতগোত্র ভাগ শুরু হয়ে গিয়েছিল। সেকারণে, সম্ভবত অন্য বহু কারণেও ওয়েরনিকে এবং স্টোলকেরা নিজেদের সম্পত্তি ইত্যাদি বেচে দিয়ে দেশে ফিরে যান। দেশ বলতে অবশ্য ইংল্যান্ড। ততদিনে নিজেদের নামধাম তাঁরা ইংরেজদের মাপে বদলে নিয়েছেন। পিনের বইয়ের শেষে ওয়েরনিকে পরিবারের একটা বংশপঞ্জি দেওয়া আছে। পরিবর্তিত নামের নিচে লেখা, 'দেশপ্রেমিক' কারণে বদলানো। জর্মন বংশপরিচয় নির্ঘাৎ দেশদ্রোহী ঠেকতো, বিশেষত যুদ্ধের আগেপরে।

ওয়েরনিকে-স্টোলকেরা দেশে ফিরলেন। যে দার্জিলিং-এ চার পুরুষের বা একশো বছরের বাস, সেখানে তাঁদের মনে করবার লোক রইল না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হল। জার্মানদের স্মরণ করার ধৈর্য বা ঔদার্য কোনোটাই ব্রিটিশদের ছিল না। 

তামসাং বাংলোর ভিতরে, কাঠের সিঁড়ির ল্যান্ডিংয়ে এখনকার মালিকের পিতামাতার ছবি, বাকি কিছু পুরোনো দার্জিলিং-এর সাদাকালো স্টকশট, হেরিটেজ বোঝাতে। ওই অঞ্চলের কোথাও কোথাও লেপচারা এখনো আছেন কয়েকঘর, সম্ভবত তাঁরা সবাই 'গোর্খা' হয়ে গেছেন, নিজেদের ভাষাও আর জানেন না। আমরাও দুদিনের জন্য ভালো বাংলোয় থাকতে, হেরিটেজ চাখতে গিয়েছিলাম, এতশত দেখবার সময় ছিল না।

Powered by Froala Editor